ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

চ্যাটজিপিটি’র উত্তরসূরী মডেলের ঘোষণা দিল ওপেনএআই

  • আপডেট সময় : ১২:২৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির পরবর্তী সংস্করণ চালুর ঘোষণা দিয়েছে সফটওয়্যার নির্মাতা ওপেনএআই।
‘জিপিটি-৪’ নামের নতুন এই মডেল বিভিন্ন ছবিতেও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, বিভিন্ন মসলার ছবি থেকে খাবারের রেসিপির সাজেশন বা এতে ক্যাপশন ও বর্ণনা দেওয়া।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি ২৫ হাজারের বেশি শব্দ প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, যা চ্যাটজিপিটি’র তুলনায় প্রায় আটগুণ। ২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। এর বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুরোধের মধ্যে আছে গান, কবিতা, মার্কেটিং কপি, কম্পিউটার কোড লেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর হোমওয়ার্কে সাহায্য করা। তবে, শিক্ষকরা বলছেন, ছাত্রদের এটি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি সাধারণ মানুষের মতো ভাষা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়। পাশাপাশি, গীতিকার ও লেখকের মতো অন্যান্য লেখার ধরন নকল করতে পারে এটি। ২০২১ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটকে নিজের ‘জ্ঞানের ডেটাবেইজ’ হিসেবে ব্যবহার করে এ সিস্টেম। তবে, একদিন আসবে যখন এটি মানুষের কাজের দখল নিয়ে নেবে, এমন ধারণা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে। ওপেনএআই বলেছে, তারা ‘জিপিটি-৪’-এর বিভিন্ন সুরক্ষা ফিচারের পেছনে ছয় মাস খরচ করেছে। আর একে বিভিন্ন মানবীয় প্রতিক্রিয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তবে, এটি এখনও কিছু ক্ষেত্রে ভুল তথ্য শেয়ার করতে পারে, এমন সতর্কবার্তাও দিয়েছে কোম্পানিটি। প্রাথমিকভাবে জিপিটি-৪ ব্যবহার করতে পারছেন চ্যাটজিপিটি প্লাস গ্রাহকরা যারা মাসিক ২০ ডলারের বিনিময়ে সেবাটির প্রিমিয়াম প্রবেশাধিকার কিনেছেন। এরইমধ্যে নিজস্ব বিং সার্চ ইঞ্জিনে এই সুবিধা চালু করেছে মাইক্রোসফট। এ ছাড়াম ওপেনএআই’র পেছনে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এই টেক জায়ান্ট। এক সরাসরি নমুনায়, চ্যাটবটটি এক জটিল ট্যাক্স বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। যদিও উত্তরটি যাচাইয়ের কোনো উপায় ছিল না। চ্যাটজিপিটির মতোই নতুন এই মডেলে এক ধরনের সৃজনশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর ‘জেনারেটিভ এআই’ বিভিন্ন অ্যালগরিদম ও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক টেক্সট ব্যবহার করে প্রম্পটের ভিত্তিতে বিভিন্ন নতুন কনটেন্ট তৈরি করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
ওপেনএআই বলেছে, চ্যাটজিপিটির চেয়েও ‘উন্নত কারণ দর্শানোর দক্ষতা’ রয়েছে জিপিটি-৪-এ। উদাহরণ হিসেবে, মডেলটি তিনটি পর্যন্ত ‘মিটিং টাইম’ পরিকল্পনা করতে পারে। ব্যবহারকারীর প্রাকৃতিক ভাষা ব্যবহারে সহায়তা করে, বিভিন্ন এমন এআই চ্যাটবট তৈরির উদ্দেশ্যে ভাষা শেখার অ্যাপ ‘ডুয়োলিংগো’ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ অ্যাপ ‘বি মাই আইস’-এর সঙ্গেও নতুন অংশিদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে ওপেনএআই। তবে ওপেনএআই সতর্কবার্তা দিয়েছে, নিজের উত্তরসূরীর মতোই জিপিটি-৪ এখনও পুরোপুরি ভরসাযোগ্য নয়। আর এটিও ‘কাল্পনিক’ জবাব দিতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

