নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অগ্রগতির প্রশংসা করে বর্তমান সরকারের পেছনে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে বলে চীনা রাষ্ট্রদূত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বর্তমান ‘অবৈধ সরকার’ নিয়ে চীনের মূল্যায়নে ‘গণতন্ত্রকামী দেশবাসী’ ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত।”
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের পক্ষ থেকে দেওয়া এই ব্ক্তব্যকে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের সমর্থন’ ও ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’ হিসেবে বর্ণনা করে বিএনপি বলেছে, এ বক্তব্য দেশের মানুষকে ‘গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও আহত’ করেছে।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত শুক্রবার ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই সরকারের পেছনে ‘ব্যাপক জনসমর্থনও’ রয়েছে।
এক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারপরও একটি ব্যবস্থা যদি গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত না হয়, তাহলে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পুনর্মূল্যায়ন করার অথবা এই সংজ্ঞার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাইডেন প্রশাসনের তৈরি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র আদৌ গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করার যোগ্যতা রাখে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন আছে। এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলেছে, চীন নিজ দেশে কি ব্যবস্থা বহাল রাখবে তা একান্তই তার আভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ঐতিহ্যগতভাবে অবাধ নির্বাচন ও প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার চর্চার মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা চর্চা করেছে ও করবে। তবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ‘অবৈধ সরকারকে’ সমর্থন না করে বাংলাদেশের প্রকৃত মালিক জনগণের পাশে দাঁড়াবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে বিএনপি।
চীনা দূতের বক্তব্যে বিএনপির ক্ষোভ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