ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই খাওয়ার গল্প: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সরকার পতনের আন্দোলন কর্মসূচিতে গিয়ে আহত বিএনপির দুই নেতাকে পুলিশ ও সরকারের তরফ থেকে অ্যাপায়নের বিষয়টিকে ‘জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ফেরানোর কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “এই যে আপনারা খাওয়ার-দাওয়া, ফল-মূলের যেসব কথা বললেনৃএগুলো হচ্ছে ডাইভারশন। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানো।
“যখন সমস্যা সংকট হচ্ছে- আমার ভোটের অধিকার, আমার কথা বলার অধিকার, আমার বেঁচে থাকার অধিকার, আমার মানবাধিকারৃসেই সময়ে তারাও ওদিকে খাওয়ার গল্প সাজিয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং তাদেরকে এখন এই জিনিসগুলো করতে হচ্ছে, ভিডিও করে ছাড়তে হয়।”
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলে এক দফার আন্দোলনে নামা বিএনপি গত শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থানের কর্মসূচি দিয়েছিল। নয়া বাজারে সেই কর্মসূচি পালনে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধায় নয়া বাজারে দাঁড়াতে না পারার পর ধোলাইখালে তারা সড়কে নামলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আহত অবস্থায় গয়েশ্বরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। চার ঘণ্টা পর তাকে নয়া পল্টনে দিয়ে আসে পুলিশ। এর মধ্যেই ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশীদের সঙ্গে গয়েশ্বরের মধ্যাহ্ন ভোজের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির মধ্যে সড়কে শুয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আমানউল্লাহ আমান। সেখান থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমানকে বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার আগে আমানকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী তার সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে পাঠান হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। তার মাধ্যমে আমানের জন্য ফল, জুস ও দুপুরের খাবার পাঠান সরকারপ্রধান। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কর্মসূচি থেকে উঠিয়ে নেওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আপ্যায়িত হওয়ার ছবি-ভিডিও প্রকাশকে ‘নোংরা নাটক’, ‘নি¤œ মানের মশকরা’ আখ্যায়িত করে রোববার ক্ষোভ ঝাড়েন গয়েশ্বর।
মঙ্গলবারের মানবন্ধন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘শিষ্টাচার বহির্ভূত’ আচরণের অভিযোগ তোলেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ন্যূনতম শিষ্টাচারের কথা অনেকে বলেছেন। আওয়ামী লীগ কি শিষ্টাচার জানে? জানে না। রিজভী সাহেব, আলাল সাহেব বলছিলেন, ভদ্রলোকেরা এরকম করে না। আওয়ামী লীগ কোনোকালেই ভদ্র ছিল না। সুতরাং তাদের কাছে ভদ্রতা আশা করার কারণ নেই। আওয়ামী লীগের জন্ম তাদের সন্ত্রাস দিয়ে। তাদের বডি ল্যাংগুয়েজের মধ্যে সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নেই। ওরা কথা বললে দেখবেন মনে হবে যে, গু-ামি করছে। “বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদকে নতুন করে কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না দেশপ্রেমের। তাদের সারাজীবনের রাজনীতি নিয়ে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়েছেন, জয়লাভ করেছেন এবং গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন।”
আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী। সেজন্য রাষ্ট্রটাকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছে। রাষ্ট্রটা এখন একটা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, একেবারেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।

“তারজন্য আজকে রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, তারা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তার মানে বাংলাদেশকে তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে একটা ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে।”
বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পেয়েছে মন্তব্য করে দলের মহাসচিব বলেন, “সমস্যা কোথায় জানেনৃপ্রচ- ভয় পেয়েছে। ২৮ তারিখের যে সমাবেশ, সেই সমাবেশে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে, সেই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকার সমস্ত রাজপথ দখল করে নিয়েছিল, সেইটা দেখে তারা ভয় পেয়ে পুরোপুরিভাবে অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘অগ্নি সন্ত্রাস’ এর অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, “বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করে না। আপনারা অগ্নি সন্ত্রাস করেন। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের চেহারায় এসেছে। বিএনপি ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অবশ্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। “আমাদের একদফা এক দাবি যে, শেখ হাসিনকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং সেটাকে একমাত্র সংকট নিরসনের পথ আছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “আপনারা সবাই আরেও দৃঢ় হন, আরও ঐক্যবদ্ধ হন। উত্তাল তরঙ্গের মত আন্দোলনের পর আন্দোলন, সমুদ্রে যেমন ঢেউয়ের পর ঢেউ আসে, সেই ঢেউয়ের পর ঢেউ দিয়ে এদেরকে সরাতে হবে।” অন্যদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্পনা রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাবুল মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই খাওয়ার গল্প: ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সরকার পতনের আন্দোলন কর্মসূচিতে গিয়ে আহত বিএনপির দুই নেতাকে পুলিশ ও সরকারের তরফ থেকে অ্যাপায়নের বিষয়টিকে ‘জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে ফেরানোর কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “এই যে আপনারা খাওয়ার-দাওয়া, ফল-মূলের যেসব কথা বললেনৃএগুলো হচ্ছে ডাইভারশন। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানো।
