ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উৎপাদনকারী কোম্পানি ডিপসিকের সব ধরনের সেবা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাইওয়ান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তাইওয়ানের ডিজিটাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, তথ্য নিরাপত্তার জন্য ডিপসিক একটি বড় হুমকি।

তাইওয়ান সরকার চীনের প্রযুক্তিগত পণ্যের প্রতি বরাবরই সতর্ক। এর মূল কারণ বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে ও স্বায়ত্বশাসিত এই অঞ্চলটির বিরুদ্ধে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েই চলেছে। তাইওয়ানের ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ডিপসিকের এআই পরিষেবা একটি চীনা পণ্য, যা আন্তর্জাতিক ডাটা ট্রান্সমিশন ও তথ্যফাঁসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ ও এটির ব্যবহার আমাদের আমাদের তথ্য সুরক্ষায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর কড়া নজর রাখবে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য সুরক্ষা নীতিতে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনবে।

এদিকে, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য গোপনীয়তা সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, তারা ডিপসিক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তা জানতে চাবে। চীনা এআই পরিষেবা ডিপসিক নিয়ে শুধু তাইওয়ান নয়, ফ্রান্স, ইতালি ও আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও নজরদারি করছে। তারা এর ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের নীতি খতিয়ে দেখছে। এদিকে, এরই মধ্যে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে ডিপসিকের ফ্রি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট তার মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাটজিপিটির থেকে বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এমনকি, গ্লোবাল বিনিয়োগকারীরা মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে, যার ফলে ওয়াল স্ট্রিটে এনভিডিয়া একদিনে ৫৯৩ বিলিয়ন বা ৫৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের মার্কেট ভ্যালু হারিয়েছে, যা এ পর্যন্ত কোনো একক কোম্পানির সবচেয়ে বড় দৈনিক ক্ষতি। সূত্র: রয়টার্স

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উৎপাদনকারী কোম্পানি ডিপসিকের সব ধরনের সেবা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাইওয়ান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তাইওয়ানের ডিজিটাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, তথ্য নিরাপত্তার জন্য ডিপসিক একটি বড় হুমকি।

তাইওয়ান সরকার চীনের প্রযুক্তিগত পণ্যের প্রতি বরাবরই সতর্ক। এর মূল কারণ বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে ও স্বায়ত্বশাসিত এই অঞ্চলটির বিরুদ্ধে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়েই চলেছে। তাইওয়ানের ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ডিপসিকের এআই পরিষেবা একটি চীনা পণ্য, যা আন্তর্জাতিক ডাটা ট্রান্সমিশন ও তথ্যফাঁসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ ও এটির ব্যবহার আমাদের আমাদের তথ্য সুরক্ষায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর কড়া নজর রাখবে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য সুরক্ষা নীতিতে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনবে।

এদিকে, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য গোপনীয়তা সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, তারা ডিপসিক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তা জানতে চাবে। চীনা এআই পরিষেবা ডিপসিক নিয়ে শুধু তাইওয়ান নয়, ফ্রান্স, ইতালি ও আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও নজরদারি করছে। তারা এর ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের নীতি খতিয়ে দেখছে। এদিকে, এরই মধ্যে বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে ডিপসিকের ফ্রি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট তার মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাটজিপিটির থেকে বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এমনকি, গ্লোবাল বিনিয়োগকারীরা মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে, যার ফলে ওয়াল স্ট্রিটে এনভিডিয়া একদিনে ৫৯৩ বিলিয়ন বা ৫৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের মার্কেট ভ্যালু হারিয়েছে, যা এ পর্যন্ত কোনো একক কোম্পানির সবচেয়ে বড় দৈনিক ক্ষতি। সূত্র: রয়টার্স