ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ক’জন সত্যিকারের ছাত্র, প্রশ্ন মঈন খানের

  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে ৩ জন আছেন, এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই— এই যে চারটি গ্রুপ যে রয়েছে, তাদের মধ্যে ক’জন সত্যিকারের ছাত্র রয়েছে?

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকাস্থ মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম কর্তৃক ‘গণঅভ্যুত্থান, গণপ্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রাজপথে যারা ছিল, যারা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিল। যারা সত্যিকারের ছাত্র রাজপথে ছিল, তারা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না? এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তারা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেয়নি, তারা পরিচয় দিয়েছিল সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারবো না।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। যে মুহূর্তে তারা পক্ষপাতিত্বে চলে যাবেন, তখনই তাদের কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি? ১৮ কোটি মানুষ কি দায়িত্ব দেয়নি? তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে? সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আমরা আবু সাঈদকে দেখেছি, তোমরা গুলি করো কিন্তু আমি প্রত্যয় থেকে সরবো না। যে ছেলেটি আন্দোলনকারীদের পানি খাইয়েছে, তার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না৷ সব কিছু ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।

কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিন্তু এই সরকার আসেনি উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, এই সরকার একটি বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, সেই দায়িত্বটি কী? স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে বাংলাদেশকে রূপান্তর করতে হবে। এটা ছোটখাটো জিনিস নয়, আমি আনন্দিত তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না দায়িত্বটি তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য।

সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেলো সেটাকে বুঝায় না। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইন-বিবেক অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার নির্দেশনা আইন উপদেষ্টার

ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ক’জন সত্যিকারের ছাত্র, প্রশ্ন মঈন খানের

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে ৩ জন আছেন, এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই— এই যে চারটি গ্রুপ যে রয়েছে, তাদের মধ্যে ক’জন সত্যিকারের ছাত্র রয়েছে?

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকাস্থ মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম কর্তৃক ‘গণঅভ্যুত্থান, গণপ্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রাজপথে যারা ছিল, যারা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিল। যারা সত্যিকারের ছাত্র রাজপথে ছিল, তারা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না? এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তারা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেয়নি, তারা পরিচয় দিয়েছিল সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারবো না।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। যে মুহূর্তে তারা পক্ষপাতিত্বে চলে যাবেন, তখনই তাদের কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি? ১৮ কোটি মানুষ কি দায়িত্ব দেয়নি? তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে? সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আমরা আবু সাঈদকে দেখেছি, তোমরা গুলি করো কিন্তু আমি প্রত্যয় থেকে সরবো না। যে ছেলেটি আন্দোলনকারীদের পানি খাইয়েছে, তার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না৷ সব কিছু ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।

কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিন্তু এই সরকার আসেনি উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, এই সরকার একটি বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, সেই দায়িত্বটি কী? স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে বাংলাদেশকে রূপান্তর করতে হবে। এটা ছোটখাটো জিনিস নয়, আমি আনন্দিত তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না দায়িত্বটি তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য।

সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেলো সেটাকে বুঝায় না। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।