প্রত্যাশা ডেস্ক : ছায়াপথে প্রতিদিনই রহস্যময় আলোর বিচ্ছুরণ হয় কম করে ৫ থেকে ১০ হাজারটি। এক সেকেন্ডের ১০ হাজার ভাগেরও কম সময়ে তারা দপ করে জ্বলে ওঠে। হঠাৎ তারপর নিঃশব্দে উধাও হয়ে যায় সকলের অজান্তে। এই আলো ঠিক কোথা থেকে আসছে, তা জ্বলছে আমাদের থেকে কতটা দূরে, তা এখনও পর্যন্ত কেউই বুঝতে পারেননি। জানতে পারেনি সেই ভিনগ্রহীদের আলো কেন জ্বলছে? এসব আলোর উজ্জ্বলতা সূর্যালোকের এক হাজার লক্ষ গুণ বেশি।
টানা ১০০ বছর ধরে সূর্যের বিকিরণ যতটা শক্তি জোগাতে পারে এই রহস্যে মোড়া আলো সেই পরিমাণ শক্তি ছড়িয়ে দেয় এক সেকেন্ডের এক হাজার ভাগের মাত্র এক ভাগ সময়ে। চোখের পলক পড়ার আগেই উধাও হয়ে যায় সেই রহস্যের আলো। এমন রহস্যে মোড়া আলোর ঝলক দেখা গিয়েছে মিল্কিওয়ে ছায়াপথেই।
পৃথিবী থেকে ৩০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এই প্রথম আমাদের ছায়াপথে সেই রহস্যময় আলোর ঝলক ধরা পড়েছে পৃথিবীতে বসানো দুইটি অত্যন্ত শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ- ‘দ্য কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (কাইম)’ এবং ‘সার্ভে ফর ট্রানজিয়েন্ট অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রেডিয়ো এমিশন (স্টেয়ার-২)’-এ।
এর আগে এই ধরনের রহস্যময় যে সব আলোর ঝলক আমাদের রেডিয়ো টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল, সেগুলো ছিল বহু দূরে থাকা অন্যান্য ছায়াপথের। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় এদের নাম ‘ফাস্ট রেডিয়ো বার্স্ট (এফআরবি)’। সেই সূত্রে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এফআরবি-২০০৪২৮’। তাদের উৎস কী, কেন তাদের অত অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়, তার পর কেন তারা হারিয়ে যায়, সে সবের কোনও কারণ এখনও সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের। তার একটাই কারণ, সেগুলো ছিল আমাদের ছায়াপথ থেকে অনেক অনেক দূরে। এর ফলে এ বার এই অত্যন্ত শক্তিশালী আলোর ঝলকের রহস্য উন্মোচনের প্রয়াস কিছুটা সহজ হলেও হতে পারে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
ছায়াপথে রহস্যময় আলোর ঝলক
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