প্রযুক্তি ডেস্ক : বৈশ্বিক চিপ সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়টিতেও প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোন নির্মাতাদের বাজারে ভাগ বসাচ্ছে অ্যাপল। অন্তত তা-ই বলছে কাউন্টারপয়েন্ট, আইডিসি ও ক্যানালিসের মতো ডেটা বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান।
বেশি আইফোন বিক্রির মধ্য দিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের কম করে হলেও তিন শতাংশ চলে এসেছে মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্টের দখলে। যদিও চিপ সঙ্কটের মুখে মোট বিক্রি কমেছে প্রায় ছয় শতাংশ। — বলছে কাউন্টারপয়েন্ট, আইডিসি ও ক্যানালিসের মতো প্রতিষ্ঠান।
স্মার্টফোন বিক্রি সম্পর্কিত ডেটা অনেকটাই আগলে রাখে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। সেক্ষেত্রে কারখানা থেকে বের হওয়া পণ্যের ডেটা থেকেই সবচেয়ে ভালো ইঙ্গিত পাওয়া যায় ক্রেতারা কোন প্রতিষ্ঠানকে পছন্দ করছেন।
“আমরা অ্যাপলের জন্য আরেকটি বড় মাপের প্রান্তিক আশা করছি এবং আশা করছি বর্ষের চতুর্থ প্রান্তিকেও একই ধরনের ২০ শতাংশ শেয়ার নেবে।” – বলেছেন কাউন্টারপয়েন্ট বিশ্লেষক তরুন পাঠাক।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় চিপ সঙ্কট ভালোভাবেই সামাল দিয়েছে অ্যাপল। এতে ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির বড় মাপের ক্রয় ক্ষমতা ও চিপ বিক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ-মেয়াদী সরবরাহ চুক্তি। তারপরও একেবারে আঁচ এড়াতে পারেনি মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্ট। এশিয়াতে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উচ্চ চাহিদা তৈরি হওয়ায় আইফোন ১৩-এর উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে।
“স্বল্প মূল্যের পণ্যে সঙ্কট সবচেয়ে বেশি, তাই অ্যাপল তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় কম প্রভাবিত হয়েছে, কারণ এটি প্রিমিয়ামের দিকেই বেশি ঝুঁকে রয়েছে।” – বলেছেন ক্যানালিসের বিশ্লেষক বেন স্ট্যানটন।
অন্যদিকে, কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছে, দামী ফোনের বিক্রি থেকে তৃতীয় প্রান্তিকে আয় এসেছে দশ হাজার কোটি ডলার।
মার্কিন অ্যাপল চীনেও নিজের সরবরাহ ক্ষমতা দেখিয়েছে গত প্রান্তিকে। ওই সময় বার্ষিক ৪৩ শতাংশ বিক্রি প্রবৃদ্ধি জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতেও বড় ক্রয়ক্ষমতার ক্রেতাদের শীর্ষ পছন্দের একটি ছিল তারা।
তৃতীয় প্রান্তিকে অ্যাপল বিক্রিও বাড়িয়েছে। সে সময়টিতে আইফোন ১২ মূল্যছাড় এবং আইফোন ১৩-এর বড় ক্যামেরা ও দ্রুতগতির প্রসেসরের কাছে ক্রেতা হারিয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ও শাওমি কর্পোরেশন।