ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

চীনের ভিসানীতিতে ভারত-চীন বন্ধুত্বের বার্তা

  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : একদিকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক লড়াই চলছে চীনের, ঠিক তখনই ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো দেশটি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে মোট ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে চীন, এক কথায় যা অভূতপূর্ব। শুধু ভিসা দেওয়াই নয়, ভারতে বসবাসকারী চীনের রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় লিখেছেন, “আমরা চাই আরো বেশি ভারতীয় বন্ধু চীনে যান। চীনের মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোন।” আরো বেশি ভারতীয় যেন চীনে যেতে পারেন, সেজন্য বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে চীনের প্রশাসন। ভারতীয়দের এখন আর অনলাইন অ্যাপোয়েন্টমেন্ট চাইতে হবে না। চীনের দূতাবাস বা কনসুলেটে গিয়ে সরাসরি ভিসার আবেদন জমা দেওয়া যাবে। অল্প দিনের জন্য চীনে গেলে ভারতীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে না। এর ফলে সময় বাঁচবে অনেক। সবচেয়ে বড় কথা, ভিসার মূল্য (ভিসা ফি) আগের চেয়ে অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চীনের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়ার করার সময় আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজনেস এবং পর্যটন দুই ক্ষেত্রেই অনেক কম সময়ে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য চীনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগলো বেশ কিছু প্রমোশন শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন শহর এবং উৎসবগুলি নিয়ে বিশেষ পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করা হচ্ছে।
ভারত-চীন সম্পর্ক
ভারত এবং চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সংক্রান্ত একাধিক মঞ্চ এবং ব্লকে আছে। তবে গত বেশ কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। লাদাখে গালওয়ান লড়াইয়ের পর দুই দেশ কার্যত যুযুধান দুই পক্ষে পরিণত হয়েছিল। কোভিড পরবর্তীকালে দুই দেশ কিছুটা কাছাকাছি এলেও সম্পর্ক এখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চীনের এই অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই
শুল্ক নিয়ে কার্যত এক অর্থনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করেছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে নিয়েছে চীনও। সম্প্রতি ভারতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং বলেছেন, “চীন এবং ভারতের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরস্পরের পরিপূরক। যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কনীতি নিয়েছে, তার মোকাবিলায় দুই দেশ পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে।” ইউ জিং বলেছেন, অ্যামেরিকা যে ‘শুল্ক-যুদ্ধ’ শুরু করেছে তাতে কারও হার বা জিত হবে না। সীমান্তে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) ভারত-চীন উত্তেজনা পুরোপুরি স্তিমিত হয়ে যায়নি। লাদাখ এবং অরুণাচলে এখনো নিয়মিত স্ট্যান্ডঅফ হচ্ছে। তবে চীনের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা হলেও নরম করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্ক ২৪৫ শতাংশ

এদিকে মার্কিন মুলুকে চীনা পণ্য আমদানিতে প্রায় নজিরবিহীন ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হলো। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক পাল্টা শুল্ক আরোপের জবাবে চীনের ওপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বের বহু দেশের ওপর দেদারসে শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন যেকোনও পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং বিভিন্ন দেশে মার্কিন পণ্য আমদানিতে যে শুল্ক জারি রেখেছে তার বিপরীতে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে ওয়াশিংটন। এরপর থেকেই শুল্ক কমানোর জন্য বিভিন্ন দেশের নেতারা হোয়াইট হাউজের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করে।
তবে দেনদরবারের ধার ধারেনি বেইজিং। তারাও মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক জারি করে। এতে নাখোশ হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণার কিছুদিন পর তা সব দেশের জন্য ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দিলেও, চীনকে উলটো দেন বাড়তি শুল্কের বোঝা।

দুদেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের খেলায় পুরো বিশ্বে এখন বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হোয়াইট হাউজের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপকারী দেশগুলোর পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তবে বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনায় আগ্রহ দেখালে এসব শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আলাপ আলোচনার জন্য বিভিন্ন দেশের ওপর পৃথকভাবে আরোপিত শুল্ক স্থগিত করা হলেও, চীনকে এই বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে। তারা শুল্ক আরোপের পর বরং পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য আমদানিতে এখন থেকে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক সামলাতে হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকা ফার্স্ট, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প। সেই নীতির অংশ হিসেবেই চীনসহ একাধিক দেশের ওপর চড়া শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের ভিসানীতিতে ভারত-চীন বন্ধুত্বের বার্তা

