নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময় শিক্ষকতা করতেন। ২০০৫ সালে একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। এরপর যোগ দেন একটি ডিগ্রি কলেজে। সেখানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে নামেন ব্যবসায়। ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। এরপর বেছে নেন প্রতারণার পথ। প্রভাষক থেকে প্রতারক বনে যাওয়া এই ব্যক্তির নাম মো. সাইদুল ইসলাম (৫০)। জাপানে পাঠানোর নামে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওয়েসিস নেটলিংক লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জাপানে পাঠানোর নামে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাইদুল। তিনি ঢাকার মেহেরুন্নেছা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ছিলেন, অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজেও। কিন্তু পরে তিনি প্রতারণায় জড়িয়ে যান।
পুলিশ জানায়, সাইদুল ওয়েসিস নেট লিংক লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসডব্লিউ এবং টিআইটিপি (ঝঝড ও ঞওঞচ) ক্যাটাগরিতে ওয়ার্কিং ভিসায় জাপানে লোক পাঠানো হয় বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। অথচ তার প্রতিষ্ঠান শুধু জাপানি ভাষা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত! জাপানে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিকেল ফিসহ অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতিজনের কাছ থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। এভাবে ৫০ জনের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। টাকা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যেই তাদের জাপান পাঠানোর কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে ওয়েসিংস নেট লিংক নানারকম টালবাহানা শুরু করে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলে গ্রেপ্তার করা হয় সাইদুলকে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও তিনটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ছিলেন রসায়নের প্রভাষক, গ্রেপ্তার হলেন প্রতারণার মামলায়
জনপ্রিয় সংবাদ