ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

চীনের ৬ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর নামে গত আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

এর মধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, শিগগিরই চীনের ৬ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য দুয়ার খুলছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, আমরা চীনের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দেবো। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ৬ লাখ শিক্ষার্থী এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমরা চীনের সাথেই থাকব।

প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি চীনকে শুল্ক আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রে বিরল ভূ-চৌম্বকীয় পদার্থ রপ্তানি না করে, তাহলে দেশটির ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

সেই আল্টিমেটাম নিয়ে আলোচনার মধ্যেই চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খোলার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

এদিকে ট্রাম্প এই ঘোষণা দেওয়ার পর তার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করছেন ট্রাম্পের সমর্থকদের একাংশ।

ট্রাম্পের সমর্থকদের সবচেয়ে বড় মঞ্চ ‘মাগা’ (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন এর সংক্ষিপ্ত রূপ)-এর জ্যেষ্ঠ নেতা লরা লুমের এই ঘটনাকে ট্রাম্পের আমেরিকা প্রথম নীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, আমি আমার দেশে বেশি বেশি মুসলিম ও চীনাদের আগমনের জন্য ভোট দিইনি। কমিউনিস্ট দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা এবং শরিয়াপন্থি নোংরা লোকজন যুক্তরাষ্ট্রকে মহান করবে না। দয়া করে যুক্তরাষ্ট্রকে চীন বানাবেন না। মাগা আর অভিবাসী দেখতে চায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভসের সদস্য এবং ট্রাম্পের সমর্থক মারজোরি টেইলর গ্রিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে লিখেছেন, চীনা শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত নয়, কারণ তারা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। গতকাল সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুটনিক বলেছেন, চীনা শিক্ষার্থীদের অনুমতি না দিলে আমেরিকার ১৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তিসঙ্গত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছেন।

সূত্র : এএফপি

এসি/

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের ৬ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০২:৩৪:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর নামে গত আট মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

এর মধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, শিগগিরই চীনের ৬ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য দুয়ার খুলছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, আমরা চীনের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দেবো। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ৬ লাখ শিক্ষার্থী এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমরা চীনের সাথেই থাকব।

প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি চীনকে শুল্ক আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রে বিরল ভূ-চৌম্বকীয় পদার্থ রপ্তানি না করে, তাহলে দেশটির ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।

সেই আল্টিমেটাম নিয়ে আলোচনার মধ্যেই চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খোলার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।

এদিকে ট্রাম্প এই ঘোষণা দেওয়ার পর তার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করছেন ট্রাম্পের সমর্থকদের একাংশ।

ট্রাম্পের সমর্থকদের সবচেয়ে বড় মঞ্চ ‘মাগা’ (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন এর সংক্ষিপ্ত রূপ)-এর জ্যেষ্ঠ নেতা লরা লুমের এই ঘটনাকে ট্রাম্পের আমেরিকা প্রথম নীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, আমি আমার দেশে বেশি বেশি মুসলিম ও চীনাদের আগমনের জন্য ভোট দিইনি। কমিউনিস্ট দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা এবং শরিয়াপন্থি নোংরা লোকজন যুক্তরাষ্ট্রকে মহান করবে না। দয়া করে যুক্তরাষ্ট্রকে চীন বানাবেন না। মাগা আর অভিবাসী দেখতে চায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভসের সদস্য এবং ট্রাম্পের সমর্থক মারজোরি টেইলর গ্রিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে লিখেছেন, চীনা শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত নয়, কারণ তারা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক।

তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। গতকাল সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুটনিক বলেছেন, চীনা শিক্ষার্থীদের অনুমতি না দিলে আমেরিকার ১৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তিসঙ্গত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছেন।

সূত্র : এএফপি

এসি/