ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

যশোর সংবাদদাতা : যশোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে পশুহাট জমজমাট আকার ধারণ করলেও শনি ও রোববারই সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তবে খরচের তুলনায় তেমন দাম পাচ্ছেন না তারা। আর ক্রেতারা বলছেন, এবার গরুর দাম বেশি। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, যশোরে কোরবানির জন্য এক লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর জেলায় চাহিদা রয়েছে ৯৬ হাজার ৭১৮টি পশুর। অর্থাৎ ৩০ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। যশোরের রূপদিয়া, রাজারহাট, সাতমাইল পশুহাটসহ বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটে বিভিন্ন জাতের ও আকারের গরু আমদানি শুরু করেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। বিকেল হতে না হতেই পশু কেনাবেচা শুরু হচ্ছে। বড় গরুগুলো হাটে বিশেষভাবে রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি সামাল দিতে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি সঙ্গেই রাখছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে বলে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাটগুলোতে দেশি, শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। দুপুর গড়াতেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠছে হাটগুলো। হাটে ভেড়ার সরবরাহও রয়েছে। এবারের ঈদে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম বলে জানান খামারিরা। গরুর খামারি জাহিদুল ইসলাম জানান, হাটে প্রচুর গরু। তবে বেচাকেনা সে তুলনায় হচ্ছে না। তার ছয় মণের বেশি ওজনের একটি গরুর বাড়িতেই দাম উঠেছিল এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। হাটে সেই গরু পাঁচ হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। আনুমানিক চার মণ ওজনের একটি গরু এক লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কিনেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গরুটি পছন্দ হলেও দামটা একটু বেশিই মনে হচ্ছে।’ গরু ব্যবসায়ী জামির উদ্দিন জানান, তিনি পাঁচ মণ ওজনের দুটি গরু হাটে এনেছেন। দাম হেঁকেছেন এক লাখ ৬০ হাজার করে। কিন্তু ক্রেতারা এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি বলছেন না। তিনি দাবি করেন, এবার গরু লালন-পালন খরচ বেশি হওয়ায় পুঁজি ঘরে তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাটে ‘যুবরাজ’, ‘রাঙ্গা’ ও ‘সাদা পাহাড়’ নামের তিনটি গরু এনেছিলেন সাদ্দাম মুন্সি। সারাদিনে ‘রাঙ্গা’ নামের বড় গরুটি বিক্রি করেছেন দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকায়। তিনি যুবরাজের দাম হাঁকছেন আট লাখ টাকা। অথচ দাম উঠেছে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ টাকা। সাদা পাহাড়ের দাম হাঁকছেন সাত লাখ টাকা। কিন্তু এর ক্রেতা মিলছে না। খালিশপুর থেকে দুটো গরু নিয়ে হাটে আসেন ব্যাপারী রয়িজুল ইসলাম। এক লাখ ৪৪ হাজার টাকায় একটি বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, এবার পাঁচ মণ ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। এক লাখ থেকে শুরু করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
হাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে গাড়ি পার্কিং, জাল টাকা শনাক্তের মেশিন, ফ্রি ভেটেরিনারি ক্যাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাট মালিক পক্ষের ইসমাইল হোসেন জানান, কোরবানির পশু শেষ হাটেই বেশি উঠবে। ওইদিন বেচাকেনাও বেশি হবে। তবে এরইমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

যশোর সংবাদদাতা : যশোরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে পশুহাট জমজমাট আকার ধারণ করলেও শনি ও রোববারই সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তবে খরচের তুলনায় তেমন দাম পাচ্ছেন না তারা। আর ক্রেতারা বলছেন, এবার গরুর দাম বেশি। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, যশোরে কোরবানির জন্য এক লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। যার অর্থমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর জেলায় চাহিদা রয়েছে ৯৬ হাজার ৭১৮টি পশুর। অর্থাৎ ৩০ হাজারের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। যশোরের রূপদিয়া, রাজারহাট, সাতমাইল পশুহাটসহ বিভিন্ন হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটে বিভিন্ন জাতের ও আকারের গরু আমদানি শুরু করেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। বিকেল হতে না হতেই পশু কেনাবেচা শুরু হচ্ছে। বড় গরুগুলো হাটে বিশেষভাবে রাখা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি সামাল দিতে স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি সঙ্গেই রাখছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে বলে হাটগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাটগুলোতে দেশি, শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন আকারের ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। দুপুর গড়াতেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে উঠছে হাটগুলো। হাটে ভেড়ার সরবরাহও রয়েছে। এবারের ঈদে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম বলে জানান খামারিরা। গরুর খামারি জাহিদুল ইসলাম জানান, হাটে প্রচুর গরু। তবে বেচাকেনা সে তুলনায় হচ্ছে না। তার ছয় মণের বেশি ওজনের একটি গরুর বাড়িতেই দাম উঠেছিল এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা। হাটে সেই গরু পাঁচ হাজার টাকা কমে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। আনুমানিক চার মণ ওজনের একটি গরু এক লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কিনেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গরুটি পছন্দ হলেও দামটা একটু বেশিই মনে হচ্ছে।’ গরু ব্যবসায়ী জামির উদ্দিন জানান, তিনি পাঁচ মণ ওজনের দুটি গরু হাটে এনেছেন। দাম হেঁকেছেন এক লাখ ৬০ হাজার করে। কিন্তু ক্রেতারা এক লাখ ৪০ হাজারের বেশি বলছেন না। তিনি দাবি করেন, এবার গরু লালন-পালন খরচ বেশি হওয়ায় পুঁজি ঘরে তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাটে ‘যুবরাজ’, ‘রাঙ্গা’ ও ‘সাদা পাহাড়’ নামের তিনটি গরু এনেছিলেন সাদ্দাম মুন্সি। সারাদিনে ‘রাঙ্গা’ নামের বড় গরুটি বিক্রি করেছেন দুই লাখ ৭৪ হাজার টাকায়। তিনি যুবরাজের দাম হাঁকছেন আট লাখ টাকা। অথচ দাম উঠেছে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ টাকা। সাদা পাহাড়ের দাম হাঁকছেন সাত লাখ টাকা। কিন্তু এর ক্রেতা মিলছে না। খালিশপুর থেকে দুটো গরু নিয়ে হাটে আসেন ব্যাপারী রয়িজুল ইসলাম। এক লাখ ৪৪ হাজার টাকায় একটি বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, এবার পাঁচ মণ ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। এক লাখ থেকে শুরু করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
হাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে গাড়ি পার্কিং, জাল টাকা শনাক্তের মেশিন, ফ্রি ভেটেরিনারি ক্যাম্পের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাট মালিক পক্ষের ইসমাইল হোসেন জানান, কোরবানির পশু শেষ হাটেই বেশি উঠবে। ওইদিন বেচাকেনাও বেশি হবে। তবে এরইমধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক।