ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

চীনা-রুশ যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ, আকাশসীমায় দ. কোরিয়ার তোড়জোড়

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের-খবর ডেস্ক : চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের পর নিজেদের আকাশসীমা ‘শত্রুমুক্ত’ রাখতে তোড়জোড় শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীকে নিজেদের যুদ্ধবিমানগুলো জড়ো ও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) এলাকায় প্রবেশ করে চীনের কয়েকটি এইচ-৬ বোমারু বিমান ও এবং রাশিয়ার অন্তত ৬টি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান।
যে কোনো দেশের আকাশসীমা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি হলো এয়ারস্পেস বা মূল আকাশসীমা অপরটি হলো এডিআইজেড। মূল আকাশসীমাকে রক্ষা করাই এডিআইজেডের কাজ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্বাহী সেনা কর্মকর্তারা (জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস-জেসিএস) জানান, পূর্বদিকে জাপান সাগর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় প্রবেশ করেছিল রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান। তবে মূল আকাশসীমায় তারা প্রবেশ করেনি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠানোর আগেই দেশটির এডিআইজেড ত্যাগ করে রুশ ও চীনা উড়োজাহাজ।
‘আজকের ব্যাপারটি আকস্মিক ছিল; কিন্তু পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে- সেজন্য ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো একত্রিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবাহিনীকে,’ বিবৃতিতে উল্লেখ করে জেসিএস।
নামবিহীন ‘পর্যবেক্ষকদের’ বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- বেইজিং ও মস্কো যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে একটি চিঠি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান।
কিম জং উন সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন কিনা এখনও জানা যায়নি, তবে এই চিঠির সংবাদ প্রকাশের পরই ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে- সামনের দিনগুলোতে এশিয়ায় চীনের নির্ভরযোগ্য মিত্র ও অংশীদার হতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য মিত্র। এ কারণে জিনপিংয়ের সেই চিঠিকা-ের পর স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক রয়েছে দেশটি।

চীনা-রুশ যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ, আকাশসীমায় দ. কোরিয়ার তোড়জোড়
বিদেশের-খবর ডেস্ক : চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের পর নিজেদের আকাশসীমা ‘শত্রুমুক্ত’ রাখতে তোড়জোড় শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীকে নিজেদের যুদ্ধবিমানগুলো জড়ো ও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) এলাকায় প্রবেশ করে চীনের কয়েকটি এইচ-৬ বোমারু বিমান ও এবং রাশিয়ার অন্তত ৬টি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান।
যে কোনো দেশের আকাশসীমা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি হলো এয়ারস্পেস বা মূল আকাশসীমা অপরটি হলো এডিআইজেড। মূল আকাশসীমাকে রক্ষা করাই এডিআইজেডের কাজ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্বাহী সেনা কর্মকর্তারা (জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস-জেসিএস) জানান, পূর্বদিকে জাপান সাগর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় প্রবেশ করেছিল রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান। তবে মূল আকাশসীমায় তারা প্রবেশ করেনি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠানোর আগেই দেশটির এডিআইজেড ত্যাগ করে রুশ ও চীনা উড়োজাহাজ।
‘আজকের ব্যাপারটি আকস্মিক ছিল; কিন্তু পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে- সেজন্য ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো একত্রিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবাহিনীকে,’ বিবৃতিতে উল্লেখ করে জেসিএস।
নামবিহীন ‘পর্যবেক্ষকদের’ বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- বেইজিং ও মস্কো যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে একটি চিঠি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান।
কিম জং উন সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন কিনা এখনও জানা যায়নি, তবে এই চিঠির সংবাদ প্রকাশের পরই ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে- সামনের দিনগুলোতে এশিয়ায় চীনের নির্ভরযোগ্য মিত্র ও অংশীদার হতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য মিত্র। এ কারণে জিনপিংয়ের সেই চিঠিকা-ের পর স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক রয়েছে দেশটি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনা-রুশ যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ, আকাশসীমায় দ. কোরিয়ার তোড়জোড়

আপডেট সময় : ০২:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

বিদেশের-খবর ডেস্ক : চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের পর নিজেদের আকাশসীমা ‘শত্রুমুক্ত’ রাখতে তোড়জোড় শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীকে নিজেদের যুদ্ধবিমানগুলো জড়ো ও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) এলাকায় প্রবেশ করে চীনের কয়েকটি এইচ-৬ বোমারু বিমান ও এবং রাশিয়ার অন্তত ৬টি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান।
যে কোনো দেশের আকাশসীমা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি হলো এয়ারস্পেস বা মূল আকাশসীমা অপরটি হলো এডিআইজেড। মূল আকাশসীমাকে রক্ষা করাই এডিআইজেডের কাজ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্বাহী সেনা কর্মকর্তারা (জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস-জেসিএস) জানান, পূর্বদিকে জাপান সাগর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় প্রবেশ করেছিল রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান। তবে মূল আকাশসীমায় তারা প্রবেশ করেনি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠানোর আগেই দেশটির এডিআইজেড ত্যাগ করে রুশ ও চীনা উড়োজাহাজ।
‘আজকের ব্যাপারটি আকস্মিক ছিল; কিন্তু পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে- সেজন্য ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো একত্রিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবাহিনীকে,’ বিবৃতিতে উল্লেখ করে জেসিএস।
নামবিহীন ‘পর্যবেক্ষকদের’ বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- বেইজিং ও মস্কো যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে একটি চিঠি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান।
কিম জং উন সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন কিনা এখনও জানা যায়নি, তবে এই চিঠির সংবাদ প্রকাশের পরই ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে- সামনের দিনগুলোতে এশিয়ায় চীনের নির্ভরযোগ্য মিত্র ও অংশীদার হতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য মিত্র। এ কারণে জিনপিংয়ের সেই চিঠিকা-ের পর স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক রয়েছে দেশটি।

চীনা-রুশ যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ, আকাশসীমায় দ. কোরিয়ার তোড়জোড়
বিদেশের-খবর ডেস্ক : চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের পর নিজেদের আকাশসীমা ‘শত্রুমুক্ত’ রাখতে তোড়জোড় শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীকে নিজেদের যুদ্ধবিমানগুলো জড়ো ও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) এলাকায় প্রবেশ করে চীনের কয়েকটি এইচ-৬ বোমারু বিমান ও এবং রাশিয়ার অন্তত ৬টি যুদ্ধ ও বোমারু বিমান।
যে কোনো দেশের আকাশসীমা দু’ভাগে বিভক্ত। একটি হলো এয়ারস্পেস বা মূল আকাশসীমা অপরটি হলো এডিআইজেড। মূল আকাশসীমাকে রক্ষা করাই এডিআইজেডের কাজ।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্বাহী সেনা কর্মকর্তারা (জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস-জেসিএস) জানান, পূর্বদিকে জাপান সাগর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় প্রবেশ করেছিল রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান। তবে মূল আকাশসীমায় তারা প্রবেশ করেনি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠানোর আগেই দেশটির এডিআইজেড ত্যাগ করে রুশ ও চীনা উড়োজাহাজ।
‘আজকের ব্যাপারটি আকস্মিক ছিল; কিন্তু পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে- সেজন্য ইতোমধ্যে বিমানবাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো একত্রিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিমানবাহিনীকে,’ বিবৃতিতে উল্লেখ করে জেসিএস।
নামবিহীন ‘পর্যবেক্ষকদের’ বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- বেইজিং ও মস্কো যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে একটি চিঠি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চান।
কিম জং উন সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন কিনা এখনও জানা যায়নি, তবে এই চিঠির সংবাদ প্রকাশের পরই ওয়াশিংটন পূর্বাভাস দিয়েছে- সামনের দিনগুলোতে এশিয়ায় চীনের নির্ভরযোগ্য মিত্র ও অংশীদার হতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য মিত্র। এ কারণে জিনপিংয়ের সেই চিঠিকা-ের পর স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক রয়েছে দেশটি।