ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

ছোটন ফিরলেন এলিট একাডেমির কোচ হয়ে

  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: কদিন ধরে চলা গুঞ্জন সত্যি হলো। বাংলাদেশের প্রথম উইমেন’স সাফ জয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ফিরলেন এলিট একাডেমির কোচ হয়ে। সবশেষ পিটার জেমস বাটলার সামলান এলিট একাডেমির দায়িত্ব। গত উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তাকে মেয়েদের জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নানা টানাপোড়েনের মধ্যেও বাটলারের কোচিংয়ে নেপাল থেকে শিরোপা নিয়ে ফেরে সাবিনা-মারিয়ারা। উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্যের গল্প লেখা ২০২২ সালে, ছোটনের হাত ধরে। সেবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই সাফল্যের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে ছোটনের পথচলা দীর্ঘায়িত হয়নি, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। এরপর তিনি হাল ধরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলের। ছোটনের উত্তরসূরি হিসেবে সাফের মুকুট ধরে রাখার মিশনে সফল ইংলিশ কোচ বাটলারকে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে ছোটনকে ফেরানোর কথাও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল বাফুফে। এলিট একাডেমির কোচের দায়িত্ব নিয়ে ছোটন তার বার্তায় জানালেন, ফুটবলের উন্নয়নে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার আশাবাদ। “অনেকদিন পর আপনাদের সাথে এখানে কথা বলছি। আমাকে আবার ফুটবল ফেডারেশনে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। নতুনভাবে আবার এখানে (বাফুফে) এলাম। আমি মনে করি, আগে যেভাবে কাজ করেছি, এখনও সেভাবেই কাজ করতে পারব। যুব ফুটবল উন্নয়নের যে দায়িত্ব পেয়েছি, আমি মনে করি, এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দিকেই আমার দৃষ্টি থাকবে।” “ভবিষ্যতে তারা যেন কেবল ভালো খেলোয়াড়ই নয়, ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। বাফুফে সভাপতি (তাবিথ আউয়াল) ও সহ-সভাপতির (নাসের জাহেদি) সাথে আমার আলোচনা হয়েছে। আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। আমরা ফুটবলারদের উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাব। আমাদের মূল মনোযোগ থাকবে খেলোয়াড়দের উন্নয়নে কাজ করা। এখানে শুধু কাজই প্রাধান্য পাবে।” ২০০৮ সালে জাতীয় পুরুষ দলে সহকারী কোচ হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন ছোটন। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চলা এলিট একাডেমির দায়িত্ব নিয়ে ছেলেদের ফুটবলে ফিরলেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

ছোটন ফিরলেন এলিট একাডেমির কোচ হয়ে

আপডেট সময় : ০৬:৩০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: কদিন ধরে চলা গুঞ্জন সত্যি হলো। বাংলাদেশের প্রথম উইমেন’স সাফ জয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ফিরলেন এলিট একাডেমির কোচ হয়ে। সবশেষ পিটার জেমস বাটলার সামলান এলিট একাডেমির দায়িত্ব। গত উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তাকে মেয়েদের জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নানা টানাপোড়েনের মধ্যেও বাটলারের কোচিংয়ে নেপাল থেকে শিরোপা নিয়ে ফেরে সাবিনা-মারিয়ারা। উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্যের গল্প লেখা ২০২২ সালে, ছোটনের হাত ধরে। সেবার কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই সাফল্যের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে ছোটনের পথচলা দীর্ঘায়িত হয়নি, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। এরপর তিনি হাল ধরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলের। ছোটনের উত্তরসূরি হিসেবে সাফের মুকুট ধরে রাখার মিশনে সফল ইংলিশ কোচ বাটলারকে রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে ছোটনকে ফেরানোর কথাও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল বাফুফে। এলিট একাডেমির কোচের দায়িত্ব নিয়ে ছোটন তার বার্তায় জানালেন, ফুটবলের উন্নয়নে সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার আশাবাদ। “অনেকদিন পর আপনাদের সাথে এখানে কথা বলছি। আমাকে আবার ফুটবল ফেডারেশনে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। নতুনভাবে আবার এখানে (বাফুফে) এলাম। আমি মনে করি, আগে যেভাবে কাজ করেছি, এখনও সেভাবেই কাজ করতে পারব। যুব ফুটবল উন্নয়নের যে দায়িত্ব পেয়েছি, আমি মনে করি, এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দিকেই আমার দৃষ্টি থাকবে।” “ভবিষ্যতে তারা যেন কেবল ভালো খেলোয়াড়ই নয়, ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে। বাফুফে সভাপতি (তাবিথ আউয়াল) ও সহ-সভাপতির (নাসের জাহেদি) সাথে আমার আলোচনা হয়েছে। আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। আমরা ফুটবলারদের উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাব। আমাদের মূল মনোযোগ থাকবে খেলোয়াড়দের উন্নয়নে কাজ করা। এখানে শুধু কাজই প্রাধান্য পাবে।” ২০০৮ সালে জাতীয় পুরুষ দলে সহকারী কোচ হিসেবে কিছুদিন কাজ করেন ছোটন। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে চলা এলিট একাডেমির দায়িত্ব নিয়ে ছেলেদের ফুটবলে ফিরলেন তিনি।