প্রযুক্তি ডেস্ক : চীনের অনলাইন ডেটা এবং অন্যান্য তথ্য সুরক্ষিত করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির তত্ত্বাবধানে চীনা ইন্টারনেট ঘিরে ‘নিরেট প্রাচীর’ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে বলেছেন তিনি।
আইন অনুযায়ী চীন দৃঢ়ভাবে তার ইন্টারনেটের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং ব্যবহারের নিশ্চয়তা সুরক্ষিত করবে –বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত দুইদিন ব্যাপী সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক এক সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন জিনপিং।
“জনগণের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট তৈরির লক্ষ্যে আমাদের অবশ্যই পার্টির নেতৃত্বে এর দেখভাল করতে হবে” –জিনপিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদসংস্থা শিনহুয়া। গত একদশক ধরে জিনপিং নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। তার মতে, সবকিছুর সঙ্গে নিরাপত্তা জড়িত, রাজনীতি বা অর্থনীতি থেকে পরিবেশ কিংবা সাইবারস্পেস পর্যন্ত। সাইবারস্পেস সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যোগ করে ২০১৫ সালে আগের চেয়ে বড় পরিসরে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করে চীন। এর এক বছর পর নিরাপত্তা যাচাই সেইসঙ্গে ডেটাকে চীনের সার্ভারে সংরক্ষণের বাধ্যবাধাকতা আরোপ করে পৃথক একটি আইন পাশ করে দেশটির সরকার। ২০২১ সালে তাদের কথিত স্পর্শকাতর তথ্য অবকাঠামোতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে দেশটি। এ বছর চীনের আইনপ্রণেতারা জাতীয় নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট তথ্য পাচার ঠেকাতে গুপ্তচরবৃত্তির সংজ্ঞাকে আরও প্রসারিত করে তাদের গুপ্তচর-প্রতিরোধ আইনের সংশোধন করে। অনলাইন ডেটা ও তথ্য বিষয়ে চীনের নানাধরনের আইনের জটিল বেড়াজালে আটকানো দেশটির বিভিন্ন কোম্পানির জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। এপ্রিলে মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাইন অ্যান্ড কো’র সাংহাই অফিসে স্থানীয় পুলিশ অতর্কিত তল্লাশি চালায় এবং কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই তল্লাশিতে পুলিশ কোম্পানিটির কম্পিউটার এবং ফোন জব্দ করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ফাইনানশিয়াল টাইমস। এরই মধ্যে দেশটির বৃহত্তম অর্থনৈতিক ডেটা সেবাদাতা উইন্ড ইনফরমেশন কো. এর ওপর নির্দিষ্ট কিছু ডেটা চীনের বাইরের গ্রাহকদের প্রদর্শন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ২০২১ সালে শীর্ষ রাইড শেয়ারিং কোম্পানি দিদি গে¬াবাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাবলিক কোম্পানি হিসাবে আত্মপ্রকাশের দুইদিন পর দেশটির কতৃপক্ষ কোম্পানিটির ওপর সাইবার নিরাপত্তা তদন্ত চালায়।