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : একদিকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক লড়াই চলছে চীনের, ঠিক তখনই ভারতীয়দের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলো দেশটি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে মোট ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে চীন, এক কথায় যা অভূতপূর্ব। শুধু ভিসা দেওয়াই নয়, ভারতে বসবাসকারী চীনের রাষ্ট্রদূত সু ফেইহং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় লিখেছেন, “আমরা চাই আরো বেশি ভারতীয় বন্ধু চীনে যান। চীনের মুক্ত, নিরাপদ, প্রাণবন্ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোন।” আরো বেশি ভারতীয় যেন চীনে যেতে পারেন, সেজন্য বেশ কিছু ছাড় দিয়েছে চীনের প্রশাসন। ভারতীয়দের এখন আর অনলাইন অ্যাপোয়েন্টমেন্ট চাইতে হবে না। চীনের দূতাবাস বা কনসুলেটে গিয়ে সরাসরি ভিসার আবেদন জমা দেওয়া যাবে। অল্প দিনের জন্য চীনে গেলে ভারতীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে না। এর ফলে সময় বাঁচবে অনেক। সবচেয়ে বড় কথা, ভিসার মূল্য (ভিসা ফি) আগের চেয়ে অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চীনের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়ার করার সময় আগের চেয়ে অনেক কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজনেস এবং পর্যটন দুই ক্ষেত্রেই অনেক কম সময়ে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য চীনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগলো বেশ কিছু প্রমোশন শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন শহর এবং উৎসবগুলি নিয়ে বিশেষ পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করা হচ্ছে।
ভারত-চীন সম্পর্ক
ভারত এবং চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সংক্রান্ত একাধিক মঞ্চ এবং ব্লকে আছে। তবে গত বেশ কয়েক বছরে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। লাদাখে গালওয়ান লড়াইয়ের পর দুই দেশ কার্যত যুযুধান দুই পক্ষে পরিণত হয়েছিল। কোভিড পরবর্তীকালে দুই দেশ কিছুটা কাছাকাছি এলেও সম্পর্ক এখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চীনের এই অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াই
শুল্ক নিয়ে কার্যত এক অর্থনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করেছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে নিয়েছে চীনও। সম্প্রতি ভারতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং বলেছেন, “চীন এবং ভারতের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরস্পরের পরিপূরক। যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্কনীতি নিয়েছে, তার মোকাবিলায় দুই দেশ পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে।” ইউ জিং বলেছেন, অ্যামেরিকা যে ‘শুল্ক-যুদ্ধ’ শুরু করেছে তাতে কারও হার বা জিত হবে না। সীমান্তে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) ভারত-চীন উত্তেজনা পুরোপুরি স্তিমিত হয়ে যায়নি। লাদাখ এবং অরুণাচলে এখনো নিয়মিত স্ট্যান্ডঅফ হচ্ছে। তবে চীনের এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা হলেও নরম করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্ক ২৪৫ শতাংশ

এদিকে মার্কিন মুলুকে চীনা পণ্য আমদানিতে প্রায় নজিরবিহীন ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়া হলো। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক পাল্টা শুল্ক আরোপের জবাবে চীনের ওপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বের বহু দেশের ওপর দেদারসে শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন যেকোনও পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ এবং বিভিন্ন দেশে মার্কিন পণ্য আমদানিতে যে শুল্ক জারি রেখেছে তার বিপরীতে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে ওয়াশিংটন। এরপর থেকেই শুল্ক কমানোর জন্য বিভিন্ন দেশের নেতারা হোয়াইট হাউজের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করে।
তবে দেনদরবারের ধার ধারেনি বেইজিং। তারাও মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক জারি করে। এতে নাখোশ হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণার কিছুদিন পর তা সব দেশের জন্য ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দিলেও, চীনকে উলটো দেন বাড়তি শুল্কের বোঝা।

দুদেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের খেলায় পুরো বিশ্বে এখন বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হোয়াইট হাউজের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপকারী দেশগুলোর পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তবে বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনায় আগ্রহ দেখালে এসব শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আলাপ আলোচনার জন্য বিভিন্ন দেশের ওপর পৃথকভাবে আরোপিত শুল্ক স্থগিত করা হলেও, চীনকে এই বিবেচনার বাইরে রাখা হয়েছে। তারা শুল্ক আরোপের পর বরং পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পণ্য আমদানিতে এখন থেকে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক সামলাতে হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকা ফার্স্ট, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প। সেই নীতির অংশ হিসেবেই চীনসহ একাধিক দেশের ওপর চড়া শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।