ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

চীনকে নিয়ে জাসিন্ডার অস্বস্তি

  • আপডেট সময় : ০১:২৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে


প্রত্যাশা ডেস্ক : বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য নিরসন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। ক্রমবর্ধমান বিশ্বশক্তি হিসেবে চীনকে দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। পরবর্তী চার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে নিউজিল্যান্ড গত বছরের নভেম্বর থেকে মোট যে পরিমাণ পণ্য রফতানি করেছে, এক চীনেই তারচেয়ে বেশি করেছে। তবে সম্প্রতি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি আচরণ নিয়ে দেশের ভেতরে-বাইরে সবদিক দিয়েই বেশ চাপের মুখে রয়েছে জাসিন্ডার সরকার।
গতকাল সোমবার চায়না বিজনেস সামিটে রাখা ভাষণে জাসিন্ডা বলেন, সম্পর্ক সবসময় সহজ হয় না এবং এর কোনো গ্যারান্টিও নেই। স্বীকার করতে হবে যে, কিছু বিষয় রয়েছে যার ওপর চীন এবং নিউজিল্যান্ড একমত নয়, হতে পারে না এবং হবেও না। জিনজিয়াং পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা প্রকাশ্যেই গভীর উদ্বেগের কথা বলেছি। হংকংবাসীর অধিকার, স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে নেতিবাচক ঘটনাক্রম নিয়েও নিউজিল্যান্ডের উদ্বেগের কথা জানান এই নেতা।
সম্প্রতি অবশ্য অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে চীনবিরোধী অবস্থায় নেয়ায় তাদের ওপর শুল্কবৃদ্ধি, আমদানি নিষেধাজ্ঞা, ভ্রমণ সতর্কতার মতো কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল বেইজিং। বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ঘোষিত-অঘোষিত নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ৪৭ বিলিয়ন অস্ট্রলীয় ডলার ক্ষতি হয়েছে।
অবশ্য চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য একেবারে অপরিবর্তনীয় বলে মনে করছেন না জাসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেছেন, এটি আমাদের সম্পর্ককে লাইনচ্যুত করবে না। জাসিন্ডা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার মতো ক্ষেত্রগুলোতে চীন ও নিউজিল্যান্ডের এখনো একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চীনকে নিয়ে জাসিন্ডার অস্বস্তি

আপডেট সময় : ০১:২৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১


প্রত্যাশা ডেস্ক : বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য নিরসন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। ক্রমবর্ধমান বিশ্বশক্তি হিসেবে চীনকে দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। পরবর্তী চার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে নিউজিল্যান্ড গত বছরের নভেম্বর থেকে মোট যে পরিমাণ পণ্য রফতানি করেছে, এক চীনেই তারচেয়ে বেশি করেছে। তবে সম্প্রতি চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি আচরণ নিয়ে দেশের ভেতরে-বাইরে সবদিক দিয়েই বেশ চাপের মুখে রয়েছে জাসিন্ডার সরকার।
গতকাল সোমবার চায়না বিজনেস সামিটে রাখা ভাষণে জাসিন্ডা বলেন, সম্পর্ক সবসময় সহজ হয় না এবং এর কোনো গ্যারান্টিও নেই। স্বীকার করতে হবে যে, কিছু বিষয় রয়েছে যার ওপর চীন এবং নিউজিল্যান্ড একমত নয়, হতে পারে না এবং হবেও না। জিনজিয়াং পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা প্রকাশ্যেই গভীর উদ্বেগের কথা বলেছি। হংকংবাসীর অধিকার, স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের বিষয়ে নেতিবাচক ঘটনাক্রম নিয়েও নিউজিল্যান্ডের উদ্বেগের কথা জানান এই নেতা।
সম্প্রতি অবশ্য অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে চীনবিরোধী অবস্থায় নেয়ায় তাদের ওপর শুল্কবৃদ্ধি, আমদানি নিষেধাজ্ঞা, ভ্রমণ সতর্কতার মতো কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল বেইজিং। বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ঘোষিত-অঘোষিত নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ৪৭ বিলিয়ন অস্ট্রলীয় ডলার ক্ষতি হয়েছে।
অবশ্য চীনের সঙ্গে মতপার্থক্য একেবারে অপরিবর্তনীয় বলে মনে করছেন না জাসিন্ডা আরডার্ন। তিনি বলেছেন, এটি আমাদের সম্পর্ককে লাইনচ্যুত করবে না। জাসিন্ডা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলার মতো ক্ষেত্রগুলোতে চীন ও নিউজিল্যান্ডের এখনো একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।