ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

ছাত্রদল নেতা ও শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবারের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের সড়ক ছেড়ে দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তারা শাহবাগ অবরোধ করে। পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধের পর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর শাহবাগ মোড় দিয়ে আবার যান চলাচল শুরু হয়। অবরোধ চলাকালে ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা শাহবাগে অবস্থান করেন।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন ছাত্রদলের এই অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। শাহবাগ ছাড়ার আগে নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রদলের আর কোনো নেতা–কর্মীর ওপর যদি আঘাত করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন নাছির উদ্দীন। শাহরিয়ার হত্যার এত দিন পরেও কেন ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি, সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

শাহরিয়ার হত্যা মামলার তদন্তে ‘গাফিলতি’র প্রতিবাদ এবং ‘প্রকৃত’ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গত রোববার বিকেলেও পৌনে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্রদল। সেই কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। শাহরিয়ারের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারে সরকারের সদিচ্ছার অভাব দেখা গেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরা করার হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁরা।

গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তর করছিলেন। শাহরিয়ার হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই তিনজনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্রদল নেতা ও শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবারের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের সড়ক ছেড়ে দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তারা শাহবাগ অবরোধ করে। পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধের পর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার পর শাহবাগ মোড় দিয়ে আবার যান চলাচল শুরু হয়। অবরোধ চলাকালে ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা শাহবাগে অবস্থান করেন।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন ছাত্রদলের এই অবরোধ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। শাহবাগ ছাড়ার আগে নাছির উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রদলের আর কোনো নেতা–কর্মীর ওপর যদি আঘাত করা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন নাছির উদ্দীন। শাহরিয়ার হত্যার এত দিন পরেও কেন ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা যায়নি, সেই প্রশ্নও রেখেছেন তিনি।

শাহরিয়ার হত্যা মামলার তদন্তে ‘গাফিলতি’র প্রতিবাদ এবং ‘প্রকৃত’ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে গত রোববার বিকেলেও পৌনে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্রদল। সেই কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। শাহরিয়ারের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারে সরকারের সদিচ্ছার অভাব দেখা গেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরা করার হুমকিও দিয়েছিলেন তাঁরা।

গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তর করছিলেন। শাহরিয়ার হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই তিনজনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।