ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

চুল চিটচিটে হওয়ার কারণ ও করণীয়

  • আপডেট সময় : ১২:০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল নিয়ে আমাদের ভাবনার শেষ নেই। যেহেতু চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তাই এর প্রতি একটু বেশিই যতœশীল হতে হয়। নইলে বাড়ে বিপদ। চুল পড়া, চুল লম্বা না হওয়া, চুলের আগা ফাটা ইত্যাদি সমস্যাগুলোর মতো চুল চিটচিটে হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। যা খুবই অস্বস্তিকর। মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে চুলে চিটচিটে ভাব কিংবা আঠালো হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকেই ঘন ঘন শ্যাম্পু করে থাকেন। ফলে মাথার ত্বক হয়ে যায় আরো শুষ্ক। এছাড়া আরো বেশ কিছু কারণে চুল আঠালো হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কারণগুলো-

  • খুশকি
  • হরমোনের তারতম্য
  • ভিটামিন ‘বি’র অভাব
  • নিয়মিত চুল পরিষ্কার না রাখলে
  • অতিরিক্ত শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার
    তবে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই চুলের আঠালো ভাব দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে-
    বেশি চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে
    চুল ভালো রাখতে হলে চুল আঁচড়ানোর বিকল্প নেই। তবে যাদের চুল তৈলাক্ত তাদের জন্য এটা মোটেও কার্যকর নয়। বরং বেশি চুল আঁচড়ালে চুল আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত চিরুনি পরিষ্কার করতে হবে। চিরুনি পরিষ্কার থাকলে মাথার ত্বকের তেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
    একদিন পর পর চুল ধুতে হবে
    প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের জন্য ভালো। তবে যে চুলে আঠালো ভাব আসে সে চুলের জন্য। প্রতিদিন না পারলেও এক দিন পর পর চুল শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু অস্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তবে ভালো ফলাফল পেতে চুলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে তেল নিঃসরণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
    পরিমিত প্রসাধনী ব্যবহার
    চুল চিটচিটে হওয়ার সমস্যা দেখা দিলে দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে- চুল কম স্পর্শ করা এবং কম প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। ক্রিমধর্মী প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা মাথার ত্বকে জমে থেকে চুল চিটচিটে হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই চিটচিটেভাব দূর করতে যতটা সম্ভব এই ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

চুল চিটচিটে হওয়ার কারণ ও করণীয়

আপডেট সময় : ১২:০২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল নিয়ে আমাদের ভাবনার শেষ নেই। যেহেতু চুল আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তাই এর প্রতি একটু বেশিই যতœশীল হতে হয়। নইলে বাড়ে বিপদ। চুল পড়া, চুল লম্বা না হওয়া, চুলের আগা ফাটা ইত্যাদি সমস্যাগুলোর মতো চুল চিটচিটে হওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। যা খুবই অস্বস্তিকর। মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে চুলে চিটচিটে ভাব কিংবা আঠালো হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেকেই ঘন ঘন শ্যাম্পু করে থাকেন। ফলে মাথার ত্বক হয়ে যায় আরো শুষ্ক। এছাড়া আরো বেশ কিছু কারণে চুল আঠালো হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কারণগুলো-

  • খুশকি
  • হরমোনের তারতম্য
  • ভিটামিন ‘বি’র অভাব
  • নিয়মিত চুল পরিষ্কার না রাখলে
  • অতিরিক্ত শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার
    তবে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই চুলের আঠালো ভাব দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে-
    বেশি চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে
    চুল ভালো রাখতে হলে চুল আঁচড়ানোর বিকল্প নেই। তবে যাদের চুল তৈলাক্ত তাদের জন্য এটা মোটেও কার্যকর নয়। বরং বেশি চুল আঁচড়ালে চুল আরো বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত চিরুনি পরিষ্কার করতে হবে। চিরুনি পরিষ্কার থাকলে মাথার ত্বকের তেল অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
    একদিন পর পর চুল ধুতে হবে
    প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের জন্য ভালো। তবে যে চুলে আঠালো ভাব আসে সে চুলের জন্য। প্রতিদিন না পারলেও এক দিন পর পর চুল শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু অস্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তবে ভালো ফলাফল পেতে চুলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে তেল নিঃসরণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
    পরিমিত প্রসাধনী ব্যবহার
    চুল চিটচিটে হওয়ার সমস্যা দেখা দিলে দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে- চুল কম স্পর্শ করা এবং কম প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। ক্রিমধর্মী প্রসাধনী ব্যবহার করলে তা মাথার ত্বকে জমে থেকে চুল চিটচিটে হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই চিটচিটেভাব দূর করতে যতটা সম্ভব এই ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।