ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

চোরাইপথে আসা মোবাইল ব্যবহার আর নয়: পলক

  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চোরাইপথে দেশে ঢোকা মোবাইল-ফোন যেন আর কেউ ব্যবহার না করতে পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিটিআরসিকে নিয়ন্ত্রক হিসেবে নয়, আরও উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কৌশল নিয়ে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন নতুর রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্র বের করতে হবে। চোরাইপথে আসা মোবাইল ফোন যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। টেলিযোগাযোগ খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন, সেবার মান বৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে বিটিআরসি পলিসি প্রণয়ন, রেগুলেশনের পাশাপাাশি ফেসিলিটেটর হিসেবে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিটিআরসি গত বছর (২০২৩) পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। শুধু রাজস্ব নয়, দেশে নতুন প্রযুক্তির আবাহন, উদ্ভাবনী সল্যুশন ফ্যাসিলেটরের ভূমিকায় অ্যামটব সদস্য চারটি মোবাইল অপারেটর, বাক্কোর ৮৭ সদস্য এবং আইএসপিএবির ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সব সদস্যদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, পাওয়ার অ্যান্ড অ্যানার্জি, রোড অ্যান্ড ব্রিজেস ও পোশাক খাতের পর টেলিকম খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বেশি এসেছে। এর ফলে আজ যতগুলো মোবাইল ওয়ালেট দেখি সেখানেও বিটিআরসির ভূমিকা রয়েছে। এখন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় রপ্তানি আয় বাড়ানো, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তরুণ-তরুণীদের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে বিটিআরসি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে। দেশে ১০৫ শতাংশ টেলিঘনত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈপ্লবিকভাবে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বেড়ে ২০২৩ সালের জুনে এসে ৪ হাজার ৮৬৫ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে। নীতিগত সিদ্ধান্তে এ পরিবর্তন হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রযুক্তি দক্ষতায় স্মার্ট ইকোনমি গড়ে তুলতে বিটিআরসিকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকার চেয়ে স্মার্ট ফ্যাসিলেটর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। কমিশনের সচিব নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান প্রমুখ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চোরাইপথে আসা মোবাইল ব্যবহার আর নয়: পলক

আপডেট সময় : ০১:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : চোরাইপথে দেশে ঢোকা মোবাইল-ফোন যেন আর কেউ ব্যবহার না করতে পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিটিআরসিকে নিয়ন্ত্রক হিসেবে নয়, আরও উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কৌশল নিয়ে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন নতুর রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্র বের করতে হবে। চোরাইপথে আসা মোবাইল ফোন যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। টেলিযোগাযোগ খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন, সেবার মান বৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে বিটিআরসি পলিসি প্রণয়ন, রেগুলেশনের পাশাপাাশি ফেসিলিটেটর হিসেবে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিটিআরসি গত বছর (২০২৩) পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। শুধু রাজস্ব নয়, দেশে নতুন প্রযুক্তির আবাহন, উদ্ভাবনী সল্যুশন ফ্যাসিলেটরের ভূমিকায় অ্যামটব সদস্য চারটি মোবাইল অপারেটর, বাক্কোর ৮৭ সদস্য এবং আইএসপিএবির ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ সব সদস্যদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, পাওয়ার অ্যান্ড অ্যানার্জি, রোড অ্যান্ড ব্রিজেস ও পোশাক খাতের পর টেলিকম খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বেশি এসেছে। এর ফলে আজ যতগুলো মোবাইল ওয়ালেট দেখি সেখানেও বিটিআরসির ভূমিকা রয়েছে। এখন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় রপ্তানি আয় বাড়ানো, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তরুণ-তরুণীদের জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে বিটিআরসি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে। দেশে ১০৫ শতাংশ টেলিঘনত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈপ্লবিকভাবে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বেড়ে ২০২৩ সালের জুনে এসে ৪ হাজার ৮৬৫ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে। নীতিগত সিদ্ধান্তে এ পরিবর্তন হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে উদ্ভাবনী শক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রযুক্তি দক্ষতায় স্মার্ট ইকোনমি গড়ে তুলতে বিটিআরসিকে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকার চেয়ে স্মার্ট ফ্যাসিলেটর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। কমিশনের সচিব নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান প্রমুখ।