ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়ল ভারত মহাসাগরে

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : পৃথিবীর ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে তা নিয়ে কয়েক দিনের জল্পনা-কল্পনা ও শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাকাশে নিয়ন্ত্রণহীন চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছে।
গতকাল রোববার সকালে এটি মালদ্বীপের পশ্চিমের মহাসাগরে পতিত হয় বলে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে। ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের ওই রকেট চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার ধ্বংসাবশেষের জন্য অনেকে আকাশের দিকে উদ্বেগ নিয়ে তাকাতে শুরু করেন। তবে চায়না ম্যানড স্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস বলছে, ধ্বংসস্তুপের বেশিরভাগটাই বায়ুম-লে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেটটির কিছু অংশ বেইজিং সময় সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৮টা ২৪ মিনিট) পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশ করে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের টুইটে বলা হয়েছিল, রোববার জিএমটি ০৪:১৯ মিনিটের আট ঘণ্টা আগে বা আট ঘণ্টা পরে চীনের ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশ করবে। গত ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের ওই রকেট চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে তিয়ানহে মডিউল নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়। লং মার্চ ৫বি’র ধ্বংসাবশেষ কতটা বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কার পাশপাশি অনেকে চীনের তীব্র সমালোচনা করছিলেন। যদিও রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর জন্য একদমই বিপদজনক হয়ে উঠবে না চীন বলে আসছিল।
গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশের পরপরই রকেটের ধ্বংসাবশেষ পুড়ে যাবে। তাই সেটির কারণে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। তবে হার্ভার্ড ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েল এর আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশের পর রকেটের ধ্বংসাবশেষের পুরোটা পুড়ে না গিয়ে সেটার কিছু অংশ ভূমিতে আঘাত করতে পারে, হয়তো আবাসিক এলাকাতে। ওজন ২১ টন ওজনেনর লং মার্চ ৫বির ধ্বংসাবশেষেরটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ধসে পড়া সবচেয়ে বেশি ওজনের ধ্বংসাবশেষ। এটি ৯৮ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট চওড়া। সেটি কক্ষপথ হয়ে পৃথিবীর দিকে ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়ল ভারত মহাসাগরে

আপডেট সময় : ০১:২৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : পৃথিবীর ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে তা নিয়ে কয়েক দিনের জল্পনা-কল্পনা ও শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাকাশে নিয়ন্ত্রণহীন চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে আছড়ে পড়েছে।
গতকাল রোববার সকালে এটি মালদ্বীপের পশ্চিমের মহাসাগরে পতিত হয় বলে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে। ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের ওই রকেট চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার ধ্বংসাবশেষের জন্য অনেকে আকাশের দিকে উদ্বেগ নিয়ে তাকাতে শুরু করেন। তবে চায়না ম্যানড স্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস বলছে, ধ্বংসস্তুপের বেশিরভাগটাই বায়ুম-লে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রকেটটির কিছু অংশ বেইজিং সময় সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৮টা ২৪ মিনিট) পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশ করে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের টুইটে বলা হয়েছিল, রোববার জিএমটি ০৪:১৯ মিনিটের আট ঘণ্টা আগে বা আট ঘণ্টা পরে চীনের ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশ করবে। গত ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের ওই রকেট চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে তিয়ানহে মডিউল নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়। লং মার্চ ৫বি’র ধ্বংসাবশেষ কতটা বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কার পাশপাশি অনেকে চীনের তীব্র সমালোচনা করছিলেন। যদিও রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর জন্য একদমই বিপদজনক হয়ে উঠবে না চীন বলে আসছিল।
গত শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশের পরপরই রকেটের ধ্বংসাবশেষ পুড়ে যাবে। তাই সেটির কারণে কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। তবে হার্ভার্ড ভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েল এর আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, পৃথিবীর বায়ুম-লে প্রবেশের পর রকেটের ধ্বংসাবশেষের পুরোটা পুড়ে না গিয়ে সেটার কিছু অংশ ভূমিতে আঘাত করতে পারে, হয়তো আবাসিক এলাকাতে। ওজন ২১ টন ওজনেনর লং মার্চ ৫বির ধ্বংসাবশেষেরটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ধসে পড়া সবচেয়ে বেশি ওজনের ধ্বংসাবশেষ। এটি ৯৮ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট চওড়া। সেটি কক্ষপথ হয়ে পৃথিবীর দিকে ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসে।