ক্রীড়া ডেস্ক: ৮ বছর পর মাঠে গড়াতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এ ছাড়া পাকিস্তানের মাটিতে আইসিসির কোনো ক্রিকেট ইভেন্ট হতে যাচ্ছে প্রায় তিন দশক পর। যে কারণে আসন্ন টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে মহাযজ্ঞ চলছে পাকিস্তানে। মাঠ সংস্কার থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা—প্রতিযোগিতা আয়োজনে চেষ্টার যেন কোনো কমতি রাখছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
আসন্ন টুর্নামেন্টটি সামনে রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী এবং রেঞ্জার্স মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রেঞ্জার্স মোতায়েনের অনুমোদন মন্ত্রিসভা থেকে পাওয়া গেছে। সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতি নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়ায় বারবার বলা হচ্ছিল, এখনো সংস্কার কাজ শেষ হয়নি ভেন্যুগুলোর। সেই সংশয় কাটিয়ে লাহোর স্টেডিয়াম উন্মোচন করেছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে সেখানে শুরু হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজও।
পাকিস্তান বৈশ্বিক এই আসর আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসীন নকভী। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতার জের ধরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণায় অনেক নাটকীয়তা ছিল। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানের তিন ভেন্যু লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিণ্ডি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হচ্ছে ম্যাচগুলো। প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্দা উঠবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। যেখানে পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু ও দুবাইয়ে (ভারতের ম্যাচ) হবে টুর্নামেন্টটির ১৫টি ম্যাচ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে গ্রুপ ‘এ’তে আছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।