ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

চীনে তৈরি প্লেনে দেড় ঘণ্টায় লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক

  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি এক যাত্রীবাহি প্লেনের প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে চীনা এক অ্যারোস্পেস কোম্পানি। তাদের দাবি, এর গতি মাক ৪, মানে শব্দের গতির চারগুন। অর্থাৎ, অবসরে যাওয়া সুপারসনিক প্লেন কনকর্ডের দ্বিগুণেরও বেশি গতিতে চলবে এটি।
বেইজিংভিত্তিক এই কোম্পানিটির নাম ‘স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন’, যা ‘লিংকং টিয়ানজিং টেকনোলজি’ নামেও পরিচিত। কোম্পানিটি বলেছে, এ সপ্তাহান্তে নিজেদের ‘ইউনজিং’ প্লেনের প্রোটোটাইপের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপাশি তারা নভেম্বরে এর ইঞ্জিন নিয়ে আরও পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে। এ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করা চীনা দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর তথ্য অনুসারে, এ সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের পুরোদস্তর অভিষেক ফ্লাইট হতে পারে ২০২৭ সাল নাগাদ। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে, চীনে তৈরি এ প্লেন ২১ বছরের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহি সুপারসনিক এয়ারলাইনার হয়ে উঠতে পারে, যেখানে কনকর্ড নিজের সর্বশেষ ফ্লাইট সম্পন্ন করেছিল ২০০৩ সালে। পাঁচ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির নতুন প্লেনটি লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘণ্টায় ফ্লাইট সম্পন্ন করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এর আগে কনকর্ড প্লেনে আটলান্টিক অতিক্রমের দ্রুততম সময় ছিল দুই ঘণ্টা ৫৩ মিনিট, যেখানে প্রচলিত এয়ারলাইনারগুলোতে সময় লাগে প্রায় আট ঘণ্টা। বাণিজ্যিক সুপারসনিক ফ্লাইট ব্যবস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করা বেশ কয়েকটি কোম্পানির একটি হল স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ‘ভিনাস অ্যারোস্পেস’ এমন এক জেট ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা মাক ৬ পর্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটতে এমনকি ‘হাইপারসনিক অর্থনীতির ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারে’ বলে দাবি কোম্পানিটির। স্পেসএক্স ও টেসলা বস ইলন মাস্কও সুপারসনিক জেট নির্মাণের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে, তার কাজের চাপের কারণে এর নির্মাণ এখনও শুরু হতে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স, নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক ও গর্ত খননের উদ্যোগ বোরিং কোম্পানির মালিক মার্কিন এ বিলিয়নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানীর বদলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, এমন একটি ‘ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটল)’ প্লেন তৈরি করা যেতে পারে। “আমি একটি সুপারসনিক, ইলেক্ট্রিক ভিটল জেট তৈরির জন্য মুখিয়ে আছি। কিন্তু নিজ কর্মতালিকায় আরও কাজ যোগ করলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে,” ২০২১ সালে টুইট করেছিলেন ইলন মাস্ক, যার আগে জো রোগান পডকাস্টেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনে তৈরি প্লেনে দেড় ঘণ্টায় লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক

আপডেট সময় : ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি এক যাত্রীবাহি প্লেনের প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে চীনা এক অ্যারোস্পেস কোম্পানি। তাদের দাবি, এর গতি মাক ৪, মানে শব্দের গতির চারগুন। অর্থাৎ, অবসরে যাওয়া সুপারসনিক প্লেন কনকর্ডের দ্বিগুণেরও বেশি গতিতে চলবে এটি।
বেইজিংভিত্তিক এই কোম্পানিটির নাম ‘স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন’, যা ‘লিংকং টিয়ানজিং টেকনোলজি’ নামেও পরিচিত। কোম্পানিটি বলেছে, এ সপ্তাহান্তে নিজেদের ‘ইউনজিং’ প্লেনের প্রোটোটাইপের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপাশি তারা নভেম্বরে এর ইঞ্জিন নিয়ে আরও পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে। এ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করা চীনা দৈনিক ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর তথ্য অনুসারে, এ সুপারসনিক প্যাসেঞ্জার জেটের পুরোদস্তর অভিষেক ফ্লাইট হতে পারে ২০২৭ সাল নাগাদ। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে, চীনে তৈরি এ প্লেন ২১ বছরের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহি সুপারসনিক এয়ারলাইনার হয়ে উঠতে পারে, যেখানে কনকর্ড নিজের সর্বশেষ ফ্লাইট সম্পন্ন করেছিল ২০০৩ সালে। পাঁচ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির নতুন প্লেনটি লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘণ্টায় ফ্লাইট সম্পন্ন করার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। এর আগে কনকর্ড প্লেনে আটলান্টিক অতিক্রমের দ্রুততম সময় ছিল দুই ঘণ্টা ৫৩ মিনিট, যেখানে প্রচলিত এয়ারলাইনারগুলোতে সময় লাগে প্রায় আট ঘণ্টা। বাণিজ্যিক সুপারসনিক ফ্লাইট ব্যবস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করা বেশ কয়েকটি কোম্পানির একটি হল স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ‘ভিনাস অ্যারোস্পেস’ এমন এক জেট ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা মাক ৬ পর্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটতে এমনকি ‘হাইপারসনিক অর্থনীতির ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে পারে’ বলে দাবি কোম্পানিটির। স্পেসএক্স ও টেসলা বস ইলন মাস্কও সুপারসনিক জেট নির্মাণের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে, তার কাজের চাপের কারণে এর নির্মাণ এখনও শুরু হতে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স, নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক ও গর্ত খননের উদ্যোগ বোরিং কোম্পানির মালিক মার্কিন এ বিলিয়নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, জীবাশ্ম জ্বালানীর বদলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, এমন একটি ‘ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটল)’ প্লেন তৈরি করা যেতে পারে। “আমি একটি সুপারসনিক, ইলেক্ট্রিক ভিটল জেট তৈরির জন্য মুখিয়ে আছি। কিন্তু নিজ কর্মতালিকায় আরও কাজ যোগ করলে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে,” ২০২১ সালে টুইট করেছিলেন ইলন মাস্ক, যার আগে জো রোগান পডকাস্টেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।