ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টায় বিসিবি

  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : আইসিসির নতুন চক্রে কোনো বৈশ্বিক আসর আয়োজন কতটা কঠিন হবে, ভালোভাবেই বুঝতে পারছে বাংলাদেশ। তাই এককভাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। তিনি জানিয়েছেন, আট দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করবেন তারা। একই সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন।
২০২৪ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত আট বছরের চক্রে ছেলেদের ক্রিকেটে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে দুটি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চারটি ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে দুটি। সঙ্গে আছে চারটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
মেয়েদের ক্রিকেটেও আছে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও দুটি টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যুব পর্যায়ে আছে ছেলেদের চারটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, মেয়েদের চারটি অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আইসিসি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উন্মুক্ত বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে টুর্নামেন্টগুলোর আয়োজক দেশ। বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে এমনকি আইসিসির সহযোগী দেশগুলোরও। তবে ভারত ও ইংল্যান্ড শুরু থেকেই উন্মুক্ত বিডিংয়ের বিপক্ষে ছিল। শেষ পর্যন্ত আইসিসিও বিডিং পদ্ধতি থেকে সরে আসে। গত ১ জুন আইসিসির বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিডিংয়ের বদলে আইসিসির বোর্ডই ঠিক করে দেবে আসরগুলোর স্বাগতিক।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার বিসিবি প্রধান বললেন, অবকাঠামোগত কারণে এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া তাদের জন্য কঠিন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করবেন তারা।
“এখানে বেশ কিছু সমস্যা আছে। পুরুষদের বিশ্বকাপ নিয়ে যেটাৃএখানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম লাগবে। যারাই নেবে তাদের ১০টি পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধাসহ ভেন্যু থাকতে হবে। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ, আমাদের এত ভেন্যু নেই। যদি আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাইৃএটাও আমাদের জন্য কঠিন। আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। এটা আমাদের জন্য ঠিক আছে। আমরা ঠিক করেছি এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করব।”
১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল বাংলাদেশে। সেবার অবশ্য টুর্নামেন্টে খেলেনি তারা।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল এককভাবে। এছাড়াও ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরও হয়েছিল বাংলাদেশে।
নাজমুল জানালেন, এসিসির সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের চেষ্টা চালাবেন তারা। এজন্য দ্রুতই দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে চায় বোর্ড।
“ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমরা একা আয়োজন করতে পারব না। আমরা যৌথভাবে আয়োজনের চেষ্টা করব। আমাদের ইচ্ছা উপমহাদেশে যারা আছে তাদের নিয়ে, মানে এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) অধীনে যারা আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখব।”
“আমরা যদি একসঙ্গে দেই (বিড করি) তাহলে বিশ্বকাপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত আছে। এটায় সময় খুব কম। আমরা যাই করি না কেন দুই-একদিনের ভেতরে চূড়ান্ত করতে হবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টায় বিসিবি

আপডেট সময় : ১০:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : আইসিসির নতুন চক্রে কোনো বৈশ্বিক আসর আয়োজন কতটা কঠিন হবে, ভালোভাবেই বুঝতে পারছে বাংলাদেশ। তাই এককভাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। তিনি জানিয়েছেন, আট দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করবেন তারা। একই সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন।
২০২৪ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত আট বছরের চক্রে ছেলেদের ক্রিকেটে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে দুটি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চারটি ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে দুটি। সঙ্গে আছে চারটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
মেয়েদের ক্রিকেটেও আছে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও দুটি টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যুব পর্যায়ে আছে ছেলেদের চারটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, মেয়েদের চারটি অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আইসিসি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উন্মুক্ত বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে টুর্নামেন্টগুলোর আয়োজক দেশ। বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে এমনকি আইসিসির সহযোগী দেশগুলোরও। তবে ভারত ও ইংল্যান্ড শুরু থেকেই উন্মুক্ত বিডিংয়ের বিপক্ষে ছিল। শেষ পর্যন্ত আইসিসিও বিডিং পদ্ধতি থেকে সরে আসে। গত ১ জুন আইসিসির বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিডিংয়ের বদলে আইসিসির বোর্ডই ঠিক করে দেবে আসরগুলোর স্বাগতিক।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার বিসিবি প্রধান বললেন, অবকাঠামোগত কারণে এককভাবে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া তাদের জন্য কঠিন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করবেন তারা।
“এখানে বেশ কিছু সমস্যা আছে। পুরুষদের বিশ্বকাপ নিয়ে যেটাৃএখানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম লাগবে। যারাই নেবে তাদের ১০টি পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধাসহ ভেন্যু থাকতে হবে। এটা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ, আমাদের এত ভেন্যু নেই। যদি আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাইৃএটাও আমাদের জন্য কঠিন। আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। এটা আমাদের জন্য ঠিক আছে। আমরা ঠিক করেছি এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের চেষ্টা করব।”
১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল বাংলাদেশে। সেবার অবশ্য টুর্নামেন্টে খেলেনি তারা।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল এককভাবে। এছাড়াও ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরও হয়েছিল বাংলাদেশে।
নাজমুল জানালেন, এসিসির সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের চেষ্টা চালাবেন তারা। এজন্য দ্রুতই দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে চায় বোর্ড।
“ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমরা একা আয়োজন করতে পারব না। আমরা যৌথভাবে আয়োজনের চেষ্টা করব। আমাদের ইচ্ছা উপমহাদেশে যারা আছে তাদের নিয়ে, মানে এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) অধীনে যারা আছে তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখব।”
“আমরা যদি একসঙ্গে দেই (বিড করি) তাহলে বিশ্বকাপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমরা, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত আছে। এটায় সময় খুব কম। আমরা যাই করি না কেন দুই-একদিনের ভেতরে চূড়ান্ত করতে হবে।”