ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চীনে সর্বনিম্ন বিয়ের নতুন রেকর্ড

  • আপডেট সময় : ০৮:০০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীনে গত এক বছরে বিয়ের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। দেশটির সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গত বছর দেশটিতে মাত্র ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই সংখ্যাটি ৭৭ লাখ ছিল। ১৯৮৬ সাল থেকে বিয়ের সংখ্যার রেকর্ড রাখা শুরু করে বেইজিং। গত বছর যে ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে, এটি ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্ন। যা নতুন রেকর্ড। সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত বছর ২৬ লাখ দম্পতির ডিভোর্স হয়েছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, চীনে গত বছর একটি গুজব ছড়ায় যে, তাদের এবারের চন্দ্রবর্ষটি ‘বিধবা বছর’ হবে।

যার অর্থ এ বছর যারা বিয়ে করবে তাদের স্বামী মারা যেতে পারেন। এ বিষয়টি বিয়ের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটির তরুণদের মধ্যে বিয়ে করায় যে অনীহা আছে, সেটিও প্রভাব রেখেছে এতে। চীনের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম উইবোতে একজন লিখেছেন, “বিষয়টি এমন নয়, সাধারণ মানুষ বিয়ে করতে চান না। আসলে তাদের বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য নেই।” চীন বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। তবে দেশটিতে এক দশক ধরে ‘এক সন্তান নীতি’ ছিল। এটির উদ্দেশ্য ছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবে চীনের এই নীতি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করায় একটি সময় গিয়ে দেশটিতে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়।

যা তাদের অর্থনীতিকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এ কারণে দেশটির সরকার এখন চায় মানুষ যেন বিয়ে করে এবং বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয়। তবে চীনা তরুণরা এখন বিয়েতে আগ্রহী না। তারা সারাজীবন সঙ্গীহীনই থাকতে চান। এছাড়া সন্তান লালন-পালনকেও ঝামেলা মনে করেন তরা। অপরদিকে যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের আর বিয়ে করার সেই সময় আর নেই। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আয়নাঘরের পরতে পরতে নির্যাতনের চিহ্ন

চীনে সর্বনিম্ন বিয়ের নতুন রেকর্ড

আপডেট সময় : ০৮:০০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীনে গত এক বছরে বিয়ের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। দেশটির সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গত বছর দেশটিতে মাত্র ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই সংখ্যাটি ৭৭ লাখ ছিল। ১৯৮৬ সাল থেকে বিয়ের সংখ্যার রেকর্ড রাখা শুরু করে বেইজিং। গত বছর যে ৬১ লাখ বিয়ে হয়েছে, এটি ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্ন। যা নতুন রেকর্ড। সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত বছর ২৬ লাখ দম্পতির ডিভোর্স হয়েছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, চীনে গত বছর একটি গুজব ছড়ায় যে, তাদের এবারের চন্দ্রবর্ষটি ‘বিধবা বছর’ হবে।

যার অর্থ এ বছর যারা বিয়ে করবে তাদের স্বামী মারা যেতে পারেন। এ বিষয়টি বিয়ের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটির তরুণদের মধ্যে বিয়ে করায় যে অনীহা আছে, সেটিও প্রভাব রেখেছে এতে। চীনের জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম উইবোতে একজন লিখেছেন, “বিষয়টি এমন নয়, সাধারণ মানুষ বিয়ে করতে চান না। আসলে তাদের বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য নেই।” চীন বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। তবে দেশটিতে এক দশক ধরে ‘এক সন্তান নীতি’ ছিল। এটির উদ্দেশ্য ছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবে চীনের এই নীতি পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করায় একটি সময় গিয়ে দেশটিতে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়।

যা তাদের অর্থনীতিকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এ কারণে দেশটির সরকার এখন চায় মানুষ যেন বিয়ে করে এবং বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেয়। তবে চীনা তরুণরা এখন বিয়েতে আগ্রহী না। তারা সারাজীবন সঙ্গীহীনই থাকতে চান। এছাড়া সন্তান লালন-পালনকেও ঝামেলা মনে করেন তরা। অপরদিকে যাদের বয়স হয়ে গেছে তাদের আর বিয়ে করার সেই সময় আর নেই। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান