ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

চীনে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত

  • আপডেট সময় : ১২:১৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষার করা হচ্ছে। অনেক এলাকায় জারি করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। এমন পরিস্থিতিতে গত ছয় মাসের মধ্যে স্থানীয়ভাবে করোনার সর্বোচ্চ শনাক্ত দেখল দেশটি। গতকাল বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয়ভাবে ৭১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির পর থেকে এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এখনো অনেক দেশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলেও চীন তা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল; যদিও সম্প্রতি আবারও সেখানে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চীনে নতুনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে কমপক্ষে ৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে এক বছরের বেশি সময় পর করোনা আঁতুড়ঘরখ্যাত উহানেও চলতি সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ নতুন করে ধরা পড়ে। এর জের ধরে শহরটির ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার সবাইকে করোনার নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পরীক্ষা করা হচ্ছে দেশটির অন্য অনেক শহরেও। গতকাল মঙ্গলবার উহানের নানা করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
গত মাসে চীনের জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরের বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের থেকে ভাইরাসটির ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটিতে করোনার বাড়াবাড়ির পর জারি করা হয় লকডাউন। শহরটির ৯২ লাখ বাসিন্দাকে এর মধ্যেই তিনবার করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়েও কয়েক লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে চীনের হেনান প্রদেশের ঝ্যাংজিয়াজি শহরে অবস্থানকারীদের শহরটি থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শহরটি চীনের একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়। সম্প্রতি সেখানে কয়েকজন পর্যটকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকে ঝ্যাংজিয়াজি শহরকে করোনার হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত

আপডেট সময় : ১২:১৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর চীনের নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষার করা হচ্ছে। অনেক এলাকায় জারি করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। এমন পরিস্থিতিতে গত ছয় মাসের মধ্যে স্থানীয়ভাবে করোনার সর্বোচ্চ শনাক্ত দেখল দেশটি। গতকাল বুধবার চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয়ভাবে ৭১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির পর থেকে এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এখনো অনেক দেশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারলেও চীন তা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল; যদিও সম্প্রতি আবারও সেখানে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চীনে নতুনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে কমপক্ষে ৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে এক বছরের বেশি সময় পর করোনা আঁতুড়ঘরখ্যাত উহানেও চলতি সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ নতুন করে ধরা পড়ে। এর জের ধরে শহরটির ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার সবাইকে করোনার নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পরীক্ষা করা হচ্ছে দেশটির অন্য অনেক শহরেও। গতকাল মঙ্গলবার উহানের নানা করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
গত মাসে চীনের জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরের বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের থেকে ভাইরাসটির ডেলটা ধরন ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটিতে করোনার বাড়াবাড়ির পর জারি করা হয় লকডাউন। শহরটির ৯২ লাখ বাসিন্দাকে এর মধ্যেই তিনবার করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়েও কয়েক লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে চীনের হেনান প্রদেশের ঝ্যাংজিয়াজি শহরে অবস্থানকারীদের শহরটি থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শহরটি চীনের একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়। সম্প্রতি সেখানে কয়েকজন পর্যটকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর থেকে ঝ্যাংজিয়াজি শহরকে করোনার হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।