ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ফের দাবি বিএনপির

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়াকে ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য’ বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে আবারও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তার দল বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে ওই দাবি জানানো হয়।
ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রীর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী বলেছেন, দেশনেত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রামণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনোমতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা প্রয়োজন। বাংলাদেশে এর সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।
“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।”
গত ২০ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দ-িত। দ- নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরগত ১৪ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ২৭ এপ্রিল বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু খালেদা সরকারের নির্বাহী আদেশে বিশেষ শর্তে মুক্ত থাকায় তার বিদেশে যাওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে সরকার জানিয়ে দেয়। হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৯ জুন গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আগে উনার পরিবার বিদেশে প্রেরণ করার কথা বলেছিল, আমরা কিছু বলিনি। এবার আমরা পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এর জন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি। “তার পরের যে স্টেপগুলো আছে, তা আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘পুশ ইন’ উস্কানিমূলক মনে করেন না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ফের দাবি বিএনপির

আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়াকে ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য’ বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে আবারও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে তার দল বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে ওই দাবি জানানো হয়।
ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রীর মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী বলেছেন, দেশনেত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রামণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনোমতেই ঝুঁকিমুক্ত নন। বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা প্রয়োজন। বাংলাদেশে এর সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।
“দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের জন্য তার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।”
গত ২০ জুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দ-িত। দ- নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরগত ১৪ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ২৭ এপ্রিল বসুন্ধরার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু খালেদা সরকারের নির্বাহী আদেশে বিশেষ শর্তে মুক্ত থাকায় তার বিদেশে যাওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে সরকার জানিয়ে দেয়। হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৯ জুন গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আগে উনার পরিবার বিদেশে প্রেরণ করার কথা বলেছিল, আমরা কিছু বলিনি। এবার আমরা পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজুলেশন নিচ্ছি যে তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এর জন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি। “তার পরের যে স্টেপগুলো আছে, তা আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।