ঢাকা ১১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

চীনা ড্রোনে প্রথমবারের মতো গুলি তাইওয়ানের!

  • আপডেট সময় : ০২:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বিদেশ ডেস্ক : প্রথমবারের মতো চীনা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তাইওয়ান। স্বশাসিত দ্বীপটির সামরিক কমান্ড এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে। এর আগে আকাশসীমায় চীনের যুদ্ধবিমান বহরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাইওয়ান যুদ্ধবিমান পাঠালেও গুলি চালানোর ঘটনা এই প্রথম।

তাইওয়ানের সামরিক কমান্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, কুইমোয় দ্বীপপুঞ্জের আকাশসীমায় তিনটি ভিন্ন স্থানে তিনটি চীনা বেসামরিক ড্রোন উড়ছিল। ড্রোনগুলোকে বারবার সতর্ক করার পরও ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়ামেন থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ড্রোন উড়ে যায়। তাইওয়ানের সেনাবাহিনী তখন ড্রোনটিকে তাড়িয়ে দিতে গুলি চালায়। বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা ড্রোনে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আকাশসীমা সুরক্ষার জন্য চীনের যে কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাইওয়ান। উল্লেখ্য যে, তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে বেইজিং। তবে তাইওয়ান মনে করে তারা স্বাধীন একটি ভূখ-। তাইওয়ানকে মূলভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। চলতি মাসের শুরুতে চীনের আপত্তি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার এ সফরের নিন্দা জানায় বেইজিং। এর পরপরই তাইওয়ানের আশেপাশে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয় চীন। ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই চীনের সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড মহড়া শুরু করে। তাইওয়ানও চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকানোর প্রস্তুতি হিসেবে একাধিক প্রতিরোধমূলক মহড়া চালায়। চীন-তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যে এবার চীনা ড্রোনে গুলি চলল। এর ফলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তাইওয়ান-চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
তাইওয়ান একসময় চীনের একটি প্রদেশ ছিল। মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট বিপ্লবের সময় তৎকালীন রিপাবলিক অব চায়না সরকারের প্রধান চিয়াং কাইশেক পরাজিত হতে হতে শেষ পর্যন্ত ১৯৪৯ সালে তাইওয়ান প্রদেশে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক কর্তৃত্ববলে মূল ভূখ-ের নতুন কমিউনিস্টবিরোধী সরকার গড়েন। কমিউনিস্ট বিপ্লবের পরপর তাইওয়ানের সরকারকেই গোটা চীনের একমাত্র বৈধ সরকার বলে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই কোরিয়ান যুদ্ধে আমেরিকার কাছে তাইওয়ান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। স্নায়ুযুদ্ধে তাইওয়ান প্রণালী কৌশলগত কারণে প্রভাবক হয়ে উঠলে ১৯৫৪ সালে শিনো-আমেরিকান মিউচুয়াল ডিফেন্স চুক্তি সই করে ওয়াশিংটন। এর মাধ্যমে তাওয়ানকে সামরিক জোটসঙ্গী করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তির ফলে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাইওয়ান যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। আমেরিকার সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায় তাইওয়ানের দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। সে সময় তাইওয়ানে অবস্থিত রিপাবলিক অব চায়না সরকার বিশ্বসভার প্রায় সর্বক্ষেত্রেই চীনের বৈধ সরকার হিসেবে অংশ নিতে থাকে। তবে সত্তরের দশকে চীন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মূল ভূখ-ের কমিউনিস্ট সরকার অর্থাৎ, পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথ বেছে নেন। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে অবস্থিত রিপাবলিক অব চায়না সরকারের পরিবর্তে মেইনল্যান্ডের পিপল রিপাবলিক অব চায়না সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। ওই সময় বেইজিংয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক জোরদার করে ওয়াশিংটন। ওই বছরের ১০ এপ্রিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট (টিআরএ) সই করেন, যা আজও যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের সম্পর্কের ভিত্তি।
টিআরএ’তে বলা হয়, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র। এশিয়ায় মার্কিন নীতির অপরিহার্য অংশ তাইওয়ান। ওই সম্পর্ক চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাইওয়ানের স্বার্থে প্রয়োজনে সামরিক সহায়তা দিতেও প্রতিজ্ঞা করে ওয়াশিংটন।

টিআরএ চুক্তিতে স্পষ্ট বলা আছে, শান্তিপূর্ণ উপায় ছাড়া অন্য কোনোভাবে যেমন বয়কট বা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের যেকোনো প্রচেষ্টাকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে ওই চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবিলম্বে তা কংগ্রেসকে অবহিত করতে বাধ্য থাকবেন, যেন প্রশাসনের সঙ্গে একসঙ্গে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যেতে পারে। কৌশলগত কারণ ছাড়াও এমন প্রতিশ্রুতির কারণেই তাইওয়ানের ওপর যেকোনো ধরনের আঘাত এলে তাতে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে চুক্তি করলেও স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের চীনের এক চীন নীতিকে বরাবরই সমর্থন জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বজ্রপাতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

চীনা ড্রোনে প্রথমবারের মতো গুলি তাইওয়ানের!

