ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটা

  • আপডেট সময় : ০৬:০০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: আট দলের আসরে উপমহাদেশের দল চারটি। এর তিনটিই পড়ল এক গ্রুপে। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গী বাংলাদেশ। তাদের অন্য প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। আইসিসি টুর্নামেন্টে যাদের রেকর্ড বরাবরই ভালো। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ধাপ পার করতে তাই খুব কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাসদের। দেড় যুগ পর এশিয়া মহাদেশে হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। ২০০৬ সালে সবশেষ ভারতে হয়েছিল বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতা। এরপর ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে দুই আসরের পর আবার এশিয়া মহাদেশে ফিরেছে আট দলের টুর্নামেন্ট। দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে এবার হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। দুবাইয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে তাদের পরের দুই ম্যাচ নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবশেষ আসরের গ্রুপ পর্বে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ও পরে বৃষ্টির সহযোগিতা পেয়ে সেরা চারে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে থেমে গিয়েছিল সেবারের স্বপ্নযাত্রা। তবে সেটিই এখন পর্যন্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য হয়ে আছে। ওই টুর্নামেন্টের পেরিয়ে গেছে সাত বছরের বেশি সময়। এরপর ওয়ানডে সংস্করণের দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে তারা জিতেছিল তিনটি। আর গত বছর জয় মাত্র দুটি। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্বের বাধা অবশ্য পেরিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে বিশ ওভারের বৈশ্বিক আসরেও সন্তোষজনক কিছু করতে পারেনি তারা। তাই সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভালো করতে না পারার ব্যর্থতা ঝেরে ফেলার চ্যালেঞ্জটাও নিতে হবে শান্ত, লিটনদের। সেই অভিযানে প্রথমেই তাদের সামনে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারত।
দুবাইয়ের মাঠে দুবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের দুই ম্যাচেই তারা ছিল পরাজিত দল। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও একমাত্র দেখায় মনে রাখার মতো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই দলের সার্বিক পরিসংখ্যানেও ৪১ ম্যাচে ৩২ জয় নিয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ভারত। তবে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটি জেতায় কিছুটা অনুপ্রেরণা পেতেই পারে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ জয়টিও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, কলম্বোয় গত বছরের এশিয়া কাপে। দুবাইয়ে ভারত ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য পাকিস্তানে চলে যাবে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। প্রায় ২১ বছর পর এই মাঠে ওয়ানডে খেলবে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবশেষ আসরে কিউইদের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। কার্ডিফে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চাপের মুখে পঞ্চম উইকেটে ২২৪ রানের রেকর্ডগড়া জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। দুজনের সেঞ্চুরিতে অনেক দিন মনে রাখার জয়ে সেমি-ফাইনালের টিকেট পায় বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশকে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট করে ১৬৭ রানে জিতেছিল কিউইরা। দুই দলের সার্বিক পরিসংখ্যানেও এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড। ৪৫ ম্যাচে তাদের জয় ৩৩টি। তবে উপমহাদেশে খেলা হওয়ায় উইকেট-কন্ডিশনের কিছুটা সহায়তা হয়তো পেতে পারে বাংলাদেশ। যা কাজে লাগিয়ে জয়ের ছক কষা কিছুটা সহজ হওয়া উচিত তাদের। একই মাঠে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগে কখনও মুখোমুখি হয়নি দুই দল। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই দলের তিন ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ২টি। আর ১৯৯৯ সালে জিতেছিল বাংলাদেশ।
সার্বিকভাবেও বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। ৩৯ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫টি। তবে চলতি বছরের পাকিস্তান সফর থেকে কিছুটা অনুপ্রেরণা নিতে পারে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে অগাস্টে খেলা দুই টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়ে ঐতিহাসিক এক সিরিজ জিতেছিল তারা। সব মিলিয়ে এশিয়ার মাঠে উপমহাদেশের দুই দলের বিপক্ষে কাজটা মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয় কিংবা তাদের জন্য বিরুদ্ধ কন্ডিশন কাজে লাগানোর কিছুটা সুযোগ তারা পাবে। তবে এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে চান না আব্দুর রাজ্জাক। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপে জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাবেক বাঁহাতি স্পিনার বললেন, সেরা দলগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ে এসব চ্যালেঞ্জ পার করেই সাফল্য খুঁজে নিতে হবে। “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপিং নিয়ে এতটুকুই বলব, আমাদের গ্রুপটা খুব কঠিন। তবে আমার মনে হয় না, এটা নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু আছে। এসব টুর্নামেন্টে সাধারণত স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হয়।” “কন্ডিশনও খুব ভিন্ন থাকার কথা নয়। তাই আমার মনে হয়, সবাই সমান সুযোগ পাবে। দিনটা নিজেদের করে নিতে হবে। আর সেরা ৮ দলের টুর্নামেন্টে আসলে সহজ দল নেই কোনো। তাই গ্রুপিং অতটা ম্যাটার করবে না।” টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে আছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্ব শেষে আগামী ৪ ও ৫ মার্চ হবে দুই সেমি-ফাইনাল। পরে তিন দিন বিরতি দিয়ে ৯ তারিখ হবে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটা

