বিদেশের খবর ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। বহিরাগত শক্তির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক অখ-তা ধ্বংস করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের যথাযথ অধিকার। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনায় চীনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সিজিটিএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিকে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে যেকোনো বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে উত্তর কোরিয়া এবং সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার জন্য চীন সরকারের ন্যায়সংগত অবস্থানকে পূর্ণ সমর্থন করে। পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাইওয়ান ইস্যুটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। বহিরাগত শক্তির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক অখ-তা ধ্বংস করার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের যথাযথ অধিকার।’ মুখপাত্রের দাবি, এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক ও সামরিক উসকানি। এদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্যযুক্ত সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে বেইজিং।
আলাদাভাবে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বলেছে যে মঙ্গলবার রাত থেকেই তাইওয়ানের কাছে যৌথ সামরিক অভিযান ও মহড়া পরিচালনা করবে তারা। ইস্টার্ন কমান্ড জানিয়েছে, এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে পুরো তাইওয়ানকে ঘিরে। দ্বীপটির উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বে সমুদ্রে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নেবে। এসব মহড়ায় দূরপাল্লার লাইভ ফায়ারিং ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও থাকবে। ৪ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই মহড়া চলবে।
তবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষিত সামরিক অভিযানে লক্ষ্যবস্তু কী হবে এবং ইস্টার্ন কমান্ডের মহড়া থেকে এটি আলাদা হবে কি না, তার বিশদ বিবরণ দেয়নি বেইজিং। এদিকে বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ পূর্ব তাইওয়ানের কাছে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বহরে আরও রয়েছে মিসাইল ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার।
চীনের পাশে উত্তর কোরিয়া
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