আপডেট সময় : ০২:১২:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

বিদেশ ডেস্ক : প্রথমবারের মতো চীনা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তাইওয়ান। স্বশাসিত দ্বীপটির সামরিক কমান্ড এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে। এর আগে আকাশসীমায় চীনের যুদ্ধবিমান বহরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাইওয়ান যুদ্ধবিমান পাঠালেও গুলি চালানোর ঘটনা এই প্রথম।

তাইওয়ানের সামরিক কমান্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, কুইমোয় দ্বীপপুঞ্জের আকাশসীমায় তিনটি ভিন্ন স্থানে তিনটি চীনা বেসামরিক ড্রোন উড়ছিল। ড্রোনগুলোকে বারবার সতর্ক করার পরও ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়ামেন থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ড্রোন উড়ে যায়। তাইওয়ানের সেনাবাহিনী তখন ড্রোনটিকে তাড়িয়ে দিতে গুলি চালায়। বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা ড্রোনে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আকাশসীমা সুরক্ষার জন্য চীনের যে কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাইওয়ান। উল্লেখ্য যে, তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে বেইজিং। তবে তাইওয়ান মনে করে তারা স্বাধীন একটি ভূখ-। তাইওয়ানকে মূলভূখ-ের সঙ্গে যুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। চলতি মাসের শুরুতে চীনের আপত্তি সত্ত্বেও তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার এ সফরের নিন্দা জানায় বেইজিং। এর পরপরই তাইওয়ানের আশেপাশে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয় চীন। ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গেই চীনের সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড মহড়া শুরু করে। তাইওয়ানও চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকানোর প্রস্তুতি হিসেবে একাধিক প্রতিরোধমূলক মহড়া চালায়। চীন-তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যে এবার চীনা ড্রোনে গুলি চলল। এর ফলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তাইওয়ান-চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
তাইওয়ান একসময় চীনের একটি প্রদেশ ছিল। মাও সেতুংয়ের কমিউনিস্ট বিপ্লবের সময় তৎকালীন রিপাবলিক অব চায়না সরকারের প্রধান চিয়াং কাইশেক পরাজিত হতে হতে শেষ পর্যন্ত ১৯৪৯ সালে তাইওয়ান প্রদেশে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক কর্তৃত্ববলে মূল ভূখ-ের নতুন কমিউনিস্টবিরোধী সরকার গড়েন। কমিউনিস্ট বিপ্লবের পরপর তাইওয়ানের সরকারকেই গোটা চীনের একমাত্র বৈধ সরকার বলে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই কোরিয়ান যুদ্ধে আমেরিকার কাছে তাইওয়ান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। স্নায়ুযুদ্ধে তাইওয়ান প্রণালী কৌশলগত কারণে প্রভাবক হয়ে উঠলে ১৯৫৪ সালে শিনো-আমেরিকান মিউচুয়াল ডিফেন্স চুক্তি সই করে ওয়াশিংটন। এর মাধ্যমে তাওয়ানকে সামরিক জোটসঙ্গী করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তির ফলে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাইওয়ান যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। আমেরিকার সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তায় তাইওয়ানের দ্রুত উন্নয়ন ঘটে। সে সময় তাইওয়ানে অবস্থিত রিপাবলিক অব চায়না সরকার বিশ্বসভার প্রায় সর্বক্ষেত্রেই চীনের বৈধ সরকার হিসেবে অংশ নিতে থাকে। তবে সত্তরের দশকে চীন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মূল ভূখ-ের কমিউনিস্ট সরকার অর্থাৎ, পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথ বেছে নেন। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে অবস্থিত রিপাবলিক অব চায়না সরকারের পরিবর্তে মেইনল্যান্ডের পিপল রিপাবলিক অব চায়না সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। ওই সময় বেইজিংয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক জোরদার করে ওয়াশিংটন। ওই বছরের ১০ এপ্রিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট (টিআরএ) সই করেন, যা আজও যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের সম্পর্কের ভিত্তি।
টিআরএ’তে বলা হয়, তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র। এশিয়ায় মার্কিন নীতির অপরিহার্য অংশ তাইওয়ান। ওই সম্পর্ক চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাইওয়ানের স্বার্থে প্রয়োজনে সামরিক সহায়তা দিতেও প্রতিজ্ঞা করে ওয়াশিংটন।

টিআরএ চুক্তিতে স্পষ্ট বলা আছে, শান্তিপূর্ণ উপায় ছাড়া অন্য কোনোভাবে যেমন বয়কট বা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের যেকোনো প্রচেষ্টাকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে ওই চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবিলম্বে তা কংগ্রেসকে অবহিত করতে বাধ্য থাকবেন, যেন প্রশাসনের সঙ্গে একসঙ্গে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যেতে পারে। কৌশলগত কারণ ছাড়াও এমন প্রতিশ্রুতির কারণেই তাইওয়ানের ওপর যেকোনো ধরনের আঘাত এলে তাতে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে চুক্তি করলেও স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের চীনের এক চীন নীতিকে বরাবরই সমর্থন জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।