“যখন সমস্যা সংকট হচ্ছে- আমার ভোটের অধিকার, আমার কথা বলার অধিকার, আমার বেঁচে থাকার অধিকার, আমার মানবাধিকারৃসেই সময়ে তারাও ওদিকে খাওয়ার গল্প সাজিয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং তাদেরকে এখন এই জিনিসগুলো করতে হচ্ছে, ভিডিও করে ছাড়তে হয়।”
কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলে এক দফার আন্দোলনে নামা বিএনপি গত শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থানের কর্মসূচি দিয়েছিল। নয়া বাজারে সেই কর্মসূচি পালনে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধায় নয়া বাজারে দাঁড়াতে না পারার পর ধোলাইখালে তারা সড়কে নামলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আহত অবস্থায় গয়েশ্বরকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। চার ঘণ্টা পর তাকে নয়া পল্টনে দিয়ে আসে পুলিশ। এর মধ্যেই ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশীদের সঙ্গে গয়েশ্বরের মধ্যাহ্ন ভোজের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির মধ্যে সড়কে শুয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি আমানউল্লাহ আমান। সেখান থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমানকে বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার আগে আমানকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী তার সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে পাঠান হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। তার মাধ্যমে আমানের জন্য ফল, জুস ও দুপুরের খাবার পাঠান সরকারপ্রধান। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কর্মসূচি থেকে উঠিয়ে নেওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আপ্যায়িত হওয়ার ছবি-ভিডিও প্রকাশকে ‘নোংরা নাটক’, ‘নি¤œ মানের মশকরা’ আখ্যায়িত করে রোববার ক্ষোভ ঝাড়েন গয়েশ্বর।
মঙ্গলবারের মানবন্ধন থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘শিষ্টাচার বহির্ভূত’ আচরণের অভিযোগ তোলেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ন্যূনতম শিষ্টাচারের কথা অনেকে বলেছেন। আওয়ামী লীগ কি শিষ্টাচার জানে? জানে না। রিজভী সাহেব, আলাল সাহেব বলছিলেন, ভদ্রলোকেরা এরকম করে না। আওয়ামী লীগ কোনোকালেই ভদ্র ছিল না। সুতরাং তাদের কাছে ভদ্রতা আশা করার কারণ নেই। আওয়ামী লীগের জন্ম তাদের সন্ত্রাস দিয়ে। তাদের বডি ল্যাংগুয়েজের মধ্যে সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নেই। ওরা কথা বললে দেখবেন মনে হবে যে, গু-ামি করছে। “বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদকে নতুন করে কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না দেশপ্রেমের। তাদের সারাজীবনের রাজনীতি নিয়ে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়েছেন, জয়লাভ করেছেন এবং গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন।”
আওয়ামী লীগকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী। সেজন্য রাষ্ট্রটাকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছে। রাষ্ট্রটা এখন একটা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, একেবারেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।

“তারজন্য আজকে রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, তারা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তার মানে বাংলাদেশকে তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে একটা ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে।”
বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পেয়েছে মন্তব্য করে দলের মহাসচিব বলেন, “সমস্যা কোথায় জানেনৃপ্রচ- ভয় পেয়েছে। ২৮ তারিখের যে সমাবেশ, সেই সমাবেশে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে, সেই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকার সমস্ত রাজপথ দখল করে নিয়েছিল, সেইটা দেখে তারা ভয় পেয়ে পুরোপুরিভাবে অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘অগ্নি সন্ত্রাস’ এর অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, “বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করে না। আপনারা অগ্নি সন্ত্রাস করেন। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের চেহারায় এসেছে। বিএনপি ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অবশ্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। “আমাদের একদফা এক দাবি যে, শেখ হাসিনকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং সেটাকে একমাত্র সংকট নিরসনের পথ আছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “আপনারা সবাই আরেও দৃঢ় হন, আরও ঐক্যবদ্ধ হন। উত্তাল তরঙ্গের মত আন্দোলনের পর আন্দোলন, সমুদ্রে যেমন ঢেউয়ের পর ঢেউ আসে, সেই ঢেউয়ের পর ঢেউ দিয়ে এদেরকে সরাতে হবে।” অন্যদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্পনা রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান বাবুল মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।