ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছুঁতে পারে দীর্ঘশ্বাস

  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

রওশন রুবী : অভিমান কতো বড় হলে ছুঁতে পারে দীর্ঘশ্বাস
বলতে পারো সুলেখা?
কতদিন বাড়ি না ফিরলে মুসাফির হয়?
সদ্যজাতকের কান্না বুকে দাঁড়িয়ে আছে ফুলমৌসুম,
আমি তোমার জন্য প্রচন্ড-শীত উপেক্ষা করেছি,
গ্রীষ্মের দাবদাহ ঠেলে সামনে এগিয়েছি,
কবে কবে পাতাগুলো ঝরে গেছে, ছায়াহীন শ্মশান;
বিধবার ক্রন্দন ক্রমশ সকাল দুপুর বিকেল রাত্রি হয়ে
বহুদিন বহুপথ অতিক্রম শেষে
ভূমিহীন আমার বুকে আশ্রয় নিয়েছে।

অভিমান কতো বড় হলে দেখবে না শালিক, চড়ুই।
রাঁধাচূড়া, বকুল, গোলাপ- ভরবে না অস্থির-মন,
ঘাসফুল হাতে নিয়ে আঁকবে না স্বপ্নতিলক,
ক্যানভাসে খদ্দেরের ভিড়ে খন্দকার বাড়ির ফটক ঝোলাবে না চাঁদমূখী ভোর।
শহর কী গ্রাম, নদী কী বন্দর, লক্ষ্মীপুর কী তেঁতুলিয়া,
বাংলাদেশ কী জাপান সব যেন ওজন স্তরের
নিচে নেমে যাওয়া কোন এক বিমূর্তসময়,
যার ক্রিয়া-প্রতিক্রয়া নেই; ব্যর্থতা সফলতা নেই; হাইব্রিড কণ্ঠের তর্জমা নেই।
সব যেন আটোমেটিক মেশিনের অবিকল।

অভিমান কত বড় হলে দূরত্ব-ঘোড়া গতি বাড়িয়ে ছোটে, ছুটতেই থাকে; সুলেখা তুমি কি জানো?

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছুঁতে পারে দীর্ঘশ্বাস

আপডেট সময় : ১০:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

রওশন রুবী : অভিমান কতো বড় হলে ছুঁতে পারে দীর্ঘশ্বাস
বলতে পারো সুলেখা?
কতদিন বাড়ি না ফিরলে মুসাফির হয়?
সদ্যজাতকের কান্না বুকে দাঁড়িয়ে আছে ফুলমৌসুম,
আমি তোমার জন্য প্রচন্ড-শীত উপেক্ষা করেছি,
গ্রীষ্মের দাবদাহ ঠেলে সামনে এগিয়েছি,
কবে কবে পাতাগুলো ঝরে গেছে, ছায়াহীন শ্মশান;
বিধবার ক্রন্দন ক্রমশ সকাল দুপুর বিকেল রাত্রি হয়ে
বহুদিন বহুপথ অতিক্রম শেষে
ভূমিহীন আমার বুকে আশ্রয় নিয়েছে।

অভিমান কতো বড় হলে দেখবে না শালিক, চড়ুই।
রাঁধাচূড়া, বকুল, গোলাপ- ভরবে না অস্থির-মন,
ঘাসফুল হাতে নিয়ে আঁকবে না স্বপ্নতিলক,
ক্যানভাসে খদ্দেরের ভিড়ে খন্দকার বাড়ির ফটক ঝোলাবে না চাঁদমূখী ভোর।
শহর কী গ্রাম, নদী কী বন্দর, লক্ষ্মীপুর কী তেঁতুলিয়া,
বাংলাদেশ কী জাপান সব যেন ওজন স্তরের
নিচে নেমে যাওয়া কোন এক বিমূর্তসময়,
যার ক্রিয়া-প্রতিক্রয়া নেই; ব্যর্থতা সফলতা নেই; হাইব্রিড কণ্ঠের তর্জমা নেই।
সব যেন আটোমেটিক মেশিনের অবিকল।

অভিমান কত বড় হলে দূরত্ব-ঘোড়া গতি বাড়িয়ে ছোটে, ছুটতেই থাকে; সুলেখা তুমি কি জানো?