আপডেট সময় : ০৬:০০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: আট দলের আসরে উপমহাদেশের দল চারটি। এর তিনটিই পড়ল এক গ্রুপে। যেখানে ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গী বাংলাদেশ। তাদের অন্য প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। আইসিসি টুর্নামেন্টে যাদের রেকর্ড বরাবরই ভালো। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম ধাপ পার করতে তাই খুব কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাসদের। দেড় যুগ পর এশিয়া মহাদেশে হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। ২০০৬ সালে সবশেষ ভারতে হয়েছিল বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতা। এরপর ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে দুই আসরের পর আবার এশিয়া মহাদেশে ফিরেছে আট দলের টুর্নামেন্ট। দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে এবার হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হবে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। দুবাইয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর রাওয়ালপিন্ডিতে তাদের পরের দুই ম্যাচ নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। সবশেষ আসরের গ্রুপ পর্বে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ও পরে বৃষ্টির সহযোগিতা পেয়ে সেরা চারে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে থেমে গিয়েছিল সেবারের স্বপ্নযাত্রা। তবে সেটিই এখন পর্যন্ত আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য হয়ে আছে। ওই টুর্নামেন্টের পেরিয়ে গেছে সাত বছরের বেশি সময়। এরপর ওয়ানডে সংস্করণের দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে তারা জিতেছিল তিনটি। আর গত বছর জয় মাত্র দুটি। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্বের বাধা অবশ্য পেরিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে বিশ ওভারের বৈশ্বিক আসরেও সন্তোষজনক কিছু করতে পারেনি তারা। তাই সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভালো করতে না পারার ব্যর্থতা ঝেরে ফেলার চ্যালেঞ্জটাও নিতে হবে শান্ত, লিটনদের। সেই অভিযানে প্রথমেই তাদের সামনে শিরোপাপ্রত্যাশী ভারত।
দুবাইয়ের মাঠে দুবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের দুই ম্যাচেই তারা ছিল পরাজিত দল। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও একমাত্র দেখায় মনে রাখার মতো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই দলের সার্বিক পরিসংখ্যানেও ৪১ ম্যাচে ৩২ জয় নিয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ভারত। তবে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটি জেতায় কিছুটা অনুপ্রেরণা পেতেই পারে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ জয়টিও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, কলম্বোয় গত বছরের এশিয়া কাপে। দুবাইয়ে ভারত ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য পাকিস্তানে চলে যাবে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। প্রায় ২১ বছর পর এই মাঠে ওয়ানডে খেলবে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবশেষ আসরে কিউইদের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। কার্ডিফে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চাপের মুখে পঞ্চম উইকেটে ২২৪ রানের রেকর্ডগড়া জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। দুজনের সেঞ্চুরিতে অনেক দিন মনে রাখার জয়ে সেমি-ফাইনালের টিকেট পায় বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশকে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট করে ১৬৭ রানে জিতেছিল কিউইরা। দুই দলের সার্বিক পরিসংখ্যানেও এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড। ৪৫ ম্যাচে তাদের জয় ৩৩টি। তবে উপমহাদেশে খেলা হওয়ায় উইকেট-কন্ডিশনের কিছুটা সহায়তা হয়তো পেতে পারে বাংলাদেশ। যা কাজে লাগিয়ে জয়ের ছক কষা কিছুটা সহজ হওয়া উচিত তাদের। একই মাঠে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিকদের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এর আগে কখনও মুখোমুখি হয়নি দুই দল। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই দলের তিন ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ২টি। আর ১৯৯৯ সালে জিতেছিল বাংলাদেশ।
সার্বিকভাবেও বেশ এগিয়ে পাকিস্তান। ৩৯ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫টি। তবে চলতি বছরের পাকিস্তান সফর থেকে কিছুটা অনুপ্রেরণা নিতে পারে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে অগাস্টে খেলা দুই টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়ে ঐতিহাসিক এক সিরিজ জিতেছিল তারা। সব মিলিয়ে এশিয়ার মাঠে উপমহাদেশের দুই দলের বিপক্ষে কাজটা মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জয় কিংবা তাদের জন্য বিরুদ্ধ কন্ডিশন কাজে লাগানোর কিছুটা সুযোগ তারা পাবে। তবে এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে চান না আব্দুর রাজ্জাক। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপে জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাবেক বাঁহাতি স্পিনার বললেন, সেরা দলগুলোর সঙ্গে লড়াইয়ে এসব চ্যালেঞ্জ পার করেই সাফল্য খুঁজে নিতে হবে। “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপিং নিয়ে এতটুকুই বলব, আমাদের গ্রুপটা খুব কঠিন। তবে আমার মনে হয় না, এটা নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু আছে। এসব টুর্নামেন্টে সাধারণত স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হয়।” “কন্ডিশনও খুব ভিন্ন থাকার কথা নয়। তাই আমার মনে হয়, সবাই সমান সুযোগ পাবে। দিনটা নিজেদের করে নিতে হবে। আর সেরা ৮ দলের টুর্নামেন্টে আসলে সহজ দল নেই কোনো। তাই গ্রুপিং অতটা ম্যাটার করবে না।” টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে আছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্ব শেষে আগামী ৪ ও ৫ মার্চ হবে দুই সেমি-ফাইনাল। পরে তিন দিন বিরতি দিয়ে ৯ তারিখ হবে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই।