চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কনকনে শীত অনূভুত হচ্ছে। সকালে রৌদ্রোজ্জল আবহাওয়া থাকলেও রাতে প্রচণ্ড শীত অনূভুত হয়। জেলা জুড়ে মৃদু শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। শীতের প্রকোপে এ জেলার জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। ১৭ দিন পর তাপমাত্রা আবার কমে যাওয়ায় প্রচণ্ড শীতে গোটা চুয়াডাঙ্গা জেলা থমকে গেছে।
শীতের কারণে জেলার মানুষের অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। স্বাভাবিক কর্মজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। গেল ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা কমতে থাকে। গত ১৬ দিনে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ১৪ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছিল। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, ‘জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ আরও বেশী হতে পারে। এ জেলায় শীতের প্রভাবে জনজীবনে দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, ‘প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে পাওয়া প্রায় ১০ হাজার কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে উপজেলার মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগদ ৩০ লাখ টাকা সহায়তা বাবদ ৪টি উপজেলায় দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে শীতে কর্মহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিওগুলো জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।