ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

চিড়িয়াখানার ব্যয় কমাতে সিংহ বিক্রির পরিকল্পনা বাতিল করল পাকিস্তান

  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের লাহোরের একটি চিড়িয়াখানা ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের কাছে প্রায় এক ডজন সিংহ নিলামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল। চিড়িয়াখানার ব্যয় কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু সেই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা বলেছেন, চিড়িয়াখানায় সিংহ রাখার ক্ষেত্রে যে সমস্যা ছিল, তা সমাধান হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল ও অগ্রসর প্রদেশ হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের চিড়িয়াখানা লাহোর সাফারি জু চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নিলাম আয়োজনের কথা। সিংহ বিক্রির বিষয়ে চিড়িয়াখানার উপপরিচালক তানভীর আহমেদ জানজুয়া বলেছিলেন, চিড়িয়াখানায় এসব প্রাণীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে সিংহ ও বাঘকে পালাক্রমে বিচরণক্ষেত্রে ছাড়তে হয়। তিনি আরও বলেন, শুধু জায়গা খালি করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এতে সিংহগুলোকে খাওয়াতে মাংস কেনার ক্ষেত্রেও ব্যয় সংকুচিত হবে। ওই চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ২৯টি সিংহ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২ থেকে ৫ বছর বয়সী ১২টি সিংহ নিলামে বিক্রির কথা ছিল। এর আগে সিংহ নিলামে তোলার বিরোধিতা করেন বন্য প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড বলছে, প্রাণীগুলোকে অন্য প্রতিষ্ঠিত কোনো চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা উচিত। তা না হলে প্রজনন করা প্রাণীগুলোকে গর্ভনিরোধক দেওয়া উচিত। সংগঠনটির সদস্য উজমা খান বলেন, চিড়িয়াখানার মধ্যে পশু বিনিময় এবং দান, সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। উজমা খান আরও বলেন, যদি চিড়িয়াখানার মতো একটি প্রতিষ্ঠান একটি বন্য প্রাণী প্রজাতির ওপর মূল্য নির্ধারণ করে তা বাণিজ্যের জন্য প্রচার করে, তা প্রাণী সংরক্ষণ নীতির বিপরীত। সিংহ বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়ে গত বুধবার তানভীর আহমেদ বলেন, সিংহ নিলামের তোলার প্রধান কারণ ছিল জায়গার অভাব। প্রাণীগুলো রাখার জন্য নতুন দুটি খাঁচা তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন বিষয়টি শিগগিরই সমাধান করা হবে। ফলে নিলামের আর প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানে ধনী ব্যক্তিরা ব্যক্তিগতভাবে বাঘ ও সিংহ কিনে বাড়িতে রাখেন। এটিকে পাকিস্তানে আভিজাত্যের স্মারক হিসেবে দেখা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

চিড়িয়াখানার ব্যয় কমাতে সিংহ বিক্রির পরিকল্পনা বাতিল করল পাকিস্তান

আপডেট সময় : ১১:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের লাহোরের একটি চিড়িয়াখানা ব্যক্তিগত সংগ্রাহকদের কাছে প্রায় এক ডজন সিংহ নিলামে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল। চিড়িয়াখানার ব্যয় কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু সেই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটল কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার চিড়িয়াখানার এক কর্মকর্তা বলেছেন, চিড়িয়াখানায় সিংহ রাখার ক্ষেত্রে যে সমস্যা ছিল, তা সমাধান হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল ও অগ্রসর প্রদেশ হিসেবে পরিচিত পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের চিড়িয়াখানা লাহোর সাফারি জু চত্বরে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই নিলাম আয়োজনের কথা। সিংহ বিক্রির বিষয়ে চিড়িয়াখানার উপপরিচালক তানভীর আহমেদ জানজুয়া বলেছিলেন, চিড়িয়াখানায় এসব প্রাণীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণে সিংহ ও বাঘকে পালাক্রমে বিচরণক্ষেত্রে ছাড়তে হয়। তিনি আরও বলেন, শুধু জায়গা খালি করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এতে সিংহগুলোকে খাওয়াতে মাংস কেনার ক্ষেত্রেও ব্যয় সংকুচিত হবে। ওই চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ২৯টি সিংহ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২ থেকে ৫ বছর বয়সী ১২টি সিংহ নিলামে বিক্রির কথা ছিল। এর আগে সিংহ নিলামে তোলার বিরোধিতা করেন বন্য প্রাণী সংরক্ষণবাদীরা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড বলছে, প্রাণীগুলোকে অন্য প্রতিষ্ঠিত কোনো চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা উচিত। তা না হলে প্রজনন করা প্রাণীগুলোকে গর্ভনিরোধক দেওয়া উচিত। সংগঠনটির সদস্য উজমা খান বলেন, চিড়িয়াখানার মধ্যে পশু বিনিময় এবং দান, সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। উজমা খান আরও বলেন, যদি চিড়িয়াখানার মতো একটি প্রতিষ্ঠান একটি বন্য প্রাণী প্রজাতির ওপর মূল্য নির্ধারণ করে তা বাণিজ্যের জন্য প্রচার করে, তা প্রাণী সংরক্ষণ নীতির বিপরীত। সিংহ বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়ে গত বুধবার তানভীর আহমেদ বলেন, সিংহ নিলামের তোলার প্রধান কারণ ছিল জায়গার অভাব। প্রাণীগুলো রাখার জন্য নতুন দুটি খাঁচা তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এখন বিষয়টি শিগগিরই সমাধান করা হবে। ফলে নিলামের আর প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানে ধনী ব্যক্তিরা ব্যক্তিগতভাবে বাঘ ও সিংহ কিনে বাড়িতে রাখেন। এটিকে পাকিস্তানে আভিজাত্যের স্মারক হিসেবে দেখা হয়।