ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের বিবৃতি

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও তাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি; যিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।”
তারা আরও বলেছে, “এটি খুবই দুঃখজনক যে, এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখন একজন ধর্মীয় নেতা, যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি দাওয়া পেশ করছেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়। এছাড়া শ্রী দাশের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে যেসব সংখ্যালঘু প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাশসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের বিবৃতি

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে গ্রেপ্তার ও তাকে জামিন না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি; যিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর ওপর উগ্রবাদীদের একাধিক হামলার পর তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ; একই সঙ্গে মন্দিরে চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।”
তারা আরও বলেছে, “এটি খুবই দুঃখজনক যে, এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখন একজন ধর্মীয় নেতা, যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি দাওয়া পেশ করছেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়। এছাড়া শ্রী দাশের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে যেসব সংখ্যালঘু প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে হামলা হয়েছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাশসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।