ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৩

  • আপডেট সময় : ১১:২০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে ভূমিকম্পে তিন জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সিচুয়ান প্রদেশের লুজিয়ান জেলায় এই ভূমিকম্প হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক গ্লোবাল টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৪ মাত্রার, তবে চীনের ভূমিকম্প বিষয়ক সংস্থা চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কের মতে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। তবে উভয় সংস্থাই একমত- ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্টের মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাপক বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পে লুজিয়ানের হাজার হাজার বাড়িঘর ও ভবন ভেঙে পড়েছে এবং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বর্তমানে লুজিয়ানের ৬২ হাজারেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই।
সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে লুজিয়ানে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে লুজিয়ানে ভেঙে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ সরাচ্ছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কোনো জীবিত কেউ আছেন কি না- জানতেই তাদের এ অনুসন্ধান।
সিচুয়ানের ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উপপরিচালক দু বিন গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ‘আপাতত নিকট ভবিষ্যতে এই এলাকায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পের কোনো সম্ভাবনা নেই, তবে বর্তমান দুর্যোগের কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জনগণের মধ্যে যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে- সেসব কাটতে কিছুটা সময় লাগবে।’ সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকারের ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতার গতি বাড়াতে লুজিয়ান ও তার আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
চীনের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকাগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ। সর্বশেষ ২০০৮ সালে সিচুয়ানে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল এবং সেই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৮৭ হাজার মানুষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনে ভূমিকম্পে নিহত ৩

আপডেট সময় : ১১:২০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে ভূমিকম্পে তিন জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সিচুয়ান প্রদেশের লুজিয়ান জেলায় এই ভূমিকম্প হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক গ্লোবাল টাইমস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৪ মাত্রার, তবে চীনের ভূমিকম্প বিষয়ক সংস্থা চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্কের মতে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। তবে উভয় সংস্থাই একমত- ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্টের মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাপক বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পে লুজিয়ানের হাজার হাজার বাড়িঘর ও ভবন ভেঙে পড়েছে এবং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। বর্তমানে লুজিয়ানের ৬২ হাজারেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই।
সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে লুজিয়ানে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ব্যাপক বৃষ্টির মধ্যে লুজিয়ানে ভেঙে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষ সরাচ্ছেন উদ্ধারকারী কর্মীরা। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে কোনো জীবিত কেউ আছেন কি না- জানতেই তাদের এ অনুসন্ধান।
সিচুয়ানের ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের উপপরিচালক দু বিন গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ‘আপাতত নিকট ভবিষ্যতে এই এলাকায় দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পের কোনো সম্ভাবনা নেই, তবে বর্তমান দুর্যোগের কারণে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জনগণের মধ্যে যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে- সেসব কাটতে কিছুটা সময় লাগবে।’ সিচুয়ানের প্রাদেশিক সরকারের ওই মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতার গতি বাড়াতে লুজিয়ান ও তার আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
চীনের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকাগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ। সর্বশেষ ২০০৮ সালে সিচুয়ানে ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল এবং সেই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৮৭ হাজার মানুষ।