ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

জনগণকে নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে: আইজিপি

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ দেশ ও জনগণকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালনকালে সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। প্রতি বছর দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের দুর্ঘটনায় আমরা অনেক সহকর্মীকে হারাই।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া কনস্টেবল জনি খানকে দেখতে যান আইজিপি। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আইজিপি বলেন, অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকালে আমাদের এক সহকর্মীর বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কব্জি দীর্ঘ প্রায় নয় ঘণ্টা অপারেশনের পর ডাক্তাররা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধরনের জটিল অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান আইজিপি। পুলিশ প্রধান আহত কনস্টেবলের শয্যাপাশে অবস্থান করে তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। গত ১৫ মে সকালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া থানার পদুয়া লালারখিল গ্রামে এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার অভিযানকালে আসামির দায়ের কোপে কনস্টেবল জনি খানের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পি কে হালদার ইস্যু: ভারতে গ্রেপ্তার আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গে¬াবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
আইজিপি বলেন, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাটি দুদকের। আমরা দুদককে সহযোগিতা করছি। তাকে ভারতীয় ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এছাড়া তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনসিবির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়। আর এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে ভারতের এনসিবির যোগাযোগ রয়েছে। গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারের আগে ভারতে তার বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে এই অর্থের সন্ধান মেলে। ১৩ মে সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ইডি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র

জনগণকে নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে: আইজিপি

আপডেট সময় : ০১:৪০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ দেশ ও জনগণকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালনকালে সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। প্রতি বছর দায়িত্ব পালনকালে এ ধরনের দুর্ঘটনায় আমরা অনেক সহকর্মীকে হারাই।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আল মানার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া কনস্টেবল জনি খানকে দেখতে যান আইজিপি। এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আইজিপি বলেন, অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকালে আমাদের এক সহকর্মীর বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কব্জি দীর্ঘ প্রায় নয় ঘণ্টা অপারেশনের পর ডাক্তাররা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধরনের জটিল অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান আইজিপি। পুলিশ প্রধান আহত কনস্টেবলের শয্যাপাশে অবস্থান করে তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। গত ১৫ মে সকালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া থানার পদুয়া লালারখিল গ্রামে এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার অভিযানকালে আসামির দায়ের কোপে কনস্টেবল জনি খানের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পি কে হালদার ইস্যু: ভারতে গ্রেপ্তার আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গে¬াবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
আইজিপি বলেন, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাটি দুদকের। আমরা দুদককে সহযোগিতা করছি। তাকে ভারতীয় ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এছাড়া তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এনসিবির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হয়। আর এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে ভারতের এনসিবির যোগাযোগ রয়েছে। গত ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারের আগে ভারতে তার বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধার কাছে এই অর্থের সন্ধান মেলে। ১৩ মে সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ইডি।