ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

চীনের মহড়ার পর নিজেদের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান ওড়াল তাইওয়ান

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের নজিরবিহীন মহড়ার পর নিজেদের বহরে থাকা সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান প্রকাশ্যে এনেছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্রটি ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানের রাত্রিকালীন মহড়া চালিয়েছে। চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর তাইওয়ানকে ঘিরে কয়েক দিন বিমান ও নৌ মহড়া চালায় চীন। এই মহড়ায় প্রায় ৩০ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়েছিল। চীনের হামলা ঠেকানোর অনুকরণে তাইপেও নিজস্ব মহড়া চালায়। ‘যুদ্ধপ্রস্তুতি’ অনুশীলনের অংশ হিসেবে গত বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন কাউন্টির বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানে জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হয়। গ্রাউন্ড ক্রুরা কত দ্রুততার সঙ্গে এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির তৈরি ‘হারপুন’ জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছেন, তা সাংবাদিকদের দেখানো হয়। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্রটির বিমানবাহিনীর বহরে থাকা ১৯৯০ সালের এফ-১৬ বহরের এটি উন্নত ও সর্বাধুনিক সংস্করণ। তাইওয়ান বিমানবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, টহল ও প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে ছয়টি এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করে। দুটি যুদ্ধবিমান ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত ছিল। বিমানবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনা কমিউনিস্ট বাহিনীর সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ার হুমকির মুখে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা “সর্বত্র যুদ্ধক্ষেত্র এবং যেকোনো সময় প্রশিক্ষণ” ধারণা প্রতিষ্ঠায় সজাগ থেকেছি।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফেং বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় চীনের কর্মকা-ের নিন্দা জানিয়েছে তাইপে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি তাইওয়ানের বাহিনীগুলোর দক্ষতায় শান দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত যেসব প্রশিক্ষণ চালিয়ে থাকি, সেগুলোর সব কটিই ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ আমরা গ্রহণ করব। এর মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান কলাকৌশলগুলো পরিপক্ব করব এবং যুদ্ধের জন্য কার্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাব।’ তাইওয়ানের দাপ্তরিক নাম ‘রিপাবলিক অব চায়না’। এই নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রিপাবলিক অব চায়নার বাহিনীগুলো রিপাবলিক অব চায়নার নিরাপত্তা সুরক্ষায় আত্মবিশ্বাসী, সক্ষম ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনের মহড়ার পর নিজেদের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান ওড়াল তাইওয়ান

আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের নজিরবিহীন মহড়ার পর নিজেদের বহরে থাকা সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান প্রকাশ্যে এনেছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্রটি ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানের রাত্রিকালীন মহড়া চালিয়েছে। চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর তাইওয়ানকে ঘিরে কয়েক দিন বিমান ও নৌ মহড়া চালায় চীন। এই মহড়ায় প্রায় ৩০ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হয়েছিল। চীনের হামলা ঠেকানোর অনুকরণে তাইপেও নিজস্ব মহড়া চালায়। ‘যুদ্ধপ্রস্তুতি’ অনুশীলনের অংশ হিসেবে গত বুধবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন কাউন্টির বিমানঘাঁটিতে এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানে জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হয়। গ্রাউন্ড ক্রুরা কত দ্রুততার সঙ্গে এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির তৈরি ‘হারপুন’ জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছেন, তা সাংবাদিকদের দেখানো হয়। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন মোতায়েন করে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্রটির বিমানবাহিনীর বহরে থাকা ১৯৯০ সালের এফ-১৬ বহরের এটি উন্নত ও সর্বাধুনিক সংস্করণ। তাইওয়ান বিমানবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, টহল ও প্রশিক্ষণ মিশনের অংশ হিসেবে ছয়টি এফ-১৬ভি যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করে। দুটি যুদ্ধবিমান ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত ছিল। বিমানবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনা কমিউনিস্ট বাহিনীর সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ার হুমকির মুখে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা “সর্বত্র যুদ্ধক্ষেত্র এবং যেকোনো সময় প্রশিক্ষণ” ধারণা প্রতিষ্ঠায় সজাগ থেকেছি।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফেং বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় চীনের কর্মকা-ের নিন্দা জানিয়েছে তাইপে। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি তাইওয়ানের বাহিনীগুলোর দক্ষতায় শান দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত যেসব প্রশিক্ষণ চালিয়ে থাকি, সেগুলোর সব কটিই ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ আমরা গ্রহণ করব। এর মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান কলাকৌশলগুলো পরিপক্ব করব এবং যুদ্ধের জন্য কার্যকর পর্যায়ে নিয়ে যাব।’ তাইওয়ানের দাপ্তরিক নাম ‘রিপাবলিক অব চায়না’। এই নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রিপাবলিক অব চায়নার বাহিনীগুলো রিপাবলিক অব চায়নার নিরাপত্তা সুরক্ষায় আত্মবিশ্বাসী, সক্ষম ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’