নিজস্ব প্রতিবেদক : মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে রাজধানীতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে মিরপুরে রাইনখোলা বড় মসজিদের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন- রেজা মো. সাইমুন ওরফে তরুণ এবং সাদমান সাকিব। এরমধ্যে সাইমন তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।
মেধাবি শিক্ষার্থী থেকে দুর্র্ধষ চোর: ছোটবেলা থেকেই সাইমুন তরুণ ছিলেন মেধাবি শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু স্নাতক শেষ করতে পারেননি। ২০১৫ সালে ৪র্থ বর্ষে থাকাকালীন সময়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পর সাইমন পড়াশোনা ছেড়ে দেন। কিছুদিন একটি গানের দলে ছিলেন; আবার বিভিন্ন স্টেজ শো করতেন। কিন্তু পরে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পড়েন। মিরপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জে বিক্রি করত সাইমন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার সাজাও হয়। সাইমনের অপর সহযোগি সাকিব আর্কিটেকচারাল ভিজুয়ালাইজেশন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ২০১৫ সালে ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটি অধীনে উওচঞও ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্যাম্পাস থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেন।
ইউটিউব থেকে শেখেন চুরি বিদ্যা: সাধারণত মোটরসাইকেল চুরি, অন্য কোনো চোরের কাছ থেকে শিখে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে সাইমন ভিন্নভাবে শিখেছেন। তিনি ইউটিউব থেকে চুরি বিদ্যা শিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। মোটরসাইকেলের তালা কীভাবে ভাঙে সেটা শিখে প্রথমে নিজের মোটরসাইকেলে প্রয়োগ করেন। এরপর শুরু করেন মোটরসাইকেল চুরি। প্রথম প্রথম ধরা না পড়লেও পরে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হয়ে ১৫ মাস কারাগারে থাকেন। মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, দুই মাস আগে মহসিন জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। শনিবার রাতে আবারও মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলে সাধারণ জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের আরেক সহযোগী সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী, এখন করেন মোটরসাইকেল চুরি!
ট্যাগস :
ছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
জনপ্রিয় সংবাদ