ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

জঙ্গি নাম দিয়ে ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগ, সাবেক আইজিপি কারাগারে

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালে ঢাকার কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বাড়ি’তে জঙ্গি নাম দিয়ে ইসলামিক ভাবধারার ৯ তরুণকে হত্যা করার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মিসকেস) করা হয়েছে।

এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপি মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ৬ মার্চ পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুলিশের সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের এই তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে পুলিশের এই কর্মকর্তারা জঙ্গি নাটক করেছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও পরবর্তী শুনানির জন্যে আগামী ৭ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। এর পর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসময় প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি ও আদেশের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি নামের একটি বাড়িতে ৯ তরুণকে আটকে রেখে সোয়াতসহ সিটিটিসি গিয়ে তাদের বাসার মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে তারা প্রচার করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে, এই ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে বহু আগে। কেউ কেউ ডিবি হেফাজতে ছিলেন দুই-তিন মাস ধরে। সেখান থেকে তাদের ধরে নিয়ে রাতে ওই বাসায় জড়ো করা হয়। পরে রাতের বেলা ব্লক রেইডের কথা বলে সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই হাজির হন। সেই লোকদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে তারা প্রচার করেন। সে সময় জঙ্গি নাটক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য ইসলামিক ভাবধারার মানুষদের জঙ্গি নাম দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জঙ্গি নাম দিয়ে ৯ তরুণকে হত্যার অভিযোগ, সাবেক আইজিপি কারাগারে

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালে ঢাকার কল্যাণপুরে ‘জাহাজ বাড়ি’তে জঙ্গি নাম দিয়ে ইসলামিক ভাবধারার ৯ তরুণকে হত্যা করার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা (মিসকেস) করা হয়েছে।

এই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপি মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রসিকিউশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ৬ মার্চ পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুলিশের সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের এই তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে পুলিশের এই কর্মকর্তারা জঙ্গি নাটক করেছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এই মামলায় অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও পরবর্তী শুনানির জন্যে আগামী ৭ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। এর পর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসময় প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শুনানি ও আদেশের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি নামের একটি বাড়িতে ৯ তরুণকে আটকে রেখে সোয়াতসহ সিটিটিসি গিয়ে তাদের বাসার মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে তারা প্রচার করে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা জানতে পেরেছে, এই ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে বহু আগে। কেউ কেউ ডিবি হেফাজতে ছিলেন দুই-তিন মাস ধরে। সেখান থেকে তাদের ধরে নিয়ে রাতে ওই বাসায় জড়ো করা হয়। পরে রাতের বেলা ব্লক রেইডের কথা বলে সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই হাজির হন। সেই লোকদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে তারা প্রচার করেন। সে সময় জঙ্গি নাটক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য ইসলামিক ভাবধারার মানুষদের জঙ্গি নাম দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।