চ্যাটজিপিটি’র উত্তরসূরী মডেলের ঘোষণা দিল ওপেনএআই

আপডেট সময় : ১২:২৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির পরবর্তী সংস্করণ চালুর ঘোষণা দিয়েছে সফটওয়্যার নির্মাতা ওপেনএআই।
‘জিপিটি-৪’ নামের নতুন এই মডেল বিভিন্ন ছবিতেও প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, বিভিন্ন মসলার ছবি থেকে খাবারের রেসিপির সাজেশন বা এতে ক্যাপশন ও বর্ণনা দেওয়া।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি ২৫ হাজারের বেশি শব্দ প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, যা চ্যাটজিপিটি’র তুলনায় প্রায় আটগুণ। ২০২২ সালের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। এর বিভিন্ন জনপ্রিয় অনুরোধের মধ্যে আছে গান, কবিতা, মার্কেটিং কপি, কম্পিউটার কোড লেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর হোমওয়ার্কে সাহায্য করা। তবে, শিক্ষকরা বলছেন, ছাত্রদের এটি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটি সাধারণ মানুষের মতো ভাষা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়। পাশাপাশি, গীতিকার ও লেখকের মতো অন্যান্য লেখার ধরন নকল করতে পারে এটি। ২০২১ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটকে নিজের ‘জ্ঞানের ডেটাবেইজ’ হিসেবে ব্যবহার করে এ সিস্টেম। তবে, একদিন আসবে যখন এটি মানুষের কাজের দখল নিয়ে নেবে, এমন ধারণা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে। ওপেনএআই বলেছে, তারা ‘জিপিটি-৪’-এর বিভিন্ন সুরক্ষা ফিচারের পেছনে ছয় মাস খরচ করেছে। আর একে বিভিন্ন মানবীয় প্রতিক্রিয়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তবে, এটি এখনও কিছু ক্ষেত্রে ভুল তথ্য শেয়ার করতে পারে, এমন সতর্কবার্তাও দিয়েছে কোম্পানিটি। প্রাথমিকভাবে জিপিটি-৪ ব্যবহার করতে পারছেন চ্যাটজিপিটি প্লাস গ্রাহকরা যারা মাসিক ২০ ডলারের বিনিময়ে সেবাটির প্রিমিয়াম প্রবেশাধিকার কিনেছেন। এরইমধ্যে নিজস্ব বিং সার্চ ইঞ্জিনে এই সুবিধা চালু করেছে মাইক্রোসফট। এ ছাড়াম ওপেনএআই’র পেছনে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে এই টেক জায়ান্ট। এক সরাসরি নমুনায়, চ্যাটবটটি এক জটিল ট্যাক্স বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। যদিও উত্তরটি যাচাইয়ের কোনো উপায় ছিল না। চ্যাটজিপিটির মতোই নতুন এই মডেলে এক ধরনের সৃজনশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর ‘জেনারেটিভ এআই’ বিভিন্ন অ্যালগরিদম ও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক টেক্সট ব্যবহার করে প্রম্পটের ভিত্তিতে বিভিন্ন নতুন কনটেন্ট তৈরি করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
ওপেনএআই বলেছে, চ্যাটজিপিটির চেয়েও ‘উন্নত কারণ দর্শানোর দক্ষতা’ রয়েছে জিপিটি-৪-এ। উদাহরণ হিসেবে, মডেলটি তিনটি পর্যন্ত ‘মিটিং টাইম’ পরিকল্পনা করতে পারে। ব্যবহারকারীর প্রাকৃতিক ভাষা ব্যবহারে সহায়তা করে, বিভিন্ন এমন এআই চ্যাটবট তৈরির উদ্দেশ্যে ভাষা শেখার অ্যাপ ‘ডুয়োলিংগো’ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিশেষ অ্যাপ ‘বি মাই আইস’-এর সঙ্গেও নতুন অংশিদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে ওপেনএআই। তবে ওপেনএআই সতর্কবার্তা দিয়েছে, নিজের উত্তরসূরীর মতোই জিপিটি-৪ এখনও পুরোপুরি ভরসাযোগ্য নয়। আর এটিও ‘কাল্পনিক’ জবাব দিতে পারে।