ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

চীনে এআই চিপ সরবরাহে এনভিডিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ১২:২০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র সরকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) খাতে বহুল ব্যবহৃত দুটি চিপ চীনের বাজারে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনভিডিয়া। এর ফলে কেবল যে এআই প্রযুক্তিনির্ভর চীনা কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েেব এমন নয়, নিজেদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। কোম্পানিটি জানিয়েছে, মেশিন লার্নিং কাজে ব্যবহারের জন্য নকশা করা এ১০০ এবং এইচ১০০ চিপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে এইচ ১০০ সিরিজের চিপগুলোর নির্মাণ প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও করছে কোম্পানিটি। এনভিডিয়ার মতো একই বিপাকে পড়ার খবর জানিয়েছে আরেক চিপ নির্মাতা ‘অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি)’। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য আরোপিত বাধ্যবাধকতার কারণে এমআই২৫০ এআই চিপ চীনে রপ্তানি করতে পারবে না কোম্পানিটি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তিত নীতিমালায় সার্বিক ব্যবসার ওপর বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা করছে না কোম্পানিটি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এনভিডিয়া জানিয়েছে, চীনে সামরিক বাহিনীর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এমন পণ্যগুলোই নতুন নীতিমালার অধীনে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। চীনে এআই চিপ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রয়টার্সকে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। “এ মুহূর্তে নীতিমালার নির্দিষ্ট পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা করার পরিস্থিতিতে নেই আমরা। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক স্বার্থ রক্ষায় সার্বিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি,”– রয়টার্সকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের এক মুখপাত্র।
রয়টার্স বলছে, তাইওয়ান নিয়ে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে চাপের মুখে ফেলতে চাইছে তারই ইঙ্গিত মিলছে চিপ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে। এনভিডিয়াসহ বাজারের সিংহভাগ চিপ নির্মাতার পণ্য উৎপাদন হয় তাইওয়ানেই। আর এনভিডিয়া এবং এএমডির মতো মার্কিন চিপ নির্মাতাদের যন্ত্রাংশের অভাবে সাশ্রয়ীভাবে ইমেজ এবং অডিও ফাইল বিশ্লেষণে সর্বাধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়বে চীন ও দেশটির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। স্মার্টফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বা সামাজিক মাধ্যমের ছবিতে বন্ধুদের ট্যাগ করতে যে এআই নির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, ওই একই প্রযুক্তির ব্যবহার আছে সামরিক খাতেও। এনভিডিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর চীনের কোম্পানিগুলো এনভিডিয়ার বিকল্প পণ্য কিনতে আগ্রহী না হলে দেশটির বাজারে কোম্পানিটির ৪০ কোটি ডলারের পণ্যের বিক্রি থমকে যেতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ১৯

চীনে এআই চিপ সরবরাহে এনভিডিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ১২:২০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র সরকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) খাতে বহুল ব্যবহৃত দুটি চিপ চীনের বাজারে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনভিডিয়া। এর ফলে কেবল যে এআই প্রযুক্তিনির্ভর চীনা কোম্পানিগুলো বিপাকে পড়েেব এমন নয়, নিজেদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমসারির চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। কোম্পানিটি জানিয়েছে, মেশিন লার্নিং কাজে ব্যবহারের জন্য নকশা করা এ১০০ এবং এইচ১০০ চিপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে এইচ ১০০ সিরিজের চিপগুলোর নির্মাণ প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও করছে কোম্পানিটি। এনভিডিয়ার মতো একই বিপাকে পড়ার খবর জানিয়েছে আরেক চিপ নির্মাতা ‘অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি)’। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য আরোপিত বাধ্যবাধকতার কারণে এমআই২৫০ এআই চিপ চীনে রপ্তানি করতে পারবে না কোম্পানিটি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তিত নীতিমালায় সার্বিক ব্যবসার ওপর বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা করছে না কোম্পানিটি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এনভিডিয়া জানিয়েছে, চীনে সামরিক বাহিনীর কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এমন পণ্যগুলোই নতুন নীতিমালার অধীনে রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। চীনে এআই চিপ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রয়টার্সকে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। “এ মুহূর্তে নীতিমালার নির্দিষ্ট পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা করার পরিস্থিতিতে নেই আমরা। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক স্বার্থ রক্ষায় সার্বিকভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি,”– রয়টার্সকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের এক মুখপাত্র।
রয়টার্স বলছে, তাইওয়ান নিয়ে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে চাপের মুখে ফেলতে চাইছে তারই ইঙ্গিত মিলছে চিপ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থেকে। এনভিডিয়াসহ বাজারের সিংহভাগ চিপ নির্মাতার পণ্য উৎপাদন হয় তাইওয়ানেই। আর এনভিডিয়া এবং এএমডির মতো মার্কিন চিপ নির্মাতাদের যন্ত্রাংশের অভাবে সাশ্রয়ীভাবে ইমেজ এবং অডিও ফাইল বিশ্লেষণে সর্বাধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়বে চীন ও দেশটির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। স্মার্টফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্যে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বা সামাজিক মাধ্যমের ছবিতে বন্ধুদের ট্যাগ করতে যে এআই নির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, ওই একই প্রযুক্তির ব্যবহার আছে সামরিক খাতেও। এনভিডিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর চীনের কোম্পানিগুলো এনভিডিয়ার বিকল্প পণ্য কিনতে আগ্রহী না হলে দেশটির বাজারে কোম্পানিটির ৪০ কোটি ডলারের পণ্যের বিক্রি থমকে যেতে পারে।