ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ছবি প্রতি পারিশ্রমিক ৩০ লাখ হাঁকচ্ছেন রাজ!

  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : চলতি বছর মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ ছবি দুটি সুপারহিট হয়েছে। দুটিতেই প্রাণভোমরা হিসেবে দেখা যায় শরিফুল রাজকে। পরপর ছবি দুটির সাফল্যে এক লাফে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছেন আলোচিত নায়ক রাজ। জানা যায়, আগামীর জন্য তিনি ছবি প্রতি ৩০ লাখ পারিশ্রমিক হাঁকাচ্ছেন! বর্তমানে রাজের হাতে আছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’ ছবি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘দেয়ালের দেশ’ নামে আরেক ছবি। এসব শুটিং আগেই শুরু হয়েছে। তবে নতুন করে ছবি শুরুর আগে ‘আইসক্রিম’ ছবির এই অভিনেতা নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়। শুক্রবার ২ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের এক হোটেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে রাজ জানান, তিনি যে পারিশ্রমিক চাচ্ছেন, তা মোটেও ‘অতিরিক্ত’ নয়। ৩০ লাখ পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে রাজ বলেন, একজন শিল্পী কত টাকা পারিশ্রমিক নেবে, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার? আমার কথা যদি বলি, আমি কিন্তু এক মাসের মধ্যে একটা সিনেমা করি না। দীর্ঘ সময় লাগে। নয়মাস আগে ধরে কাজল রেখার শুটিং করেছি। একটি কাজ করলে এর মধ্যে অন্য কাজ হাতে নেই না। এই আট-নয় মাস আমার জীবনযাপনের খরচ তো মেটাতে হবে। যেহেতু আমার এটাই পেশা। সেই হিসাবেই আমি পারিশ্রমিক চাইছি। এর কারণে অনেক ছবি হাতছাড়া হয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে রাজ জানান, তিনি এটা নিয়ে একদমই ভাবেন নন।
ক্যারিয়ারের এই সময়টাতে সবকিছু বুঝেই পা ফেলছেন শরিফুল রাজ। তিনি বলেন, সংবাদকর্মী ভাইরা আমাকে অনেক ছোটবেলা থেকে চেনেন। যখন শুরু করেছিলাম তখন আমার পারিশ্রমিক বেশী ছিল না। এখন আমার লিভিং খরচ যেটা হচ্ছে, সেই হিসেব করেই পারিশ্রমিক চাইছি। দুটি সুপারহিট ছবি উপহার দেয়ার পর রাজের সিনেমা যাত্রা অনেকটা মসৃণ হয়েছে। সেই কারণে তার অনেকগুলো ছবির প্রস্তাব গেছে। রাজ বলেন, শেষ কয়েক মাসে বহু পরিচালকের কল পেয়েছি। স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। তারা আমাকে নিয়ে সিনেমা করতে চেয়েছেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নতুন ছবির মিটিং হয়েছে। কিন্তু প্রজেক্ট ভালো লেগেছে, অনেকগুলো ব্যাটেবলে মেলেনি। ”আমি খুব বেছে বেছে প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছি। শুরু থেকে আমি কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন। এই কারণে আমার সিনেমার সংখ্যা কম। এতো সিনেমা ছেড়ে না দিলে হয়তো ফিনান্সিয়ালি লাভবান হতাম। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে সরে যাইনি। আমি এভাবেই কাজ করে যাবো।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছবি প্রতি পারিশ্রমিক ৩০ লাখ হাঁকচ্ছেন রাজ!

আপডেট সময় : ১২:২৯:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : চলতি বছর মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ ছবি দুটি সুপারহিট হয়েছে। দুটিতেই প্রাণভোমরা হিসেবে দেখা যায় শরিফুল রাজকে। পরপর ছবি দুটির সাফল্যে এক লাফে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছেন আলোচিত নায়ক রাজ। জানা যায়, আগামীর জন্য তিনি ছবি প্রতি ৩০ লাখ পারিশ্রমিক হাঁকাচ্ছেন! বর্তমানে রাজের হাতে আছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজল রেখা’ ছবি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘দেয়ালের দেশ’ নামে আরেক ছবি। এসব শুটিং আগেই শুরু হয়েছে। তবে নতুন করে ছবি শুরুর আগে ‘আইসক্রিম’ ছবির এই অভিনেতা নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়। শুক্রবার ২ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের এক হোটেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে রাজ জানান, তিনি যে পারিশ্রমিক চাচ্ছেন, তা মোটেও ‘অতিরিক্ত’ নয়। ৩০ লাখ পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে রাজ বলেন, একজন শিল্পী কত টাকা পারিশ্রমিক নেবে, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার? আমার কথা যদি বলি, আমি কিন্তু এক মাসের মধ্যে একটা সিনেমা করি না। দীর্ঘ সময় লাগে। নয়মাস আগে ধরে কাজল রেখার শুটিং করেছি। একটি কাজ করলে এর মধ্যে অন্য কাজ হাতে নেই না। এই আট-নয় মাস আমার জীবনযাপনের খরচ তো মেটাতে হবে। যেহেতু আমার এটাই পেশা। সেই হিসাবেই আমি পারিশ্রমিক চাইছি। এর কারণে অনেক ছবি হাতছাড়া হয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে রাজ জানান, তিনি এটা নিয়ে একদমই ভাবেন নন।
ক্যারিয়ারের এই সময়টাতে সবকিছু বুঝেই পা ফেলছেন শরিফুল রাজ। তিনি বলেন, সংবাদকর্মী ভাইরা আমাকে অনেক ছোটবেলা থেকে চেনেন। যখন শুরু করেছিলাম তখন আমার পারিশ্রমিক বেশী ছিল না। এখন আমার লিভিং খরচ যেটা হচ্ছে, সেই হিসেব করেই পারিশ্রমিক চাইছি। দুটি সুপারহিট ছবি উপহার দেয়ার পর রাজের সিনেমা যাত্রা অনেকটা মসৃণ হয়েছে। সেই কারণে তার অনেকগুলো ছবির প্রস্তাব গেছে। রাজ বলেন, শেষ কয়েক মাসে বহু পরিচালকের কল পেয়েছি। স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। তারা আমাকে নিয়ে সিনেমা করতে চেয়েছেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নতুন ছবির মিটিং হয়েছে। কিন্তু প্রজেক্ট ভালো লেগেছে, অনেকগুলো ব্যাটেবলে মেলেনি। ”আমি খুব বেছে বেছে প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছি। শুরু থেকে আমি কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন। এই কারণে আমার সিনেমার সংখ্যা কম। এতো সিনেমা ছেড়ে না দিলে হয়তো ফিনান্সিয়ালি লাভবান হতাম। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে সরে যাইনি। আমি এভাবেই কাজ করে যাবো।”