ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

চেলসির বিপক্ষে হেরে অপেক্ষা বাড়ল সিটির

  • আপডেট সময় : ১১:২০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে


ক্রীড়া ডেস্ক : জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত, কিন্তু পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে শুরুটা ভালো হলেও ধরে রাখতে পারল না ছন্দ। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দিল চেলসি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। দ্বিতীয়ার্ধে হাকিম জিয়াশ সমতা টানার পর শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন মার্কোস আলোনসো। শুধু সিটির শিরোপা জয় নয়, আরও একটি কারণে এই ম্যাচে বাড়তি নজর ছিল সবার। আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। গত মাসে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে চেলসি। এবার লিগের এই জয়, ইউরোপ সেরার মঞ্চে শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে টুখেলের হাত ধরে বদলে যাওয়া দলটির। ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করেন মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি অধ্যায়ের ইতি টানতে যাওয়া সের্হিও আগুয়েরো। শুরুর দিকে বল দখলে সিটি একটু এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। ৩২তম মিনিটে চেলসির টিমো ভেরনার বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। পরের মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে বাইরে মেরে হতাশ করেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। ৩৫তম মিনিটে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন স্টার্লিং। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। এটিই ছিল লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম শট।
৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে গাব্রিয়েল জেসুসের পাসে শট নিতে পারেননি আগুয়েরো। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান স্টার্লিং। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে জেসুস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরোর দুর্বল ‘পানেনকা’ শট খুব সহজেই ঠেকান মঁদি। ৬৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে চেলসি। সেসার আসপিলিকুয়েতার পাসে মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশের নিচু শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া এদেরসনের হাত ছুঁয়ে জালে জড়ায়। ৭৯ ও ৮১তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি সফরকারীরা। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, তখনই যোগ করা সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন আলোনসো। ভেরনারের পাসে ছয় গজ বক্সের একটু সামনে থেকে শটে বল জালে পাঠান তিনি। উল্লাসে ফেটে পড়ে চেলসি। ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ১৮ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে চেলসি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে লেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যে ভাইকে জেল থেকে বের করেছি, সেই আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করল…

চেলসির বিপক্ষে হেরে অপেক্ষা বাড়ল সিটির

আপডেট সময় : ১১:২০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১


ক্রীড়া ডেস্ক : জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত, কিন্তু পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে শুরুটা ভালো হলেও ধরে রাখতে পারল না ছন্দ। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দিল চেলসি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। দ্বিতীয়ার্ধে হাকিম জিয়াশ সমতা টানার পর শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন মার্কোস আলোনসো। শুধু সিটির শিরোপা জয় নয়, আরও একটি কারণে এই ম্যাচে বাড়তি নজর ছিল সবার। আগামী ২৯ মে তুরস্কের ইস্তানবুলে যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। গত মাসে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে চেলসি। এবার লিগের এই জয়, ইউরোপ সেরার মঞ্চে শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে নিশ্চিতভাবে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে টুখেলের হাত ধরে বদলে যাওয়া দলটির। ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারতো। প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করেন মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার সিটি অধ্যায়ের ইতি টানতে যাওয়া সের্হিও আগুয়েরো। শুরুর দিকে বল দখলে সিটি একটু এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। ৩২তম মিনিটে চেলসির টিমো ভেরনার বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। পরের মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে বাইরে মেরে হতাশ করেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। ৩৫তম মিনিটে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন স্টার্লিং। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এদুয়াঁ মঁদি। এটিই ছিল লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম শট।
৪৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সে গাব্রিয়েল জেসুসের পাসে শট নিতে পারেননি আগুয়েরো। পেছন থেকে ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান স্টার্লিং। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি-বক্সে জেসুস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরোর দুর্বল ‘পানেনকা’ শট খুব সহজেই ঠেকান মঁদি। ৬৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে চেলসি। সেসার আসপিলিকুয়েতার পাসে মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশের নিচু শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া এদেরসনের হাত ছুঁয়ে জালে জড়ায়। ৭৯ ও ৮১তম মিনিটে বল জালে পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি সফরকারীরা। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, তখনই যোগ করা সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন আলোনসো। ভেরনারের পাসে ছয় গজ বক্সের একটু সামনে থেকে শটে বল জালে পাঠান তিনি। উল্লাসে ফেটে পড়ে চেলসি। ৩৫ ম্যাচে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ১৮ জয় ও ১০ ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠেছে চেলসি। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে চার নম্বরে নেমে গেছে লেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।