ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা

  • আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গতকাল মঙ্গলবার ধানম-িতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজ সম্পাদক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন-মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয় ১৯৬৬ সালের ৭ জুন। হরতাল চলাকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে। স্বাধিকারের এই আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ‘অপপ্রচারের জবাব’ কাজের মাধ্যমে দেবে আওয়ামী লীগ। ‘অপপ্রচার’ রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অপপ্রচার করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচাল করা যাবে না। যারা সাতই মার্চ, সাতই জুন বিশ্বাস করে না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা

আপডেট সময় : ০১:৫০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গতকাল মঙ্গলবার ধানম-িতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজ সম্পাদক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন-মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়। ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয় ১৯৬৬ সালের ৭ জুন। হরতাল চলাকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে। স্বাধিকারের এই আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ‘অপপ্রচারের জবাব’ কাজের মাধ্যমে দেবে আওয়ামী লীগ। ‘অপপ্রচার’ রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অপপ্রচার করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচাল করা যাবে না। যারা সাতই মার্চ, সাতই জুন বিশ্বাস করে না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়।”