ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

জনতা ব্যাংকে স্বাক্ষর এমপির ঋণ ১৪ কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : ০২:০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ছোট মনির। দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষর জ্ঞান। এমপি হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া ছোট মনিরের হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় ছোট মনির তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষর জ্ঞান উল্লেখ করেছেন। পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন বেসরকারি ঠিকাদার। জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবসা থেকে ছোট মনিরের বাৎসরিক আয় ছিল ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৪ টাকা। যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে কমে হয়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ টাকা। তবে ছোট মনিরের নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে মৎস্য খাতে। মৎস্য খাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ৯০৫ টাকা। ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং ব্যাংক সুদ থেকে ৪৯ হাজার ২৭৫ টাকা। স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে ব্যাংকে ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ টাকা রয়েছে। নিজ নামেও টাকার পরিমাণ বেড়েছে তার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এসে তার হাতে নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৮ লাখ এবং যৌথভাবে রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৯ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় ছোট মনিরের স্বর্ণের পরিমাণ ৪০ ভরি উল্লেখ থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কয়েকগুণ বেড়েছে। উপহার হিসেবে পাওয়া নিজ নামে স্বর্ণ রয়েছে ১৫০ ভরি এবং স্বামী-স্ত্রীর নামে বিয়ের সময় পাওয়া আরও ২০০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৭টি মামলা ছিল। সবকটিতেই তিনি খালাস পেয়েছেন। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে ছোট মনিরের। ২০১৮ সালে নিজ নামে কোনো জমি ছিল না তার। এখন তার গোপালপুর মৌজায় ৯৯ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া স্বামী-স্ত্রীর নামে ২২৯০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে সেটা কোথায় তার ঠিকানা দেওয়া হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছোট মনির ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন জনতা ব্যাংক থেকে ১৪ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ টাকা ঋণ (যৌথ)। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তিনি কোনো ঋণের তথ্য উল্লেখ করেননি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনতা ব্যাংকে স্বাক্ষর এমপির ঋণ ১৪ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০২:০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ছোট মনির। দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষর জ্ঞান। এমপি হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ১৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া ছোট মনিরের হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় ছোট মনির তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বাক্ষর জ্ঞান উল্লেখ করেছেন। পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন বেসরকারি ঠিকাদার। জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবসা থেকে ছোট মনিরের বাৎসরিক আয় ছিল ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৩৪ টাকা। যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে কমে হয়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ টাকা। তবে ছোট মনিরের নির্ভরশীলদের আয় বেড়েছে মৎস্য খাতে। মৎস্য খাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ৩৯ লাখ ১৫ হাজার ৯০৫ টাকা। ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৫ টাকা এবং ব্যাংক সুদ থেকে ৪৯ হাজার ২৭৫ টাকা। স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে ব্যাংকে ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৭ টাকা রয়েছে। নিজ নামেও টাকার পরিমাণ বেড়েছে তার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এসে তার হাতে নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৮ লাখ এবং যৌথভাবে রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৯ টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় ছোট মনিরের স্বর্ণের পরিমাণ ৪০ ভরি উল্লেখ থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কয়েকগুণ বেড়েছে। উপহার হিসেবে পাওয়া নিজ নামে স্বর্ণ রয়েছে ১৫০ ভরি এবং স্বামী-স্ত্রীর নামে বিয়ের সময় পাওয়া আরও ২০০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৭টি মামলা ছিল। সবকটিতেই তিনি খালাস পেয়েছেন। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও বেড়েছে ছোট মনিরের। ২০১৮ সালে নিজ নামে কোনো জমি ছিল না তার। এখন তার গোপালপুর মৌজায় ৯৯ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া স্বামী-স্ত্রীর নামে ২২৯০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তবে সেটা কোথায় তার ঠিকানা দেওয়া হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছোট মনির ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন জনতা ব্যাংক থেকে ১৪ কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ টাকা ঋণ (যৌথ)। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় তিনি কোনো ঋণের তথ্য উল্লেখ করেননি।