অর্থনৈতিক ডেস্ক : একদিকে সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ, অন্যদিকে ভূরাজনৈতিক প্রতিকূলতায় চীনকে গত কয়েক বছর ধরে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। কিন্তু তারা লক্ষ্যে অবিচল, চীনের আইনসভাকে সে কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০২৫ সালে ও শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাস্তবে এই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করা খুব সহজ নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ট্রাম্প প্রথমে চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিলেন। পরে তা বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে। চীন এ পদক্ষেপকে স্বাভাবিকভাবেই ভালো চোখে দেখেনি। আইনসভার অধিবেশনেও বিষয়টিকে কঠিন লড়াই হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
ট্রাম্প এমন সময় এই ঘোষণা করেছেন- যখন দেশের ভেতরে চীনের জিডিপি ক্রমেই কমছে। বাজারে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে; যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।
ওই পরিস্থিতিতে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) জানিয়েছে, ২০২৫ সালে চীনের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ৫ শতাংশে তা টেনে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এ কথা মানছে না। প্রতিকূলতা সত্বেও তারা ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।
অন্যদিকে সামরিক খাতেও বাজেট বৃদ্ধি করেছে চীন। ২০২৫ সালে বাজেট বাড়ানো হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত গত কয়েক বছর ধরেই সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধি করছে চীন। তাদের সেনা বাহিনীকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে হিসাব করলে গত ১২ বছরে সমারিক বাজেট দুই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শি জিনপিং দায়িত্ব নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর এই আধুনিকীকরণ শুরু হয়েছে।
চীনের সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক। তাইওয়ান নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে দেখলেও চীন তা মানতে নারাজ। পার্লামেন্টের বিবৃতিতেও সে কথা বলা হয়েছে। তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আরও একবার ঘোষণা করা হয়েছে।

























