ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ছেলের আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তায় মিঠুনের চোখে জল

ছেলের আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তায় মিঠুনের চোখে জল

  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : টালিউড ও বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কয়েক দশক ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। জনপ্রিয় এ অভিনেতা বাংলাদেশেও বেশ দর্শকপ্রিয়। অভিনয় নৈপুণ্যতা দিয়ে তিনি ‘শক্তিমান’ অভিনেতার তকমাও লাভ করেছেন। কেউ বা আবার তাকে ‘মহাগুরু’ বলেও সম্বোধন করেন। সম্প্রতি জি-বাংলার ডান্স বাংলা ডান্সে মহাগুরুর আসনে বসেছিলেন মিঠুন। সম্প্রতি শেষ হয়েছে সেই রিয়েলিটি শো। এরপরই বিরতি না নিয়ে অভিনেতাকে বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে সারেগামাপাতে।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) সেই শোয়ের একটি পর্বের প্রোমোর এক ঝলক দেখা যায়। সেখানে অভিনেতার ছেলে নমশি চক্রবর্তীর একটি আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তা দেখা যায়। ভিডিওতে মেসেজেটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিঠুন। ভিডিওতে নমশি বলেন, ‘আমি আমার বাবা-মায়ের খুব ভালো বন্ধু। বাবা আমার সব। আমরা তাকে পাপা বলি না, বাড়িতে মিঠুন বলে ডাকি। কিছু চাওয়ার আগেই তিনি আমাদের সবকিছু দিয়েছেন। একদিন আমি মা-কে বলছিলাম যে আমরা জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি এবং এর জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়নি। কারণ আমরা একজন সুপারস্টারের ঘরে জন্মেছি। এখন ওনার বয়স ৭৩ বছর। এবং তিনি তার প্রত্যেকটা সিনেমা সততার সঙ্গে করেছেন। তার ক্যারিয়ার পরামর্শ হল যে, সর্বদা নিজের ১০০ ভাগ দিয়ে কাজ কর।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০০ সাল, এমন একটা সময় ছিল যখন তার সিনেমাগুলো তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তার ৪৫ বছরের ক্যারিয়ার, তিনি করোনা মহামারির দুই বছর ছাড়া আর কখনো ঘরে বসে থাকেননি। তিনি সবসময় কাজ করে গিয়েছেন। তার স্টারডম কোনোদিনই ছেড়ে যায়নি। পর্দার বাইরেও তিনি আমার হিরো। সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ বাবা।’
কিছুদিন আগে ‘সারেগামাপা’তে মিঠুন দা স্পেশাল পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে অভিনেতা নিজের সম্পর্কে অনেক অজানা কথা বলেন। প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে কথা ওঠায় তিনি জানান তার জীবনে একাধিক প্রেম আসে।
কিন্তু সম্পর্ক যতই গভীর থাকুক না কেন তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি। তিনি বলেন, ভালোবাসার ব্যথর্তাই তাকে সাধারণ অভিনেতা থেকে সুপারস্টার হতে সাহায্য করেছে। দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’তে শেষবার দেখা যায় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। এরপর পরিচালক সুমন ঘোষের আগামী সিনেমা ‘কাবুলিওয়ালা’র চরিত্রে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। ২০১২ সালে ‘নোবেল চোর’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন এ পরিচালক-অভিনেতা জুটি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভূমিকম্পে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত, রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

ছেলের আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তায় মিঠুনের চোখে জল

ছেলের আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তায় মিঠুনের চোখে জল

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : টালিউড ও বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কয়েক দশক ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। জনপ্রিয় এ অভিনেতা বাংলাদেশেও বেশ দর্শকপ্রিয়। অভিনয় নৈপুণ্যতা দিয়ে তিনি ‘শক্তিমান’ অভিনেতার তকমাও লাভ করেছেন। কেউ বা আবার তাকে ‘মহাগুরু’ বলেও সম্বোধন করেন। সম্প্রতি জি-বাংলার ডান্স বাংলা ডান্সে মহাগুরুর আসনে বসেছিলেন মিঠুন। সম্প্রতি শেষ হয়েছে সেই রিয়েলিটি শো। এরপরই বিরতি না নিয়ে অভিনেতাকে বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে সারেগামাপাতে।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) সেই শোয়ের একটি পর্বের প্রোমোর এক ঝলক দেখা যায়। সেখানে অভিনেতার ছেলে নমশি চক্রবর্তীর একটি আবেগপ্রবণ ভিডিও বার্তা দেখা যায়। ভিডিওতে মেসেজেটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মিঠুন। ভিডিওতে নমশি বলেন, ‘আমি আমার বাবা-মায়ের খুব ভালো বন্ধু। বাবা আমার সব। আমরা তাকে পাপা বলি না, বাড়িতে মিঠুন বলে ডাকি। কিছু চাওয়ার আগেই তিনি আমাদের সবকিছু দিয়েছেন। একদিন আমি মা-কে বলছিলাম যে আমরা জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি এবং এর জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়নি। কারণ আমরা একজন সুপারস্টারের ঘরে জন্মেছি। এখন ওনার বয়স ৭৩ বছর। এবং তিনি তার প্রত্যেকটা সিনেমা সততার সঙ্গে করেছেন। তার ক্যারিয়ার পরামর্শ হল যে, সর্বদা নিজের ১০০ ভাগ দিয়ে কাজ কর।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০০ সাল, এমন একটা সময় ছিল যখন তার সিনেমাগুলো তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। তার ৪৫ বছরের ক্যারিয়ার, তিনি করোনা মহামারির দুই বছর ছাড়া আর কখনো ঘরে বসে থাকেননি। তিনি সবসময় কাজ করে গিয়েছেন। তার স্টারডম কোনোদিনই ছেড়ে যায়নি। পর্দার বাইরেও তিনি আমার হিরো। সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ বাবা।’
কিছুদিন আগে ‘সারেগামাপা’তে মিঠুন দা স্পেশাল পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে অভিনেতা নিজের সম্পর্কে অনেক অজানা কথা বলেন। প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে কথা ওঠায় তিনি জানান তার জীবনে একাধিক প্রেম আসে।
কিন্তু সম্পর্ক যতই গভীর থাকুক না কেন তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি। তিনি বলেন, ভালোবাসার ব্যথর্তাই তাকে সাধারণ অভিনেতা থেকে সুপারস্টার হতে সাহায্য করেছে। দেব অভিনীত ও প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’তে শেষবার দেখা যায় বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। এরপর পরিচালক সুমন ঘোষের আগামী সিনেমা ‘কাবুলিওয়ালা’র চরিত্রে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে। ২০১২ সালে ‘নোবেল চোর’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন এ পরিচালক-অভিনেতা জুটি।