ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

চৌম্বকক্ষেত্রের ব্যবহারে ভাসমান যান, বদলে যাবে বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থা

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘণ্টায় ৭৫০ মাইল গতিবেগের যাত্রীবাহী পড তৈরির নতুন প্রযুক্তি বিনির্মাণের কাজ করছে ভার্জিন হাইপারলুপ ও রিচার্ড ব্রানসনের ভার্জিন গ্রুপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা প্রদেশের লাস ভেগাসের উত্তরের মরুভূমিতে পাহাড়ের পাদদেশে এর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। উচ্চগতির এ শক্তি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থাকে আমূলে বদলে দিতে পারে।
দেখা যাচ্ছে, একটি টিউব বা নলের মধ্য দিয়ে পডের চলাচল। এ চলাচলের ফলে এ ব্যবস্থায় ঘর্ষণজনিত বাধা থাকে না। টিউবের মধ্যে পডটি প্রবেশের পর টিউবের দেয়াল ও পডের গাত্রে বিপরীতমুখী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়। ফলে পডটি টিউবের কোনো অংশ স্পর্শ না করে বাতাসে ভেসে ওঠে, সেই অবস্থাতেই অত্যন্ত দ্রুত বেগে ও কোনো শব্দ ছাড়াই আধুনিক এ যানটি চলাচল করতে পারে। ভার্জিন হাইপারলুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জশ গিগেল বলেন, এটি চলা শুরু হতেই মনে হচ্ছিল বিমান আকাশে উড়াল দিচ্ছে। অত্যাধুনিক এ পডটি বর্তমানে ২৮ জন যাত্রী পরিবহনের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে, স্বল্প বা দীর্ঘ দূরত্বে যাতায়াত ও মালামাল বহনের উপযোগী করেও বিশেষায়িত পড নির্মাণ সম্ভব।
এখনো এটি প্রাথমিক পর্যায়ে। ২০২৭ সাল নাগাদ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কথা ভাবছেন ভার্জিন হাইপারলুপের জশ গিগেল। তিনি জানান, গাড়ি, ট্রেন ও প্লেনের মতোই ১০০ বছরের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানো প্রথম যানবাহন হতে চলেছে এটি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চৌম্বকক্ষেত্রের ব্যবহারে ভাসমান যান, বদলে যাবে বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ১২:২৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘণ্টায় ৭৫০ মাইল গতিবেগের যাত্রীবাহী পড তৈরির নতুন প্রযুক্তি বিনির্মাণের কাজ করছে ভার্জিন হাইপারলুপ ও রিচার্ড ব্রানসনের ভার্জিন গ্রুপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা প্রদেশের লাস ভেগাসের উত্তরের মরুভূমিতে পাহাড়ের পাদদেশে এর পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। উচ্চগতির এ শক্তি সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থা বিশ্বের পরিবহন ব্যবস্থাকে আমূলে বদলে দিতে পারে।
দেখা যাচ্ছে, একটি টিউব বা নলের মধ্য দিয়ে পডের চলাচল। এ চলাচলের ফলে এ ব্যবস্থায় ঘর্ষণজনিত বাধা থাকে না। টিউবের মধ্যে পডটি প্রবেশের পর টিউবের দেয়াল ও পডের গাত্রে বিপরীতমুখী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়। ফলে পডটি টিউবের কোনো অংশ স্পর্শ না করে বাতাসে ভেসে ওঠে, সেই অবস্থাতেই অত্যন্ত দ্রুত বেগে ও কোনো শব্দ ছাড়াই আধুনিক এ যানটি চলাচল করতে পারে। ভার্জিন হাইপারলুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জশ গিগেল বলেন, এটি চলা শুরু হতেই মনে হচ্ছিল বিমান আকাশে উড়াল দিচ্ছে। অত্যাধুনিক এ পডটি বর্তমানে ২৮ জন যাত্রী পরিবহনের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে, স্বল্প বা দীর্ঘ দূরত্বে যাতায়াত ও মালামাল বহনের উপযোগী করেও বিশেষায়িত পড নির্মাণ সম্ভব।
এখনো এটি প্রাথমিক পর্যায়ে। ২০২৭ সাল নাগাদ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কথা ভাবছেন ভার্জিন হাইপারলুপের জশ গিগেল। তিনি জানান, গাড়ি, ট্রেন ও প্লেনের মতোই ১০০ বছরের মধ্যে পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটানো প্রথম যানবাহন হতে চলেছে এটি।