ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

জনতার ঢল দেখে আ.লীগে আতঙ্ক: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:৪২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পদত্যাগ ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে যুগপৎভাবে আন্দোলনে একমত হয়েছে বিএনপি, এনডিপি ও জমিয়ত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে পৃথক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এসময় চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহে সমাবেশে জনতার ঢল নামার কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহে সমাবেশের আগের রাতে অঘোষিত কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাতে ককটেল-গুলি বর্ষণ করেও কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি। উল্টো পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের চারশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’
‘এভাবে দমন করে, গুলি করে, হত্যা করে, গুম করে কোনোদিনই ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, যতই তারা শক্তিশালী হোক’- বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির ধারাবাহিক সংলাপ প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই অনির্বাচিত অবৈধ ভোটাধিকার হরণকারী লুটেরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আমরা সংলাপ করছি। আমরা প্রথম পর্যায়ে শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছি। আজকে আলোচনা করেছি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে।’
আলোচনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একমত হয়েছি, তা হলো এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের দাবিতে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবিতে যুগপৎভাবে আন্দোলন করব।’
এছাড়া দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতাসীন দলের লুটপাটের বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করা- এসব দাবি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগেও তারা দাবি করেছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে কী এমন ঘটেছে তারা এখন ভয় পাচ্ছেন? কারণটা হলো, এত বেশি দুর্নীতি হচ্ছে প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা জায়গায়, তাদের এখন এই অবস্থার প্রেক্ষিতে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে আজকে তারা বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।’
সচিবদের ভবন নির্মাণের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৪৩ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে সচিব-মুখ্য সচিবের বাড়ি তৈরি করার জন্য। আপনি কী আশা করবেন, এটা আনবিলিভেবল- অবিশ্বাস্য। এরকম প্রতিটা ক্ষেত্রে একটা দুইটা নয়, সমস্ত খাতে।
‘আজকে যে দুর্নীতি চলছে সেজন্য তারা এই অবস্থায় পড়েছে। এ সরকার ব্যর্থ হয়েছে সম্পূর্ণভাবভাবে এই রাষ্ট্র চালাতে ও পরিচালনা করতে।’ যোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
‘সরকারের কোথাও কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সকল কিছু দুর্নীতির খাতে চলে গেছে। দুর্নীতির কারণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) পক্ষে সভাপতি কে এম আবু তাহেরের নেতৃত্বে মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান, মূসা মন্ডল,জামিল আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলী আকবর, সুলতানা পারভীন, মিজানুর রহমান পাটোয়ারী আব্দুল আজিজ, যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ আবু সাঈদ অংশ নেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, নির্বাহী সহ-সভাপতি মওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মওলানা শহীদুল ইসলাম আনসারী, মহাসচিব শায়খুল হাদীস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, যুগ্ম মহাসচিব মওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মওলানা আব্দুল হক কাওসারী, সহকারী মহাসচিব মওলানা রশিদ বীন ওয়াক্কাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী জাকির হোসাইন খান, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মওলানা আতাউর রহমান খান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনতার ঢল দেখে আ.লীগে আতঙ্ক: ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৪২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পদত্যাগ ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে যুগপৎভাবে আন্দোলনে একমত হয়েছে বিএনপি, এনডিপি ও জমিয়ত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে পৃথক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এসময় চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহে সমাবেশে জনতার ঢল নামার কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহে সমাবেশের আগের রাতে অঘোষিত কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাতে ককটেল-গুলি বর্ষণ করেও কোনো বাধার সৃষ্টি করতে পারেনি। উল্টো পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের চারশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।’
‘এভাবে দমন করে, গুলি করে, হত্যা করে, গুম করে কোনোদিনই ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, যতই তারা শক্তিশালী হোক’- বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির ধারাবাহিক সংলাপ প্রসঙ্গে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই অনির্বাচিত অবৈধ ভোটাধিকার হরণকারী লুটেরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আমরা সংলাপ করছি। আমরা প্রথম পর্যায়ে শেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু করেছি। আজকে আলোচনা করেছি ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে।’
আলোচনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একমত হয়েছি, তা হলো এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের দাবিতে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবিতে যুগপৎভাবে আন্দোলন করব।’
এছাড়া দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতাসীন দলের লুটপাটের বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করা- এসব দাবি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগেও তারা দাবি করেছেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে কী এমন ঘটেছে তারা এখন ভয় পাচ্ছেন? কারণটা হলো, এত বেশি দুর্নীতি হচ্ছে প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা জায়গায়, তাদের এখন এই অবস্থার প্রেক্ষিতে সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে আজকে তারা বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।’
সচিবদের ভবন নির্মাণের জন্য ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদনের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৪৩ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে সচিব-মুখ্য সচিবের বাড়ি তৈরি করার জন্য। আপনি কী আশা করবেন, এটা আনবিলিভেবল- অবিশ্বাস্য। এরকম প্রতিটা ক্ষেত্রে একটা দুইটা নয়, সমস্ত খাতে।
‘আজকে যে দুর্নীতি চলছে সেজন্য তারা এই অবস্থায় পড়েছে। এ সরকার ব্যর্থ হয়েছে সম্পূর্ণভাবভাবে এই রাষ্ট্র চালাতে ও পরিচালনা করতে।’ যোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
‘সরকারের কোথাও কোনো ম্যানেজমেন্ট নেই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সকল কিছু দুর্নীতির খাতে চলে গেছে। দুর্নীতির কারণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
আলোচনায় বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান অংশ নেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) পক্ষে সভাপতি কে এম আবু তাহেরের নেতৃত্বে মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান, মূসা মন্ডল,জামিল আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আলী আকবর, সুলতানা পারভীন, মিজানুর রহমান পাটোয়ারী আব্দুল আজিজ, যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ আবু সাঈদ অংশ নেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, নির্বাহী সহ-সভাপতি মওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা শেখ মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মওলানা শহীদুল ইসলাম আনসারী, মহাসচিব শায়খুল হাদীস হাফেজ মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, যুগ্ম মহাসচিব মওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মওলানা আব্দুল হক কাওসারী, সহকারী মহাসচিব মওলানা রশিদ বীন ওয়াক্কাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী জাকির হোসাইন খান, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মওলানা আতাউর রহমান খান।