ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

চীন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন আশা

  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিরসন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন বছরেরও বেশি সময় পর ভারত সফর করছেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা পুনরায় শুরু হলো। চীনের সরকারি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম সিএমজি এ খবর জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং ই চীন-ভারত সীমান্ত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে ২৪তম বৈঠকের সহ-সভাপতিত্ব করবেন।

এর আগে ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর এটি দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যা দুই দেশের সম্পর্ককে গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। গত ডিসেম্বরে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ছয় দফা ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছিল।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, আসন্ন আলোচনায় বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা কমানোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হতে পারে। এটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।

গত অক্টোবর মাসে রাশিয়ার কাজানে চীন ও ভারতীয় নেতাদের বৈঠকের পর থেকে দুই দেশ বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছে এবং সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়ান বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীন ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ বোঝাপড়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা, ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করা এবং সম্পর্ককে টেকসই, সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে এগিয়ে নিতে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ।

এবছর চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

ওয়াং ই এর আগে জুন মাসে বেইজিংয়ে ডোভাল এবং জুলাই মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওইসব আলোচনায় উভয় পক্ষই এই বার্ষিকীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা বাড়ানোর এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, উভয় দেশ তিনটি নির্দিষ্ট সীমান্ত পয়েন্টের মাধ্যমে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্থগিত থাকা সরাসরি বিমান পরিষেবা আগামী মাস থেকে পুনরায় চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানা গেছে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর তিয়ানজিন সম্মেলনে এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা গেছে। এই বছরের শুরুতে চীন ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সিচাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত) ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে। ভারতও জুলাই মাস থেকে চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা পুনরায় চালু করেছে।

ওয়াং ই-এর এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মাসের শেষে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভারতীয় পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের কারণে ভারতের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদ এবং একতরফাবাদের এই সময়ে বেইজিং ও দিল্লির উচিত এসসিও এর মতো বহুপাক্ষিক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ কাজে লাগানো। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক লিন মিনওয়াং বলেন, এই সপ্তাহের উচ্চপর্যায়ের আলোচনা প্রমাণ করে যে চীন-ভারত সম্পর্ক উন্নতির পথে রয়েছে এবং সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমিত হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।

লিন আরো বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যাগত সুবিধা, উন্নয়নের গতি এবং আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে চীন-ভারত সম্পর্কের সুস্থ বিকাশ উভয় দেশের জন্য উপকারী এবং এর বৈশ্বিক গুরুত্বও রয়েছে।’

তবে, বিশেষজ্ঞরা এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এখনো বিদ্যমান কিছু অনিশ্চয়তার বিষয়েও সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী ও গঠনমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য উভয় পক্ষের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: সিএমজি

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

চীন-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন আশা

আপডেট সময় : ০৪:৫০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা নিরসন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তিন বছরেরও বেশি সময় পর ভারত সফর করছেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা পুনরায় শুরু হলো। চীনের সরকারি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম সিএমজি এ খবর জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং ই চীন-ভারত সীমান্ত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে ২৪তম বৈঠকের সহ-সভাপতিত্ব করবেন।

এর আগে ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর এটি দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, যা দুই দেশের সম্পর্ককে গত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। গত ডিসেম্বরে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে আলোচনা এগিয়ে নেওয়া, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ছয় দফা ঐকমত্যে পৌঁছানো হয়েছিল।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, আসন্ন আলোচনায় বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা কমানোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হতে পারে। এটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে।

গত অক্টোবর মাসে রাশিয়ার কাজানে চীন ও ভারতীয় নেতাদের বৈঠকের পর থেকে দুই দেশ বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছে এবং সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য ধাপে ধাপে পদক্ষেপ নিচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়ান বৃহস্পতিবার বলেছেন, চীন ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ বোঝাপড়া হয়েছে, তার ভিত্তিতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা জোরদার করা, ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করা এবং সম্পর্ককে টেকসই, সুস্থ ও স্থিতিশীল পথে এগিয়ে নিতে চীন অঙ্গীকারবদ্ধ।

এবছর চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

ওয়াং ই এর আগে জুন মাসে বেইজিংয়ে ডোভাল এবং জুলাই মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওইসব আলোচনায় উভয় পক্ষই এই বার্ষিকীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত সহযোগিতা বাড়ানোর এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, উভয় দেশ তিনটি নির্দিষ্ট সীমান্ত পয়েন্টের মাধ্যমে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্থগিত থাকা সরাসরি বিমান পরিষেবা আগামী মাস থেকে পুনরায় চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানা গেছে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর তিয়ানজিন সম্মেলনে এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা গেছে। এই বছরের শুরুতে চীন ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ধর্মীয় উদ্দেশ্যে সিচাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত) ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে। ভারতও জুলাই মাস থেকে চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা পুনরায় চালু করেছে।

ওয়াং ই-এর এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মাসের শেষে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভারতীয় পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের কারণে ভারতের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদ এবং একতরফাবাদের এই সময়ে বেইজিং ও দিল্লির উচিত এসসিও এর মতো বহুপাক্ষিক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ কাজে লাগানো। ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক লিন মিনওয়াং বলেন, এই সপ্তাহের উচ্চপর্যায়ের আলোচনা প্রমাণ করে যে চীন-ভারত সম্পর্ক উন্নতির পথে রয়েছে এবং সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমিত হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে।

লিন আরো বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যাগত সুবিধা, উন্নয়নের গতি এবং আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে চীন-ভারত সম্পর্কের সুস্থ বিকাশ উভয় দেশের জন্য উপকারী এবং এর বৈশ্বিক গুরুত্বও রয়েছে।’

তবে, বিশেষজ্ঞরা এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এখনো বিদ্যমান কিছু অনিশ্চয়তার বিষয়েও সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী ও গঠনমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য উভয় পক্ষের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: সিএমজি

এসি/