ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ছাত্র আন্দোলন সিলেটে কবর থেকে তোলা হচ্ছে নিহত ৬ জনের মরদেহ

  • আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে

সিলেট সংবাদদাতা : সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ছয়জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে। এরইমধ্যে চারটি মরদেহ তোলার জন্য চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব প্রস্তুতি শেষ হলে যেকোনো সময় মরদেহ কবর থেকে তোলা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিচারক আবিদা সুলতানা মলি নিহত ছয়জনের মরদেহ তোলার আদেশ দেন। পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগেরদিন গোলাপগঞ্জে ছাত্র-আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৪), দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের মৃত সুরই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ জয় (২০), শিলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ (২২), বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩) ও ঘোষগাঁও ফুলবাড়ি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন (৩৫)। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় পৃথকভাবে ছয়টি মামলা হয়। আরও একটি মামলা করা হয় আদালতে। সবকটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ কয়েকশ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানায়, সরকার পতনের কারণে সেসময় মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত করা হয়নি। যে কারণে ময়নাতদন্তের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ তোলার আদেশ দিয়েছেন। এরইমধ্যে চারটি মরদেহ কবর থেকে তোলার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, এরইমধ্যে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটকে চারটি মরদেহ তোলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সময় কবর থেকে মরদেহ তোলা হবে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্র আন্দোলন সিলেটে কবর থেকে তোলা হচ্ছে নিহত ৬ জনের মরদেহ

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সিলেট সংবাদদাতা : সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ছয়জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে। এরইমধ্যে চারটি মরদেহ তোলার জন্য চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব প্রস্তুতি শেষ হলে যেকোনো সময় মরদেহ কবর থেকে তোলা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এর বিচারক আবিদা সুলতানা মলি নিহত ছয়জনের মরদেহ তোলার আদেশ দেন। পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের আগেরদিন গোলাপগঞ্জে ছাত্র-আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৪), দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের মৃত সুরই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ জয় (২০), শিলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ (২২), বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩) ও ঘোষগাঁও ফুলবাড়ি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন (৩৫)। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় পৃথকভাবে ছয়টি মামলা হয়। আরও একটি মামলা করা হয় আদালতে। সবকটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ কয়েকশ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানায়, সরকার পতনের কারণে সেসময় মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত করা হয়নি। যে কারণে ময়নাতদন্তের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ তোলার আদেশ দিয়েছেন। এরইমধ্যে চারটি মরদেহ কবর থেকে তোলার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, এরইমধ্যে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটকে চারটি মরদেহ তোলার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো সময় কবর থেকে মরদেহ তোলা হবে।