নিজস্ব প্রতিবেদক: গভীর রাতে ভোট বর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা অভিযোগ করে বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘বেঈমানি’ ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর ) নির্বাচনের পর বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে।’
জুলাই গণঅভ্যুথানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা উমামা বলেন, ‘কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো। নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে- তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের আবু সাদেক কায়েম ভিপি ও এসএম ফরহাদ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জিএস হওয়ার পথে। বেশিরভাগ হলগুলোতে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়েছেন।
তবে ছাত্রশিবির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভোট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাদের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, কেউ কেউ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আরেকটি ফেসবুক পোস্টে কারচুপির অভিযোগ তুলে ডাকসু নির্বাচনের ফল বর্জনের ঘোষণা দেন উমামা। তিনি লেখেন, ‘বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া উমামা আরো লেখেন, ‘৫ আগস্টের পর জাতিকে লজ্জা উপহার দিলো ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।’
উমামার আগে ফল প্রত্যাখ্যান করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে প্রার্থী হন উমামা। এ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ছিলেন আল সাদী ভূঁইয়া। জাহিদ আহমেদ লড়েন এজিএস পদে।
সানা/আপ্র/১০/০৯/২০২৫