ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ নেতার দাফন সম্পন্ন

  • আপডেট সময় : ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কদ্দুছ শিপলুর ছুরিকাঘাতে নিহত পৌর যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। বুধবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় ছাতক উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একই দিনে বিকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়েই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার রেখেছে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোহাম্মাদ মাঈনুল জাকির, ছাতক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম শামিম, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল, ছাতক পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রশিদ আহমদ খসরু, কাউন্সিলর ছালেক মিয়া, কাউন্সিলর হাজী নাজিমুল হক, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আজমল হোসেন সজলসহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের ছাতকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার সময় থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর গনেশপুর খেয়াঘাটের একটি চা স্টলে বসে চা পান করছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়া। এ সময় অতর্কিত এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে ছাতক পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ ছাতক উপজেলার আবদুল কদ্দুছ শিপলুসহ তার কয়েকজন সহযোগী। ঘটনার পরপর হত্যাকারীরা থানার সামনে দিয়ে দ্রুত সুরমা নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন খুনিদেরকে ধাওয়া করলেও আটক করতে পারেনি। জানা যায়, ছাতক পৌরশহরের মন্ডলীভোগ এলাকার লাল মসজিদ কমিটি নিয়ে লায়েক মিয়া ও আবদুল কদ্দুছ শিপলুর পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত লায়েক মিয়াকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খান মাঈনুল জাকির জানান, পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত এরশাদ, তাজউদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ নেতার দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় : ১১:১৪:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কদ্দুছ শিপলুর ছুরিকাঘাতে নিহত পৌর যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। বুধবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় ছাতক উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একই দিনে বিকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়েই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার রেখেছে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোহাম্মাদ মাঈনুল জাকির, ছাতক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম শামিম, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল, ছাতক পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রশিদ আহমদ খসরু, কাউন্সিলর ছালেক মিয়া, কাউন্সিলর হাজী নাজিমুল হক, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আজমল হোসেন সজলসহ প্রমুখ। উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের ছাতকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার সময় থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর গনেশপুর খেয়াঘাটের একটি চা স্টলে বসে চা পান করছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়া। এ সময় অতর্কিত এসে তাকে ছুরিকাঘাত করে ছাতক পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ ছাতক উপজেলার আবদুল কদ্দুছ শিপলুসহ তার কয়েকজন সহযোগী। ঘটনার পরপর হত্যাকারীরা থানার সামনে দিয়ে দ্রুত সুরমা নদী পার হয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন খুনিদেরকে ধাওয়া করলেও আটক করতে পারেনি। জানা যায়, ছাতক পৌরশহরের মন্ডলীভোগ এলাকার লাল মসজিদ কমিটি নিয়ে লায়েক মিয়া ও আবদুল কদ্দুছ শিপলুর পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত লায়েক মিয়াকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খান মাঈনুল জাকির জানান, পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত এরশাদ, তাজউদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করেছে।